ইসলামী সাহিত্য হয়ে গেছে 'জঙ্গি বই'

লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ রাসেল ০১ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩৮:৫৬ রাত

লক্ষ্য করুন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী এই দেশে যে ফরম্যাটে কাজ করেছে তাতে কেউ কখনো বলতে পারেনি যে এই দলটি ‘জঙ্গিবাদ’ লালন করে। বিশেষ করে ‘৮০র দশক থেকে ছাত্রশিবিরের উত্থানে ছাত্রলীগ এবং বামপন্থীরা বেশ ক্ষিপ্ত হলেও শিবিরকে ‘জঙ্গি’ বা ‘বোমাবাজি করে ইসলাম কায়েম করতে চায়’ এই কথা কেউ কখনো বলেনি বা বলতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ব্যাপক দাওয়াতি কাজ, বিশেষ করে সাঈদী সাহেবের তাফসীর মাহফিলের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামী আন্দোলনের পতাকাতলে এসেছেন। আমরা জানি, যেদিন যে জেলায় সাঈদী সাহেব তাফসীর মাহফিল করতেন সেইদিন সে জেলায় শত শত মানুষ জামায়াত-শিবিরে যুক্ত হয়ে যেতেন। আমরা এর প্রত্যক্ষদর্শী, সাঈদী সাহেব চট্টগ্রাম-রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশী তাফসীর মাহফিল করেছেন, তাই এইসব জায়গায় জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকের সংখ্যা অন্য যে কোন বিভাগের তুলনায় সবচেয়ে বেশী। অর্থাৎ আপাদমস্তক জামায়াত-শিবির একটি দাওয়াতি সংগঠন, মানুষকে দাওয়াত দিয়ে দিয়ে জামায়াত-শিবির এই দেশে ইসলাম কায়েম করতে চায়, বোমাবাজি বা তথাকথিত জঙ্গিবাদের মাধ্যমে নয়।

ঠিক এই জিনিসটা আওয়ামী লীগ কতটুকু বুঝেছে জানি না, কিন্তু ভারত বেশ ভালোই Catch করেছে, তারা যেদিন থেকে বুঝেছে জামায়াত-শিবির তাফসীর মাহফিল করে করে আর ইসলামী সাহিত্য পড়িয়ে পড়িয়ে মানুষকে তাদের দিকে Divert করছে সেদিন থেকে ভারত জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে। বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা সাঈদী সাহেবের তাফসীর মাহফিলে প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা করত, কারন তারা জানত যে এটা দ্বীনের কাজ, এতে মানুষ নামাযী হয়, দ্বীনদার হয়। কিন্তু ভারত বুঝে গেছে এই দেশের মানুষ ইসলামিক হয়ে গেলে তাদেরকে আর সেবাদাস বানিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তাই ২০০১ সালে জামায়াত-শিবির ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার পর ভারত এই দেশে তার শেষ দেখতে পায়, তখনই এই দেশে ‘জঙ্গিবাদ’ নামে অপপ্রচার শুরু করল, ইসলামী সাহিত্য অর্থাৎ কুরআন-হাদিসের বইকে ‘জিহাদী বই’ নামে আখ্যায়িত করা হল। ভারত বুঝতে পেরেছে, এই ইসলামী সাহিত্যগুলোকে যদি বিতর্কিত করা না যায়, তাহলে মানুষ এগুলো পড়ে পড়ে শুধু আল্লাহ্‌কে ভয় পাবে, কোন মানুষকে ভয় পাবে না, আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কারো সার্বভৌমত্ব স্বীকার করবে না। অথচ আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, ভারত যে বইগুলোকে ‘জঙ্গি বই’ বলছে সেইসব বইয়ে সন্ত্রাসকে উস্কে দেয়ার মতো একটি শব্দও নেই, বোমা মারার জন্য উৎসাহিত করে এমন একটি বাক্য বা শব্দও নেই। অথচ ভারত এবং তাদের এই দেশীয় দোসরেরা এই বইগুলোকে জঙ্গি বই বা জিহাদি বই নামে আখ্যায়িত করে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে এইসব বই পড়া থেকে বিরত রাখতে চায়।

আমরা যারা ইসলামী আন্দোলন করি, মানুষকে সত্য ও সুন্দর পথে চলার জন্য ইসলামের দিকে আহ্বান করি তাদের উচিত ভারত ও তাদের দোসরদের সকল মিথ্যা প্রপাগান্ডাকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে ইসলামী সাহিত্য বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া। বোমা মেরে ইসলাম কায়েম করা যে আমাদের কর্মনীতি নয়, তা আমাদের কাজ দিয়ে সবার কাছে প্রমাণ করতে চাই, বিশেষ করে যারা ‘জঙ্গি’ অপবাদ কপালে জোটার ভয়ে বাসায় ইসলামী বই রাখতে চান না বা পড়তে চান না, তাদের জন্য একটি চমৎকার লিংক শেয়ার করছি। অনলাইন লাইব্রেরিnull

বইগুলো নিজে পড়ুন এবং ইসলাম বিরোধী বা সন্ত্রাসকে উস্কে দেয়ার মতো একটি শব্দও আছে কিনা নিজে দেখুন এবং অপপ্রচারকারীদের দেখাতে বলুন। জাযাকাল্লাহ্‌।

বিষয়: বিবিধ

১৮২৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

158179
০১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৪
বড়মামা লিখেছেন : ইনশাআল্লা বাংলাদেশে এক দিন ইসলাম কায়েম হবে। খুব ভালো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৯
112828
আবদুল্লাহ রাসেল লিখেছেন : ইন শা আল্লাহ্‌।
158180
০১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৬
ভিশু লিখেছেন : কমিউনিস্ট নিয়ন্ত্রিত নাস্তিক প্রভাবিত র‍্যাব-পুলিশের বন্দুক আর গুন্ডা-মাস্তানদের চাপাতি-নির্ভর আওয়ামী লীগের কাছে ইসলামী সাহিত্য জঙ্গি বই হবে না কেন?
০২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৪
112831
আবদুল্লাহ রাসেল লিখেছেন : জী।
158183
০১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৭
পলাশ৭৫ লিখেছেন : মৌদুদি,গো আযমের বই আর ইসমালি বই এক জিনিস না
০২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০২
112830
আবদুল্লাহ রাসেল লিখেছেন : লিংকটাতে গিয়ে বইগুলো পড়ুন। এরপর নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন, এই বইগুলো ইসলামিক নাকি ইসলামিক না।
http://ohilibrary.blogspot.com/
০২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১৭
112844
বড়মামা লিখেছেন : কেউ যদি বলে যে মোরগের পিছনে যে লাল টুকটুকে দেখতেছো ঐগুলি জলন্ত আগুন। সাবধান ঐ মোরগের ধারে কাছেও যেওনা পুড়ে যাবে।আসলে কি তা,মোরগের কছে যাইয়া দেখেন লেজে হাত লাগান যা শুনেছেন সব ভুল ধারনা মিথ্যা কথা প্রমান হবে।কারো বই পড়লেই মানতে হবে এমন কথা নয় ।আপনি কাদিয়ানী, হিন্দু,সিয়া,ভান্ডারী,খ্রীসটান,বুদ্ধ সবার বই পড়েন এবং মৌদুদীর বইও পড়েন পরে আল্লাহর কছে বলেন আল্লাহ তুমি আমাকে হেদায়ত করো।আমি যাতে তোমার পক্রিত বান্দা হতে পারি।যেনে শুনে মন্তব্য করোন।আল্লাহ আমাকে এবং আপনাকে করুন আামিন।
158228
০২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৪০
শেখের পোলা লিখেছেন : ভারতের চাইতে তাদের সেবাদাস যারা আমাদেরই মাঝে বাস করে নিজেকে মুসলমান তাহাজ্জদ পড়ুয়া বলে দাবী করে, তারা আরও বিপদজনক৷ তাদের প্রতিহত আগে করতে হবে৷ তারা এ কর্ম করার জন্যই আর শরীরে মালাউনের রক্তের উস্কানিকেই চেতনা নাম দিয়ে ওদের পায়ে গড় করাতে চেষ্টা করছে৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File