দুটি ভুল

লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ রাসেল ০৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৩৯:৪৯ দুপুর

১.

ইক্বামাত দেয়া হচ্ছে, অথচ তখনও অনেক মুসল্লি দাঁড়িয়ে কাতার ঠিক না করে বসে থাকেন। ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ’ এই জায়গায় আসলে তারপর ওনারা দাঁড়ান। আমি ব্যাপারটা ঠিক বুঝি না। এটা কি ওনারা কোনো হাদীস/ফাতওয়ার অনুসরণ করে এমনটা করেন? নাকি মুরুব্বীদেরকে এমনটি করতে দেখেছেন তাই ওনারাও দিনের পর দিন বছরের পর বছর এটি পালন করে যাচ্ছেন? এমন কোন হাদীসের কথা আমার আসলে জানা নেই, নামায নিয়ে রচিত হাফিয ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ, নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ বা প্রসিদ্ধ স্কলারদের কোনো কিতাবে আমি এমনটি পাইনি। আর ইক্বামাতের শুরু থেকে না দাঁড়িয়ে বসে থাকাটা আমার কাছে একেবারেই অযৌক্তিক মনে হয়। কারণ যিনি ইক্বামাত দিচ্ছেন তিনি কিন্তু শুরু থেকে দাঁড়িয়েই ইক্বামাত দিচ্ছেন, যদি ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ’ পর্যন্ত বসে থাকার নিয়ম থাকতো, তাহলে ইক্বামাতকারীকেও ওই পর্যন্ত বসেই ইক্বামাত দিতে হতো, ইক্বামাতকারীর জন্য এক নিয়ম আর সাধারণ মুসল্লিদের জন্য আরেক নিয়ম তা তো হতে পারে না। সুতরাং আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার বলে ইক্বামাত দেয়ার সাথে সাথে জামায়াতের কাতারে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।

২.

যুহর, মাগরিব আর ইশার ওয়াক্তে ফরজ, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামায আদায়ের পর একেবারে শেষে অনেকেই দুই রাকআত নফল নামায পড়েন, এটি ভালো। বেশী বেশী নফল নামাযের কারণে হাশরের ময়দানে আল্লাহ্‌ ফরজ ওয়াজিবের ঘাটতি, কমতি, ভুল ভ্রান্তিগুলো দূর করে দিবেন ইনশা আল্লাহ্‌। সময় থাকলে বা সময় করে নিয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই বেশী বেশী নফল নামায পড়া উচিৎ। কিন্তু অনেক মুসল্লিকে দেখা যায়, ওই তিন ওয়াক্ত নামাযের শেষে ২ রাকআত নফল নামাযটা ইচ্ছেকৃত ভাবে বসে আদায় করেন। কেউ নামায পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে নফল নামায বসে পড়লে ইসলাম সেটাকে অনুমোদন দেয়, কিন্তু একেবারে নিয়ম করে দিনের পর দিন প্রতি যুহর, মাগরিব, ইশার নামাযের শুধু স্পেসিফিক ভাবে ওই ২ রাকআত নফল নামায বসে আদায় করার এই নিয়ম কীভাবে কোত্থেকে আবিষ্কার হয়েছে তা গবেষণার দাবী রাখে। শক্তি সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও এইভাবে ঐতিহ্যগত ভাবে বসে বসে প্রতিদিন ২ রাকআত নফল নামায পড়া বিদ’আত- এই ফাতওয়া দেয়ার অধিকার আমি রাখি না। ফাতওয়া দেয়ার দায়িত্ব স্কলারদের, ওনারাই দিক। কিন্তু ব্যাপারটা আমার কাছে একেবারেই অযৌক্তিক মনে হয়েছে, যারা এইভাবে প্রতিদিন বসে বসে নামায আদায় করেন, তারাও কোনো কিতাব থেকে এই আমলটা করছেন বলে আমি মনে করি না।

আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে এইসব ভুলভ্রান্তি সংশোধন করার তাওফীক দিন।

বিঃদ্রঃ আমার কাছে যে দুটি ভুল মনে হয়েছে, তা অন্য কারো কাছে ভুল মনে নাও হতে পারে। তাই ভুল মনে না করে থাকলে রেফারেন্স সহ কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো।

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

345037
০৮ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:১০
হরিণ খাইন গোয়েন্দা সংস্থা লিখেছেন : লেখাটা পড়ে ভালো লাগল , ধন্যবাদ।
345045
০৮ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : প্রথমটি ভুল একটি কাজ। এটির পক্ষে কুরআন বা হাদিসের কোন দলিল নাই। অনেকে শুধু মুরুব্বিদের আমলবলে করতে চাপ দেন।
দ্বিতিয়টা বিস্তারিত জানা নাই তবে সম্ভবত পক্ষে দলিল আছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File