ভারতীয় সংস্কৃতির বিপরীতে ইসলামী সংস্কৃতির উত্থান প্রয়োজন
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ রাসেল ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০২:৪৮:০৩ দুপুর
নাটক, সিনেমা, সংগীতের মাধ্যমে ভারত তার শিক্ষা, সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রভৃতি পৃথিবীর দেশে দেশে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এই ক্ষেত্রে ভারতকে আমি ১০০% সফল বলব। আমরা বাংলাদেশে বসে যতোই তাদের সমালোচনা করি না কেন, তাদের সংস্কৃতিকে পৌত্তলিক, ভয়াবহ রকম ভাবে শির্ক মিশ্রিত, চরিত্র নষ্টকারী ইত্যাদি বলে আমাদের দেশ থেকে বা আমাদের পরিবারগুলো থেকে যতোই ভারতীয় সংস্কৃতি বিতারিত করার চেষ্টা করি না কেন, আগামী ১০০ বছরেও তাদের সংস্কৃতি আমাদের দেশ থেকে বিতারন, উৎখাত বা বয়কট কোনটাই করা সম্ভব নয়। ফেসবুক, ব্লগ, পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশনে ভারতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রচারণা, তাদের টেলিভিশন চ্যানেল বয়কট, ক্যাবল অপারেটরদের বলে-কয়ে তাদের চ্যানেলগুলো বন্ধ করানো, এমনকি সরকারী উদ্যোগে ভারতীয় চ্যানেল, নাটক, সিনেমার প্রবেশাধিকার রোধ করেও তাদের সংস্কৃতি বাংলাদেশে বন্ধ করা অসম্ভব বলে আমি মনে করি।
হ্যাঁ আপনি বন্ধ করতে পারবেন, চিরতরে ভারতীয় সংস্কৃতি বাংলাদেশ থেকে দূর করতে পারবেন যদি……..। যদি ভারতীয় সংস্কৃতির বিকল্প কিছু এই দেশের মানুষকে আপনি দিতে পারেন। ভারতীয় সংস্কৃতি শির্ক, পৌত্তলিক মিশ্রিত হবেই, এটা ওদের দেশের কালচার। কিন্তু আপনি যদি ভারতীয় সংস্কৃতিকে একপাশে ঠেলে দিয়ে এই দেশীয় সংস্কৃতিকে পৃথিবীতে বিজয়ী করতে চান, তাহলে আপনাকে ইসলামকে ব্র্যান্ডিং করা শিখতে হবে। সুরের যাদুকর বলে খ্যাত এ আর রাহমানের সংগীত আপনি হাবিবকে দিয়ে বন্ধ করালে হবে না। হাবিব ইসলামকে ব্র্যান্ডিং করতে পারবে না। যারা ইসলামটাকে বুঝে বা দ্বীন ইসলামকে বাংলাদেশে বিজয়ী করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তাদেরকেই ইসলামী সংস্কৃতির উত্থান ঘটাতে হবে। এ আর রাহমান তার সংগীতে খাজা মাঈনুদ্দিন, হাজি আলীকে নিয়ে হৃদয়কে মোহাচ্ছন্ন করে ফেলা শির্কমিশ্রিত গান করবেই, আপনি গালি দিয়ে এই দেশের মানুষকে এই গান শোনা থেকে বিরত রাখতে পারবেন না। অত্যাধুনিক মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করে এ আর রাহমান যখন ইয়া খাজা জি বলে টান দেন বা কুন ফায়া কুন বলে শ্রোতার কানে বাড়ি দেন তখন আপনি কী করে শুধু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এই সংগীতের উত্থান ঠেকাতে পারবেন বলে মনে করছেন?
যে আবেগ বা আন্তরিকতা দিয়ে এ আর রাহমানরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে পৃথিবীর দেশে দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তার চেয়ে বেশী আবেগ, বেশী আন্তরিকতা, বেশী ভালোবাসা দিয়ে আপনাকে আল্লাহ্র প্রশংসা করে গান তৈরি করতে হবে, যদি আপনার আবেগ, ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা শতভাগ আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য হয় তাহলে মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করা ছাড়াই আপনার গানটি মানুষের মন কাড়বে। শতভাগ আন্তরিকতা নিয়ে দারুণ সব কনসেপ্ট বিল্ডআপ করে আপনিও অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা মুক্ত শর্টফিল্ম, নাটক, চলচ্চিত্র তৈরি করে ফেলুন, আপনার সৃষ্টিই ভারতীয় সংস্কৃতিকে এই দেশ থেকে চিরতরে দূর করতে সহায়ক হবে, ইন শা আল্লাহ। প্রয়োজন শুধু উদ্যোগ নেয়ার, প্রয়োজন শুধু আন্তরিকতার, ভালোবাসার
আমার নিজস্ব ব্লগেও লেখাটা দিয়েছিঃ
ইসলামী সংস্কৃতি
বিষয়: বিবিধ
২০৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন