শেখ মিঠুনের চলে যাওয়া মানে একটি মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে যাওয়া
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ রাসেল ২৫ মে, ২০১৫, ১০:৩৩:৪৭ রাত
যারা সংস্কৃতি নিয়ে ভাবেন, সংস্কৃতি নিয়ে দিন রাত কাজ করেন, সংস্কৃতির মাধ্যমে পুরো সমাজকে আমূলে পাল্টে দেয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদের মধ্যে ইসলাম নিয়ে উঁচু মানের ধারণা রাখেন এবং একই সাথে ইসলামী জ্ঞানকে মানুষের কাছে উপস্থাপন করার ক্ষমতা রাখেন- এরকম মানুষ হয়তো অনেক আছেন, কিন্তু আমি খুব কমই দেখেছি। একজন হচ্ছেন কবি মতিউর রহমান মল্লিক, তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন বছর খানেক আগেই। সাঈদী সাহেব বলতেন, কবি মল্লিকের এক একটি কবিতা নিয়ে এক একটি তাফসীর লেখা যাবে। আরেকজন শেখ আবুল কাশেম মিঠুন, তিনিও গত রাত ২টায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।
শেখ মিঠুন বাংলা চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন অভিনয় করেছেন, তারপর আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে তিনি দ্বীনের পথে এসেছেন, দ্বীনের পথে এসে তিনি একটি মুহূর্তও বসে থাকেননি, দ্বীনকে বোঝার জন্য পড়াশোনা করতেন দিনের পর দিন, রাতের পর রাত। তিনি জীবনকে নতুন ভাবে উপলব্ধি করেছেন, দ্বীনের পথে বেঁচে থাকা যে আল্লাহর কত বড় নিয়ামাত, তা তিনি দেশের এখানে ওখানে মানুষকে জানাতেন। আমি নিজেও অনেক প্রোগ্রামে তাঁর বক্তব্য শুনেছি। সুবহানাল্লাহ, দ্বীন নিয়ে যে উনি সত্যিই অনেক পড়াশোনা করতেন এবং এই দ্বীনের পথে থেকে যে তিনি আল্লাহর কাছে কতটা কৃতজ্ঞ তা তিনি তাঁর প্রত্যেকটি কথাই বোঝানোর চেষ্টা করতেন। তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাস, নোটস গুলো ইসলাম নিয়ে তাঁর জ্ঞান এবং উপলব্ধি খুব ভালো ভাবেই জানান দেয়, আমি তাঁর স্ট্যাটাসগুলো পড়ে সত্যিই অবাক হতাম, কমেন্টে অসংখ্য বার জানিয়েছি, ‘মিঠুন ভাই আমি মুগ্ধ, আপনি আমাকে মুগ্ধ করছেন’।
ইক্বামাতে দ্বীন বা ইসলামী আন্দোলনে মানুষ সম্পৃক্ত হোক, মানুষের ঘরে ঘরে দ্বীনের নূর পৌঁছে যাক, এই স্বপ্ন মিঠুন ভাই দেখতেন, তিনি তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে অনেক দূর হেঁটেছেন, এখন আমাদের হাঁটতে হবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। মানুষটার জন্য অন্তর থেকে শুধু দুয়া আসছে, আল্লাহ্ ওনার নিয়ামাত প্রাপ্তদের দলে মিঠুন ভাইকে স্থান দিন, জান্নাতুল ফিরদাউসের ফুল পাখিদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ দিন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রত্যাশা প্রাঙ্গন এর এক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয়েছিল দুইজন এর সাথেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন