এই লেখার কোন শিরোনাম নেই
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ রাসেল ১৪ আগস্ট, ২০১৩, ১০:৪৪:০২ রাত
চারদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত। কায়রোতে রক্ত, ঢাকায় রক্ত, চট্টগ্রামে রক্ত, সাতক্ষীরায় রক্ত, সিলেটে রক্ত, বগুড়ায় রক্ত, ফিলিস্থিনে রক্ত, পাকিস্থানে রক্ত, আফগানিস্থানে রক্ত, সিরিয়ায় রক্ত, মায়ানমারে রক্ত, ইরাকে রক্ত। সব কাদের রক্ত?
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ যারা মুখে, অন্তরে এবং একই সাথে তাদের কাজে স্বীকার করে, এই সবই ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের রক্ত। হামাস আজ হামাস কেন হয়েছে, তালেবান আজ তালেবান কেন, আল কায়েদা আজ আল কায়েদা কেন, আইমান আল জাওয়াহিরি কেন ইখওয়ান ছেড়েছেন??? হাজার হাজার সাথীদের রক্ত দেখতে দেখতে তাদের মন বিষিয়ে উঠেছিল। তাই তাদের মধ্যে আজ কেউ আল কায়েদা, কেউ হামাস আর কেউ বা তালেবান।
হাজার হাজার কর্মীর রক্ত ঝরা সত্ত্বেও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে ইখওয়ান এবং জামায়াতে ইসলামী এখনো শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পক্ষে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, বাতিল শক্তি ক্রমাগত তাদের রক্ত ঝরিয়েই যাবে। সবার মাথায় একটা জিনিস রাখতে হবে, ইখওয়ান বা জামায়াতে ইসলামী এদের মধ্যে কোন দলই পরিকল্পনা বা কোন মিশন ছাড়া বছরের পর বছর এমনি এমনিই রক্ত ঝরিয়ে যাচ্ছে না। এই দুই দলের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। কারো আগামী ২০ বছর, কারো বা ৩০।
এই সময়ের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত সারা বিশ্বের প্রতিটি কোনায় কোনায় পৌঁছে দিয়ে একটি বিশাল সালেহ কর্মীবাহিনী তৈরি করে সারা বিশ্বে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্টা ও মানব জাতির কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে আল্লাহ্ প্রদত্ত ও রাসুল সাঃ প্রদর্শিত দ্বীন(ইসলামী জীবন বিধান) কায়েমের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি ও পরকালীন সাফল্য অর্জন করাই এই দুইটি দলের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য।
তাই সব সময় আল্লাহ্র একটি কথা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে আলা ইন্না নাসরল্লাহি ক্বরিব-আল্লাহ্র সাহায্য অতি নিকটে।
বিষয়: রাজনীতি
১১৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন