এবার পঞ্চম শ্রেণীর বইয়ে ইসলামের ইতিহাস বিকৃতি
লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর ১৬ মার্চ, ২০১৩, ০৫:২০:১৩ সকাল
মাধ্যমিক স্তরে নবম ও দশম শ্রেণীর ধর্মীয় শিক্ষা বইতে দেবদেবীর নামে উত্সর্গ করা খাদ্য হালাল বলে উল্লেখ করায় ব্যাপক সমালোচনার রেশ না কাটতেই এবার পঞ্চম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইতেও ভুল তথ্য দিয়ে ইসলামের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত ও ভারতের কলকাতার ২০ হরচন্দ্র মল্লিক (শোভাবাজার) কৃষ্ণা ট্রেডার্স কর্তৃক মুদ্রিত বিনা মূল্যের "ধর্মীয় শিক্ষা" বইটির রচনা ও সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ তমীযুদ্দীন, অধ্যাপক এবিএম আবদুল মান্নান মিয়া ও মুহাম্মাদ কুরবান আলী। সমন্বয়ক হিসেবে বইটিতে মো. মোসলে উদ্দিন সরকারের নাম উল্লেখ রয়েছে।
বইটির ৫৮নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ‘ইসলাম এত উদার যে, মহানবী (সা.) ইয়াহুদি, খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের মদিনা মসজিদে এবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
বইটিতে এমন লেখায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদরা। বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ন ম রফিকুর রহমান বলেন, রাসুল পাক (সা.)-এর জীবনীতে মদিনার কোনো মসজিদে এবাদতের জন্য ইয়াহুদি, খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের সুযোগ করে দেয়ার কথা সত্য নয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. শব্বির আহমদ বলেন, মদিনার মসজিদে নববি ছিল রাসুল (সা.)-এর সচিবালয়। তিনি সেখানে বসেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। সেখানে বিভিন্ন সময়ে ইয়াহুদিরা কথাবার্তা বলার জন্য যেতেন। কিন্তু রাসুল (সা.)-এর ইয়াহুদি, খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের মসজিদে এবাদত করার সুযোগ দেয়ার কথা কোথাও বলা হলে, সে তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। এটি ইসলামের ইতিহাসের চরম বিকৃতি।
বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমদের সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) নাস্তিক মুরতাদদের কথায় পরিচালিত হচ্ছে। আর এ সুযোগে নাস্তিকরা বারবার ইসলামকে অবমাননা করে যাচ্ছে। এটি ইসলামের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই মনে করেন তিনি। যারা এ কাজে জড়িত তারা কবিরা গুনাহ করেছেন বলেও মনে করেন তিনি।
সূ্ত্র: দৈনিক আমারদেশ
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন