অভিযান চালানোর জন্য চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা?
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ রাসেল ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:২৫:৪৯ বিকাল
কী নির্মম! কী বীভৎস! সাত সাতটি জীবিত মানুষ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আরো অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। সন্ত্রাস কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী তার সবচেয়ে নিকৃষ্ট উদাহরণ এই ঘটনাটি।
মধ্যরাত ৩টায় ঘটনাটি ঘটেছে। টিভি চ্যানেলের নিউজে দেখলাম, ওই বাসের-ই একজন যাত্রী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বললেন, উনি সহ বাসের সবাই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন, হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখেন পুরো বাসে আগুন, উনি জানালাটা খুলে কোনোরকমে বের হলেন। কিন্তু সাথে থাকা ওনার মামাতো ভাই বেরোতে পারলেন না, পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেলেন। ঘটনাস্থলেই পুলিশ ছিল, তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে, মানুষকে জীবিত পুড়তে দেখেছে হা করে, না অ্যাম্বুলেন্স ডেকেছে, না ফায়ার ব্রিগেড।
পুলিশের ভূমিকার কথা পরে বলছি, প্রথমেই দেখতে হবে এখন এই ঘটনায় কার ক্ষতি হচ্ছে? কার জনপ্রিয়তার পারদ নিচের দিকে নামছে? উত্তর হচ্ছেঃ ২০ দলীয় জোটের। এখন এই জায়গায় আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ২০ দলীয় জোট জানে যে এই ধরণের ঘটনা ঘটালে তাদের জনপ্রিয়তা কমবে, মানুষ তাদেরকে ঘৃণা করবে, যারা মারা গেছে তাদের পরিবার কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবে না, উপরন্তু এই ঘটনায় মামলা হবে, তারপর সরকারী নির্যাতনের স্টিম রোলার চলবে। তাহলে এতো কিছু জানার পরেও ২০ দলীয় জোট কেন এই ধরণের নিন্দনীয় ঘটনা ঘটাবে? আমার সেন্স অফ হিউমারে তো এটা কিছুতেই আসছে না। আমার বিবেক কিছুতেই সায় দিচ্ছে না যে ২০ দলীয় জোটের কেউ এই কাজ ভুলেও করতে পারে।
একে তো পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, তার উপর অনেক দিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির পাশাপাশি আনসার সদস্যদেরকেও মোতায়েন করা হয়েছে, আমি যতটুকু জানি। এতো এতো নিরাপত্তার মধ্যে চৌদ্দগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই ঘটনা ঘটানোর সাহস কার? দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানুষ জীবিত পুড়ে গেলে লাভ কাদের? ফায়দা লুটতে পারবে কারা? মোদ্দা কথা, মানুষ মেরে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের মধ্যে ঘৃণা সৃষ্টি করার কর্মসূচী যারা নিয়েছে তারা অত্যন্ত ভয়ংকর রাজনীতিবিদ। এই ভয়ংকর রাজনীতিবিদেরা একটি আন্দোলন বন্ধ করার জন্য একটা ফর্মুলা সেট করেছে, প্রথমে টার্গেট করে একটি এলাকায় এরকম নির্মম ঘটনা ঘটাবে, তারপর মিডিয়া ক্যুর মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি করবে, এরপর ঐ এলাকায় যৌথবাহিনী দিয়ে অভিযান চালিয়ে আরো নির্মমভাবে আন্দোলনকারীদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে হত্যা করবে এবং বাড়ি-ঘর তছনছ করবে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আমরা এখন তা-ই দেখব।
শেষ কথাঃ পোড়া মানুষগুলোর ছবি দেখলাম। ব্ল্যাক পলিটিকস এর সবচেয়ে নির্মম বলি হয়ে জীবিত মানুষগুলো এখন ব্ল্যাক ডেড বডি। কী লোমহর্ষক! রাত তিনটায় কেমনে পারল এই কাজটা করতে? একটি এলাকাকে যৌথবাহিনী দিয়ে তছনছ করার খায়েশ থাকলে এমনিই মেটাতো, কেন মানুষগুলোকে পুড়িয়ে কয়লা বানালো? আন্দোলনের বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি করা এতোই জরুরী?
বিষয়: বিবিধ
১০৯৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ পুলিশ হলেও ওরাও তো মানুষ ! জানের মায়া আপনার আমার চেয়ে উনাদের কি কম ?
যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতেই সরকার বিরোধী পক্ষ এই কাজ করে যাচ্ছে ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : সবই আল্লার ইচ্ছা...........।A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আর যারাই সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে (এবং এর আদেশ দিচ্ছে), তারা জেনে রাখুক "إِنَّ بَطْشَ رَبِّكَ لَشَدِيدٌ" - নিশ্চয় আল্লাহর পাকড়াও বড়ই কঠিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন