‘’তোমরা যারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন কর’’ (পর্ব-১)
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ রাসেল ৩১ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৪৮:২৮ রাত
শিরোনাম দেখে ভুল বুঝবেন না, মুক্তিযুদ্ধের ভণ্ড চেতনাধারী জাফর ইকবালের লেখা নয় এটি। এই লেখাটি জনৈক ভদ্রলোকের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, যিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাপূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তর আওয়ামী লীগকে গভীর দৃষ্টিতে নিজ চোখে অবলোকন করেছেন। আমি তাঁর পক্ষ হয়ে এই লেখাটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি মাত্র। আশা করি লেখাটি নিজে পড়বেন এবং এই দেশের আওয়ামী সমর্থক বিভ্রান্ত তরুণ-তরুণীদের কাছে পৌঁছে দিবেন।
স্বাধীনতাপূর্ব আওয়ামী লীগ দল হিসেবে কেমন ছিল, তা বর্ণনা করার খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারন স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে একটি দলের ফ্যাসিস্ট আচরণগুলো অনেকেই ধর্তব্যে নিতে চাইবেন না, অনেকেই বলবেন ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য পাকিস্থানিদের সাথে একটু-আধটু ফ্যাসিস্ট আচরণ তেমন কিছু নয়’, কিন্তু ঐ বিভ্রান্ত আওয়ামী সমর্থক এবং জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন করতে চাই- জনাব, পাকিস্থানিদের সাথে ফ্যাসিস্ট আচরণ মানা গেল, কিন্তু নিজ দেশের মানুষের উপর আওয়ামী লীগ যে নির্মমতা চালিয়েছে তার কি ব্যাখ্যা দিবেন আপনি? জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘কেমন নির্মমতা?’ আমি পাল্টা প্রশ্ন করব, নির্মমতার কি কিছু বাকী রেখেছে আওয়ামী লীগ? দেশ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক রাষ্ট্রে কোথায় সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে তা না, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুর্নীতির মহোৎসবের মাধ্যমে ভঙ্গুর দেশকে আরো ভঙ্গুর করে ফেলেছিল সেই সময়। ‘দেশটা শুধু আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি, বাকী সবাই আমাদের প্রজা’- এমন ধ্যান-ধারণা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তা-ঘাটে চলাফেরা করত। দুর্নীতি তো করেছেই, সেই সাথে যাদেরকে একটু আওয়ামী বিরোধী বলে সন্দেহ হতো তাদেরকে ‘পাকিস্থানি’ ‘স্বাধীনতা বিরোধী’ ‘রাজাকার’ বলে হত্যা করা হত। দেশ স্বাধীনের পর পর দেশের যে কোন জায়গায় ‘রাজাকার’ বা ‘রাজাকার সমর্থক’ বা ‘পাকিস্থানি মিলিটারিকে রাস্তা-ঘাট দেখিয়ে সহায়তাকারী’ বা ‘আওয়ামী বিরোধী’ বা ‘মুজিব বিরোধী’ ‘শেখ কামাল বিরোধী’ একজন লোকও পাওয়া গেছে তাদেরকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
ঐ জনৈক ভদ্রলোক ভাষ্য অনুযায়ী, আমার নিজ গ্রামে আমি সাক্ষী, যে যাই মনে করুক না কেন আমার বলতে দ্বিধা নেই, পাকিস্থানি মিলিটারিরা গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে সত্য, মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে অনেককে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে সত্য, কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গ্রামে ফিরে এসে যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে তা আমি জীবনেও ভুলতে পারব না। আওয়ামী বিরোধী বা পাকিস্থানি মিলিটারিদের চাপে পড়ে টুকটাক সাহায্য করেছে এমন ব্যক্তিকে তার পরিবার শুদ্ধ হত্যা করেছে এই আওয়ামী লীগ। শুধু হত্যা নয়, তাদের সম্পদ লুট করে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের এমন আচরণে পাকিস্থানি মিলিটারির সাথে তাদের আর কি কোন পার্থক্য থাকে?
বিষয়: রাজনীতি
১২৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন