"রমযানে উমরা পালন ও হারাম শরীফের কিছু ছবি"

লিখেছেন লিখেছেন জোবাইর চৌধুরী ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:৪৯:৩৯ সকাল



মক্কার পবিত্র হারাম শরীফের সম্প্রসারনের কাজ শুরু হওয়াতে ভীড়ের কথা মাথায় থাকলেও রমযানে উমরা পালন হবেনা তা কিছুতেই মনে হয়নি। বিগত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে তার ব্যতিক্রম হয়েছে বলেও মনে পড়ছেনা। তাই আল্লাহ নাম নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চার টায় রওয়ানা দিলাম মক্কার উদ্দ্যশে।যখন মক্কা শরীফে পৌছাই তখন বাজে পৌনে সাতটা। কাজিন মিঠুর সাথে হারামের মাঠে একসাথে ইফতার ও মাগরিবের নামাজ সেরে হাতের ব্যাগটি তাকে দিয়ে চলে গেলাম ভেতরে উমরা পালনের উদ্দ্যশ্যে।

হজ্জ ছাড়া এরকম ভীড় আগে কখনো লক্ষ্য করিনি। অনেকটা সময় নিয়েই উমরা শেষ করলাম, আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধু বান্ধব সব সবার জন্যে আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া চাইলাম।বিশেষ করে বন্ধু সেলিমের জন্যে, যে কিনা মরণব্যাধি ক্যানসারের সাথে লড়ে যাচ্ছেন দিন রাত।আল্লাহ তাকে যেন সুস্হ করে আবারো আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।অশ্রু সজল নয়নে আল্লাহ দরবারে শোকরিয়া আদায় করলাম এই ভেবে যে এমন একটি দেশে তুমি আমায় রেখেছ, ইচ্ছে করলেই তোমার দরবারে এসে হাজির হয়ে চিৎকার দিয়ে চাইতে পারছি, রাব্বানা আতেনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও অফিল আখরাতে হাসানাতাও অকেনা আযাবিন না'র.............. এয়া আজিজু এয়া গাফফার, বেরাহমাতিকা এয়া আরহামার রয়াহেমিন। এর চাইতে পরম পাওয়া ও সৌভাগ্যের আর কি হতে পারে?

কত লক্ষ কোটি ভাইবোন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যাদের ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও আল্লাহ'র হুকুম না হওয়ায় আসতে পারছেনা। হঠাৎ মনে পড়ল চাটিগাঁ থেকে বাহার নামের ব্লগার ভাইটির কথা যিনি সেদিন অনেকটা আক্ষেপ করে লিখেছিলেন, "মহান আল্লাহ আমাকে কখন এভাবে পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ যিয়ারতের বর্ণনাসহ শেয়ার করার সুযোগ দেন জানিনা"। একে একে মনে পড়ল সাইদ, প্যারিস থেকে আমি, আবু আশফাক, আকবার, আবাবিল পাখী, বাকপ্রবাস, নেহায়েৎ থেকে শুরু করে আরো অনেকের কথা।দোয়া করলাম যারা এসেছেন তাদেরকে যেন আবারো, আর যারা এখনো আসতে পারেননি তবে আসতে চায়, তাদের সবাইকে যেন এই পবিত্র ভুমিতে আসার নসিব দান করেন।

এভাবে নামাজ দোয়া শেষ করে কাজিনের বাসায় গিয়ে ঘুম দিলাম। সেহেরী খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে হারাম শরীফে জুমা'র নামাজ আদায়ের কথা মাথায় রেখে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম।পরেরদিন যথারীতি জু"মা, আছর নামাজ আদায় করে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে মাগরিবের ইফতারি নিয়ে আবারো চলে গেলাম হারামের মাঠে। কাজিন মিঠুর ইচ্ছাতেই চলে গেলাম মসজিদের ছাঁদে। কি অভূতপূর্ব এক দৃশ্য!!! অগনিত মানুষের করুণ ফরিয়াদ ও নিরব কান্নার গড়িয়ে পড়া অশ্রু যেন জানান দিয়ে যাচ্ছিল, এক আল্লাহ'র সন্তুষ্টি ছাড়া যেন ঘরে ফেরা নয়।

যথারীতি এশা'র নামাজ সেরে যখন জেদ্দায় ফিরছিলাম নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে ভীড় করল।

"করেছ তুমি ধন্য আমায়

চাইনা কিছু অন্য,

পাপের বোঝা হালকা করে

বাড়িয়ে দিও পূন্য"।

মসজিদের উপর থেকে তোলা কয়েকটি ছবি যা এবার শেয়ার করা যাক।













হারাম শরীফের সম্প্রসারনের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে কি রকম দেখায় তা দেখার জন্যে নিচের লিন্কটি ভিজিট করুন।

http://www.youtube.com/watch?v=qHHmvpjAkOw[/youtube][/img]

বিষয়: বিবিধ

৪৬৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File