তথ্যমন্ত্রিকে মাহমুদুর রহমানের চ্যালেঞ্জ!!!

লিখেছেন লিখেছেন থাবা নানা ০৬ মার্চ, ২০১৩, ১১:১৫:২২ সকাল

দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান (মহান আল্লাহর কলম সৈনিক) আমাদের দেশের চতুর তথ্যমন্ত্রিকে আজ তার কলামে যে লেখা লিখেছে তারই একটি অংশে ছিল নিন্মোক্ত চ্যালেঞ্জটি।

"সরকারের নীতিনির্ধারকদের চরম ইসলামবিরোধী মানসিকতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই গত মাসে শাহবাগে ধর্মদ্রোহী বিকারগ্রস্ত ব্লগারদের নেতৃত্বে তথাকথিত জাগরণ মঞ্চের জন্ম দেয়া হয়েছে। সেখানে নেতৃত্বদানকারী বিপথগামী তরুণ প্রজন্মের একজন আততায়ীর হাতে নিহত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী ও সরকারপন্থী বাম সংসদ সদস্যরা তাকে কথিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে ১৯৭১ সালের শহীদদের চূড়ান্ত অবমাননা করেছেন। নিহত তরুণটির সম্পর্কে সংসদে আলোচনাকালে আবেগের তোড়ে সবাই মাত্রাজ্ঞান হারিয়েছিলেন।

রাজীবের অবিশ্বাস্য ইসলামবিরোধী কুকর্ম পরবর্তী সময়ে ফাঁস হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে আওয়ামী প্রচারণাযন্ত্র থেকে এখন দাবি করা হচ্ছে যে, তার ব্লগে হ্যাক করে শিবিরের ছেলেরা নাকি মহানবী (সা.) সম্পর্কে কলমের ডগা অথবা জিহ্বাগ্রে আনার অযোগ্য এসব নোংরা লেখালেখি করেছে।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ক’দিন আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজীবের পক্ষাবলম্বন করে উপরোক্ত ব্যাখ্যা হাজির করেছেন। ঘটনাক্রমে জাসদ নেতা ইনু এবং আমি একই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া এবং একই ডিপার্টমেন্ট থেকে ডিগ্রি নিয়েছি। আমরা দু’জনই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আমার বেশ কয়েক বছরের সিনিয়র ছিলেন। ২০০১ সাল পর্যন্ত আমি সরাসরি প্রকৌশল পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও রাজনীতিবিদ ইনু তার পেশাজীবনে কোথায় ইঞ্জিনিয়ারিং চর্চা করেছেন, আমার ঠিক জানা নেই। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি, ব্লগার রাজীবের ফেসবুক পেজে যাবতীয় অশ্লীল ও ইসলামবিরোধী পোস্ট নিশ্চিতভাবে তারই দেয়া। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমার দাবির সমর্থনে মিডিয়ার সামনে যে কোনো স্থানে আমি মন্ত্রী ইনুর সঙ্গে ল্যাপটপ নিয়ে বিতর্ক করতে প্রস্তুতি আছি। আজ পাঠককে একটা আগাম তথ্য শুধু দিয়ে রাখছি। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখের পর রাজীব ওরফে থাবা-বাবার ফেসবুক পেজে নতুন কোনো পোস্ট দেয়া নেই। কারণটি সম্ভবত সরকারি প্রশাসনযন্ত্র রাজীবের পাসওয়ার্ডটি কোনোভাবে জানতে পারেনি। রাজীব ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ন’টার দিকে নিহত হয়েছিল। তার মৃত্যুর সঙ্গে তাই থাবা-বাবা ফেসবুক পেজটিরও সমাপ্তি ঘটেছে।

পথভ্রষ্ট তরুণটির একটি পোস্টের উদ্ধৃতি প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় এখানে দিয়ে রাখছি। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে রাজীব তার ফেসবুকে পোস্ট করেছিল, “দুনিয়াতে আসিয়াছে যেই দিন ইন্টারনেট সেই দিনই হইয়াছে আল্লাতালার ডেথ্!—- থাবা বাবা” (নাউজুবিল্লাহ)। মহাজোট সরকারের উত্সাহক্রমে বাংলাদেশে যত্সামান্য লেখাপড়া জানা একদল ডিজিটাল তরুণের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা সহজে পরিচিতি পাওয়ার জন্য ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করাটাকেই একমাত্র পন্থা হিসেবে গ্রহণ করেছে। নব্বইয়ের দশক থেকে নির্বাসিত জীবন যাপনকারী তসলিমা নাসরিনই সম্ভবত তাদের আদর্শ। নিহত রাজীবের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পত্রিকায় যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ছেলেটিকে আদর্শ চরিত্র হিসেবে মেনে নেয়ার উপায় নেই। এমন এক নষ্ট চরিত্রের ইসলামবিদ্বেষী ব্লগার মহাজোট সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং শাহবাগিদের কাছে বিস্ময়করভাবে এখনও হিরো ও শহীদের মর্যাদা পাচ্ছে। ফেসবুক ব্যবহার সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাবধানবাণী এক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তিনি একবার মার্কিন তরুণদের উদ্দেশ করে বলেছিলেন, তোমরা এমনকিছু ফেসবুক পেজে লিখবে না, যা ভবিষ্যতে তোমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। কারণ এসব লেখালেখি মুছে দেয়া আর সম্ভব হয় না। আশা করি, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আধুনিক প্রযুক্তির সমস্যাটি বারাক ওবামার মন্তব্য থেকে অনুধাবন করতে পারছেন"।

বিষয়: বিবিধ

৯৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File