স্রোতের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে...
লিখেছেন লিখেছেন যাররিনের বাবা ০৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৩৭:৩১ দুপুর
সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বেশ কিছু মত তৈরী হয়েছে।
রাজনীতির লোকেরা একধরণের জটিল দাবামঞ্চে নানা ধরণের সমীকরণের হিসাব মেলাতে ব্যস্ত। এবং সেমতে পরবর্তী চাল কি হবে সে বিষয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন নিশ্চয়ই।
আমি রাজনীতির লোক নই। তারপরও নিজের অবস্হানকে পরিষ্কার করে, কিছু চিন্তা শেয়ার করতে মন চাইলো।
নীতিগতভাবে আমি একজন বিশ্বাসী মুসলিম, আচরণে ও কর্মে সে জন্মসুত্রে পাওয়া মুসলমানিত্বকে ধারণ করার চেষ্টায় আছি। যে কোন অপরাধের ন্যায় বিচারকে সমর্থন করি, কিন্তু শাহবাগে অবস্হান করে বিচারের রায়কে প্রভাবিত করা কিংবা জবাইয়ের শ্লোগান দেয়াকে পরিষ্কারভাবে অবিচার এবং অন্যায্য বলে মনে করি।
অবস্হান পরিষ্কার করাটা জরুরী, কেননা পরিষ্কার না হলে কে কোন মতলবে কি বললো সেটা বোঝা দায় হয়ে পড়ে।
অতি সম্প্রতি সরকার তিনজন ব্লগারকে গ্রেফতার করেছে। তাদের ইসলাম বিদ্বেষকে চুড়ান্তরকমের ঘৃণা করা সত্বেও, আমি এ গ্রেফতারীর বিপক্ষে। কারণটা খুব সহজ। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে অথবা বিদ্যমান সামাজিক-আইনী প্রাক্টিসে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলাটা সেভাবে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি এতদিন। সুতরাং, সরকারী কর্তৃপক্ষ, সরকার প্রধান সদিচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে যদি মনে করেন, যা হয়েছে হয়েছে- কিন্তু এখন থেকে জিরো টলারেন্স, তাহলে সেটি পরিষ্কার করে বলা উচিত। এরপরেও যদি কেউ সে সীমাটি লংঘন করে, তখন তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্হা নেয়া যৌক্তিক।
কিন্তু বলা নেই কওয়া নেই- একরাতের মধ্যেই চুনোপুটিদের পুলিশি অভিযানের মুখোমুখি করে একেবারে চৌদ্দ দিনের রিমান্ড চেয়ে দশ দিন পেয়ে মোটামুটি ব্লগোস্ফিয়ারে শুদ্ধি অভিযান- সরি, এত ভালো ভালো নয়!
দুঃখিত, এ গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনীতি আছে, চানক্য নীতিও আছে, ভোটের সমীকরণ আছে- কিন্তু যেটি সবচেয়ে বেশী দরকার ছিলো, সেই সদিচ্ছাটুকুর বড়ই অভাব বোধ করছি।
অবশ্য, এই পোড়ার দেশে, সদিচ্ছা বরাবরই বড়ই দূর্লভ!
বিষয়: রাজনীতি
১১৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন