বাংলালিংকে শ্রমিক বৈষম্য, মিডিয়া নিশ্চুপ

লিখেছেন লিখেছেন ভাইরাস ২৯ জুলাই, ২০১৩, ১১:১৫:৩২ সকাল

গ্রাহক বিবেচনায় দেশের ২য় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। এ প্রতিষ্ঠানের একসময়ের মূল ওরাসকম টেলিকম যা বর্তমানে ভিম্পেলকম নামে খ্যাত। সরেজমিন লক্ষ্য করে দেখা গেছে, এ প্রতিষ্ঠান তার কর্মচারীদের মাঝে বেতনের ব্যপক বৈষম্য সৃষ্টি করে রেখেছে। অধিক পরিশ্রম করিয়ে কোন প্রকার ওভারটাইম না দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কল সেন্টারে দেখা গেছে ইনবাউন্ড(যারা ১২১ এর কল রিসিভ করে)-এর দুটি পদবি। এক ট্রেনি(Trainee), আরেকটি অফিসার(officer)। কার্যত এই দুটো পদবির কাজ এক হলেও ট্রেনিরা সাধারণত কল প্রেসার যখন বেশি তখন তাদেরকে কাজে লাগানো হয়। ফলে পুরো প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেনিরা। বেতনের দিক দিয়ে এই ট্রেনিদেরকেই সবচেয়ে অবহেলায় রাখা হয়েছে। ঘন্টায় ৫০ টাকা বেসিক এবং ২৫ টাকা পারফরমেন্সের উপর দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য জয়েন করার কাগজে তাদের(ট্রেনি) সর্বোচ্চ কাজের সীমা ৬ ঘন্টার কথা উল্লেখ করা আছে এবং সপ্তাহে ৫ দিন ডিউটি আর ২ দিন ছুটি। সেই সাথে বিভিন্ন সরকারী বন্ধে ওটি হিসেবে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকার কথা বলা হয়েছে। পারফরমেন্সের ২৫ টাকার কথা বলতে গেলে বলতে হয় আসলে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। যেসব কল ১২১ এ যায় তাদের কলগুলো ১মিনিট ২৫ সেকেন্ডের মধ্যে সমাপ্ত করতে পারলেই শুধুমাত্র পুরোটি পাওয়া সম্ভব। উল্লেখ্য এইসব ট্রেনিদের বেশির ভাগই বিভিন্ন ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে মেয়ে।

সম্প্রতি রমজান মাসে কোম্পানি হটাত করে ট্রেনিদের ডিউটি সাড়ে সাত ঘন্টা দেয়ার তাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় যা তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বললে তাদের ভাষ্য হচ্ছে, "তোমার পোষালে কর, না হলে চলে যাও, সিরিয়ালে অনেক জন আছে"। জয়েন করার সময় সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টার কথা উল্লেখ করলে তারা বলে, "কাগজে তো অনেক কিছুই লেখা থাকে, এটা ব্যবসায়িক প্রয়োজন।"

এসব কোম্পানির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দূর্ণিতির অভিযোগ পাওয়া গেলেও মিডিয়া নিশ্চুপ।

বিষয়: বিবিধ

১৩০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File