জীবানুদের জয়
লিখেছেন লিখেছেন হাসান তারেক ০৪ জুলাই, ২০১৩, ১০:৫৪:২৩ সকাল
(জুলাই ২, ২০১৩)
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহিত্যিক ব্যাখ্যার প্রয়াসে...।
কেউ অসুস্থ হলে তার নাম ওঠে রোগীর কাতারে। অসুস্থতার রয়েছে নানা রকম ফের। কোনটা ক্ষণস্থায়ী/সাময়িক, কোনটা স্থায়ী। কোনটার তীব্রতা বেশী আবার কোনটার কম। কোনটা প্রতিরোধযোগ্য আবার কোনটা অপ্রতিরোধ্য। মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের বিভিন্ন রোগ ও তাদের বিভিন্ন নাম।
একটা মানুষের যখন প্রথম অসুস্থতা দেখা দেয় তখন একদম প্রাথমিক পর্যায়ে জীবানুদের সাথে যুদ্ধ শুরু করে শরীরের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনেকটা কম্পিউটারের নিজস্ব ফায়ারওয়াল সিস্টেমের মত। সাথে যুক্ত হয় মনের শক্তি বা মনবল। একসময় সুস্থতা ফিরে আসে। যদি এমন হয় যে, তারা জীবানুদের সাথে পেরে উঠছে না তখন আমরা ডাক্তারের সরণাপন্ন হই এবং তাদের পরামর্শ অনুয়ায়ী ঔষধ সেবন শুরু করি। যাদের এন্টিবায়োটিক বলা হয়। এ সকল এন্টিবায়োটিক জীবানুদের সাথে যুদ্ধ করে। যখন জীবানুরা হেরে যায়,
তখন মানুষটি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
কোন কোন ক্ষেত্রে যদি কঠিন রোগ দেরিতে ধরা পরে তখন জীবানুদের দৌরাত্ম এতটাই বেশি হয়ে পরে যে, করার কিছুই থাকেনা। বরণ করে নিতে হয় মৃত্যুর স্বাদ।
অনেক ক্ষেত্রে কঠিন রোগের বেলায় ধাপে ধাপে চিকিৎসা চলে। জীবানুরা যখন প্রয়োগকৃত এন্টিবায়োটিকদের ক্ষমতা বুঝে ফেলে অর্থাৎ যুদ্ধক্ষেত্রে কর্ম পরিকল্পনা বুঝে ফেলার মত। তখন ডাক্তাররা আরোও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। একটা পর্যায় আসে তখন আর ঔষধে কাজ হয় না। অপেক্ষা করতে হয় আসন্ন মৃত্যুর জন্য।
একটি মানবদেহ যখন সর্বগ্রাসী জীবানুদের হাতে নিঃশেষ হয় তখন জীবানুদের জয় হয়। তারা খুশিতে আত্মহারা হয়ে বিজয় মিছিল বের করে। শুরু হয় মিষ্টি বিতরণ। এহেন মানুষের হয়ত চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায় অথবা খুব দুর্গন্ধ হয়।
যখন ঐ মানুষটিকে কবরে শোয়ানো হয় তখন একজন স্বাভাবিক মৃত মানুষের চেয়ে হয়ত পচনও দ্রুত শুরু হয়। অন্ধকার কবর ঘরেও জীবানুর দল মৃত মানুষটির লাশের উপর আমোদ-ফুর্তি করে আর গেড়ে দেয় বিজয়ের শেষ পতাকাটিও।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন