টাকা ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে সরাস্ট্রমন্ত্রীর কক্ষের সামনে হাতাহাতি
লিখেছেন লিখেছেন থাবা নানা ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৩১:৫৯ সকাল
টাকার ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীরের দফতরের সামনে কথাকাটাকাটি ও একপর্যায়ে হাতাহাতির উপক্রম হয়। নতুন বার্তা।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদানের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী লিটন চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতিকুর রহমান এ ঘটনা ঘটান। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার দফতরে ছিলেন না।
ঝগড়ার সময় আতিকুর রহমান লিটন চৌধুরীর উদ্দেশে বলেন, ‘তোদের কর্মকাণ্ডের কারণে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকায় ২০ হাজার ভোটও পাবে না এবং তোরা এই কয়েক মাসে জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিস।’
জবাবে লিটন হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোরা কী করেছিস তা আমার জানা আছে। তোরাও কি কম কামিয়েছিস? আমি তোদের কোন কাজটি করে দেইনি? তোরা নিমকহারাম! আমি চাইলে তোরা একটাও সচিবালয়ে আসতে পারবি না।’
তখন উত্তেজিত হয়ে আতিকুর লিটনকে বলেন, ‘তুই আমাকে চ্যালেঞ্জ করিস? আমি যদি চাই তাহলে তুই মন্ত্রণালয়ের ত্রিসীমানায়ও ঘেঁষতে পারবি না। এমনকি তোর নিজ এলাকা কচুয়ায় যাওয়াও বন্ধ করে দেবো।’
আতিকুর আরো বলেন, ‘লিটন, তুই মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন স্থানে টেন্ডারবাজি করেছিস। সম্প্রতি তেজগাঁও বিজি প্রেসের তিনটি টেন্ডার দাখিল করেছিস। অথচ মন্ত্রী কিংবা সচিব এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।’
কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির উপক্রম হলে মন্ত্রীর দফতরে দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল অলি, কনস্টেবল রেজা ও কনস্টেবল এমদাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তাদের দুইজনকে মন্ত্রীর এপিএস শাহ আলমের দফতরে নিয়ে যান।
আতিকুর ও লিটনের বাড়ি কচুয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গ্রামে। গত সপ্তাহে এই লিটনের অভিযোগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সেলিমকে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব আমিনুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার কথা শুনতে পেয়েছি। তবে কী ঘটেছে তা দেখিনি।’
বিষয়: বিবিধ
১১০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন