হে আল্লাহ বৃষ্টিটা রাত দশটার পরও দিতে পারো!!!!!! আল্লামা সাঈদীকে যেমন দেখেছি...........১

লিখেছেন লিখেছেন দাদা ভাই ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৫৪:৩৮ রাত

সারা এলাকা জুড়ে সাজ সাজ রব। দেয়ালে দেয়ালে চেয়ে গেছে পোষ্টার , লিপলেট আর দেয়াল লিখনে। প্রথম বারের মতো দাগনভূইয়া আসছেন সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুফাসসির আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী । ১৯৮৮ সালের কথা। তখন আমি সবেমাত্র এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছি । যার ওয়াজ এতদিন ক্যাসেট বাজিয়ে শুনেছি তার সামনে বসেই মনোমুগ্ধকর ভাসায়,

যাদুকরী ও মোহনীয় কন্ঠে ওয়াজ শুনতে পাবো।একথা ভাবতেই গা শিহরিত হতে লাগলো। অজানা এক অনুভবে আকৃষ্ট করেছে সবাইকে। কখন আসবে সে দিন। সে ক্ষণ। যতই মাহফিলের দিন ঘনিয়ে আসছে ততই আনন্দে উদ্বেলিত মনের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে লাগলো। এসে গেলো সে কাংকিত দিন। ওমা সে কি!!!!!!!!!!!! সকাল থেকে মূষল ধারে বৃষ্টি। ঘর থেকে বের হওয়ার কোন উপায় নেই। সবাই চিন্তিত। না জানি কি হয়।আদৌ কি মাহফিল হবে। সাঈদী সাহেব কি আসবেন দাগনভূইয়া। মাওলানাকে কাছ থেকে দেখার এবং তার ওয়াজ শুনার দীর্ঘ দিনের আকাংখা পূরন হবে তো দাগনভূইয়া বাসীর। জনতার মন যকন এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে ব্যাস্ত তখনই খবর এলো মাহফিল হবে। ইনশাআল্লাহ।

আসরের একটু আগ থেকেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলো। কিন্তু সারা আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। মহন হয় মেঘেরাও প্রস্তুত সাঈদী সাহেবকে স্বাগতম জানানোর জন্য। যতই সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ছে ততই ঘনীভূত হচ্ছে অন্ধকার। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না।

মাগরিবের নামাজের আগেই লোকে লোকায়রণ্য হয়ে গেলো

ঐতিয্যবাহী আতাতূর্ক হাই স্কুলের বিশাল মাঠ। যেখানে এক্ষুনী শুরু হবে বিশ্ব বিখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা সাঈদী সাহেবের ওয়াজ। মাগরিবের নামাজের পর পরই যতারীতি মাওলানা আসলেন। বসলেন এবং শুরু করলেন। হামদ ও নাত পড়ার পর সংক্ষিপ্ত মুনাজাতে হাত উঠিয়ে আল্লাহর কাছে দরখাস্ত করলেন এভাবে।" হে আল্লাহ । এ কুরআন তোমার। এ মাহফিল তোমার। এতোগুলো লোক দূর দূরান্ত থেকে এসেছে তোমার কুরআনের আলোচনা শুনতে। তুমি তাদের হতাশ করোনা। তুমিই সব কিছুর মালিক। সব কিছুই করতে পারো তুমি। আকাশের যে অবস্থা তাতে মনে হয় এক্ষুনী বৃষ্টি নেমে আসবে। তুমি ইচ্ছে করলে রাত দশটার পরও বৃষ্টি দিতে পারো। হে তুমি আমাদেরকে কবুল করুন। আমিন।"

আল্লাহ কত মহান!! আল্লাহ সে দিন তার গোলাম আল্লামা সাঈদী সাহেবের দোয়া কবুল করেছেন। সে দিন রাতে আর বৃষ্টি হলোনা। বৃষ্টি হলো পরদিন সকালে। সে দিন চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস আদালত সবখানে একটাই আলোচনা। আল্লাহ সাঈদী সাহেবের দোয়া কবুল করেছেন।

এবার ২০১৩ সালে এসে তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দাড়িয়ে আর একটা দোয়া করেছেন আল্লামা সাঈদী। ১৯৮৮ সালের মতো ২০১৩ সালে এসে আর একটা দোয়া কবুলের দৃশ্য দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি!!!!!!!!!!

বিষয়: বিবিধ

১৪৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File