ফেলানী দ্বিতীয়বার খুন: নব্য লেন্দুপ দর্জিদের প্রতিক্রিয়া
লিখেছেন লিখেছেন সমীকরণ ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৯:৫০:০৩ রাত
উপনিবেশবাদের মূল লক্ষ্য আর্থিক শোষণ। সময়ের সাথে বদলেছে উপনিবেশবাদের কৌশল - আগে ছিল রাজ্য দখল, এখন বাজার দখল। সিকিম রাজ লেন্দুপ দর্জির বিশ্বাসঘাতকতায় ভারত সিকিমকে গিলেছে বেশ আগেই। সিকিম আর বাংলাদেশ এক নয় - সময়ও এক নয়। তবে ঢাকার রাজপথে নব্য লেন্দুপ দর্জিদের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। ইতিহাসের মামলায় বাংলাদেশী নাগরিকদের 'ফাসি চাই, ফাসি চাই' বলে দিনরাত চিল্লালেও ভারতীয় খুনীদের বেলায় এরা মূর্দার মত নিরব। সেবা দাশ বোধ হয় এদেরকেই বলে...... নিজেদের প্রগতিশীল বা স্বাধীনতার চেতনাধারী বলে পরিচয় দিলেও বাংলাদেশীরা নব্য লেন্দুপ দর্জিদের না চেনার মত বোকা নয়।
বিশাল ভোক্তা শ্রেণী বাংলাদেশকে করেছে এককভাবে ভারতের বৃহত্তম বাজার। বাংলাদেশে বার্ষিক আমদানিকৃত পন্যের শতকরা ১৪ শতাংশ আমদানী করা হয় ভারত থেকে। ভারতের অভ্যন্তরে অনেক গরুর খামার গড়ে উঠেছে শুধু বাংলাদেশে গরু রপ্তানীর জন্য। এইসব গরু আমদানীর সময় বিএসএফ সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে নিরপরাধ ফেলানীরা। তারপরও ফেলানীদের রক্তমাখা ভারতীয় গরুর মাংস আমাদের গলা দিয়ে নামে কিভাবে?? পশ্চিমারা আমাদের তৈরী পোশাক কেনার আগে - তাদের নয়, আমাদের নাগরিক - শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে অস্থির আর আমরা আমাদের নাগরিকদের খুন নিয়েও নির্বিকার!!! এটাই সেবাদাসদের স্বাধীনতার চেতনা!!! দাসত্ব মনে হয় একেই বলে...........
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ভোক্তা বা বাজার সৃষ্টির আধুনিক উপকরণ। আজন্ম নগ্ন সানি লিওনের নামে বাজারজাতকৃত পোষাকের কাটতির দিকে নজর দিলে 'বাজার সৃষ্টিতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কার্যকারিতা' সহজেই বোঝা যায়। তাই সেবাদাশরা স্বয়ং ভারতে বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে অপ্রচলিত হিন্দি সিরিয়াল কিংবা বলিউড মুভি আমাদের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে বা বিনা মাশুলে এয়ার টেলের মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে অন্যায্য সুবিধা প্রদানে এত উতসাহী। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সেবাদাশদের কথা আপাতত বাদ দিলাম; ব্যক্তি পর্যায়ে আপনার করণীয় কি এরপরও কানে-মুখে বলে দিতে হবে???
তথ্য কৃতজ্ঞতা: ব্লগার আইমান হামিদ Blogger Aiman Hamid
বিষয়: রাজনীতি
১২৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন