বাংলার সাহসি সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের দ্বিতীয় দিনের রিমান্ডের উত্তর।
লিখেছেন লিখেছেন থাবা নানা ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:৪৬:০৩ সন্ধ্যা
রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে মাহমুদুর রহমানের কাছে ‘হেফাজতের টাকার’ খবর জানতে চাইলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব- উল আলম হানিফ দলীয় একটি জনসভায় অভিযোগ তুলেছিলেন ‘আমার দেশ’ পত্রিকা অফিসে বসে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের আয়োজন করার টাকা ভাগাভাগি হয়েছে। ওই টাকার মধ্যে হেফাজতে ইসলাম পেয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। ওই টাকা ভাগাভাগির বিষয়ে গতকাল পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্রমতে শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের দু’টি ঊর্ধ্বতন দল ওই বিষয়ে মাহমুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদকালে গোয়েন্দা পুলিশ তার কাছে টাকা ভাগাভাগির বিষয়ে ব্যাপক ভাবে জানতে চায়। ওই রাতে ‘আমার দেশ’ পত্রিকা অফিসে কোন বৈঠক হয়েছিল কিনা? সে বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের কোন কোন নেতা ছিলেন এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বাইরে অন্য কারা ছিলেন। টাকার ভাগাভাগি ছাড়াও ওই বৈঠকে আরও কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। ওই টাকা কিভাবে কোথা থেকে এসেছে, কারা টাকা দিয়েছে সে বিষয়গুলোও মাহমুদুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সূত্রমতে মাহমুদুর রহমান ওই সব প্রশ্নের জবাবে শুধু বলেছেন, এগুলো ভিত্তিহীন বানোয়াট সাজানো গল্প। পাল্টা তিনি বলেছেন, আমি তো এখন বন্দি আপনারা প্রমাণ করুন আমার দেশ পত্রিকা অফিসে আদৌ কোন বৈঠক হয়েছে কিনা এবং বহু সাংবাদিকের কোলাহলময় একটি পরিবেশে একটি পত্রিকা অফিসে এমন গোপন কোন বৈঠক হতে পারে কিনা? সেখানে এত বিপুল অংকের টাকা ভাগাভাগি করা সম্ভব কিনা পাল্টা প্রশ্ন তুলে মাহমুদুর রহমান আরও বলেছেন, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই ‘আমার দেশ’ কার্যালয়টি গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় রয়েছে। ওই সব গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখানে কিভাবে এত বিপুল পরিমাণ টাকা ভাগাভাগি হতে পারে। তা হলে সে সময়ে গোয়েন্দারা কি করেছিলেন। সূত্রমতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে বেশির ভাগ সময় মাহমুদুর রহমানের পাল্টা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদেরকে। ওই সূত্রটি বলছে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মাহমুদুর রহমানের কাছে বারবার জানতে চেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে তার এত সখ্য কি কারণে? হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে তার ওই সখ্য কে গড়ে দিয়েছেন এবং তিনি কেন হেফাজতের বৈঠকে গিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে যাওয়ার পেছনের কি কারণ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রমতে ‘আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান অবিচলিতভাবেই গোয়েন্দাদের সকল প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন বলে সূত্র দাবি করেছে।
সূত্রঃ দৈনিক মানবজমিন।
বিষয়: রাজনীতি
১৪০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন