একটি অপ্রত্যাশিত চাঁদনী রাত (১৮+)
লিখেছেন লিখেছেন বীর বাংলাদেশী ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৪১:২৪ সকাল
আকাশের নীলিমার সাথে লেপে থাকা কালো মেঘের ভেলা গুলো আস্তে আস্তে সরে যেতেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত হতে থাকলেও আমার মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা অপ্রত্যাশিত বেদনার নীলিমা কিছুতেই সরছিলোনা ।
ঘর হতে খুব সকালেই বেরিয়ে পড়লাম । ঠিক বললাম না হয়তো , ঘর বলতে নিজ ঘর নয় - বান্দরবান সেনানিবাস সি এম এইচ এর পাশে একটি ফ্লাটে (কোয়ার্টারে) বড়বোন থাকতো, দুলাভাই একজন সৈনিক । সেখানে কটা মাস কাটিয়েছিলাম বেশ আনন্দ চিত্তেই । আর আনন্দের খোরাক যোগাতো বি টিভিতে শো-কৃত বাউল ইন্দ্রজিত সরকার । তিনি পেশায় একজন আনসার । দুলাভাই এর মাধ্যমেই পরিচয় তবে ভাবটা বেশ জমেই উঠেছিল । যায় হোক বেরিয়ে পড়লাম, চেক পোষ্ট আসতেই দেখি দুলাভায়ের সাথে এক জন অপরিচিত লোক দাড়িয়ে আছেন । নিকটে পৌছতেই দুলাভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন -উনি আউট ওয়ার্কার , তুইতো কখনো কক্সবাজার যাসনাই তাই উনিই তোকে পৌছেদিবেন , মনে মনে ভাবলাম এটাই বড়দের সমস্যা -ছোটদের নিয়ে সবসময় দুঃস্চিন্তা ।ভেবেছিলাম একটু রিল্যাক্স মুডে ভ্রমন করবো কিন্তু তা আর হলো না, যায় হোক ভদ্রতা পর্বটা সেরে ফেলতে হাত বাড়িয়ে -আমি অন্তর , উনিও একটু মাথা নাড়িযে -আমি জবদুল ।
মাথা ভর্তি ঝাকড়ি চুল কাঁধে ঝোলানো একটি ব্যাগ, ব্যাগে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস আর একটি কলম ও ডাইরি , বিদাই পর্ব সেরে চললাম স্বপ্নের কক্সবাজারের পথে ,সাথে সদ্য পরিচিত জবদুল ।অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ঠিক গোধুলি লগ্নে এসে পৌছলাম কক্সবাজার শহরে, শহরের প্রথম বাস স্টপে আসতেই উনি আমাকে নামতে বললেন, একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে-এসে পড়েছি !! উনি বললেন হাঁ নামুন ।বললাম কৈ ? কোন দিকে সৈকত ? উনি ফিক করে হেসে দিলেন বললেন আরে না সৈকত তো অনেক দুর । তবে এখানে নামলাম কেনো ? এখানেই আমার বাসা লন যায়, না না আমি যাবো না আশপাশে কোন হোটেলেই রাত কাটিয়ে নিবো আপনি যান । কি খন ভাই, এইহানে তো কোন হোটেল নাইকা, তয় আমগো বাসা লেকের ধারে ,সুপারির বাগানের সাথে ,আন্নারে ভালো লাগবো । ওর কাচুমাচু মুখ খানা দেকে মায়া হলো আর লোভ হলো ওর বর্ণনা শুনে । এগুলাম ওর সাথে ,প্রথমে রিক্সা করে অনেক টা পথ পেরিয়ে দেখি একটি খর স্রত নদী ,ওমা আমার তো আক্কেল গুড়ুম । কি আর করার ততক্ষনে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে ভয়ে ভয়ে নদী পার হলাম , ক" ধাপ এগুতেই আমাকে গোটা বিশেক লোক ঘিরে দাঁড়ালো ,আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন সদ্য আগত একটা অন্য গ্রহের মানুষ । আর উনারে বারবার জিগাইতে লাগলো কোথ্থে লইলেন ইটারে ? ততক্ষনে আমার ভয় হতে শুরু করেছে, ভয়টা আরও বাড়লো যখন ওর বাড়ির কাছা কাছি গেলাম । ওমা!!!! একি?...... এখানে কি কোন মানুষ থাকতে পারে ? একটি খরস্রত নদীর ধারে ক-খানা ঝুপড়ি ঘর, না ঠিক ঘর বলা যায় না,কারন- ঘরের ঘর হবার জন্য যে কটা বৈশিষ্ট থাকা প্রয়োজন তার একটিও নেই ।পালাবার কোন পথ নেই, তাই ভয়ে ভয়ে প্রবেশ করলাম । এর পরই শুরু হলো মূল পর্বটি-নিকটের গ্রাম থেকে একে একে ছেলে-বুড়ো ,মেয়ে-বুড়ি সকলেই প্রায় প্রদর্শনি তে অংশ নিলো । এর ফাঁকে ফাঁকে অনেকেই অনেক কথা বলে গেলো যা লিখলে এই ব্লগে ধরবে না ,তবে একটি কথা না লিখে পারলাম না -একটি বুড়ো মা দেখে যাওয়ার সময় বলতে বলতে যাচ্ছিলেন "পোলাটা এইখানে আইলো ক্যানরে? আইলো ক্যামনে? " নির্জন এলাকা অপরিচিত জাইগা, বুকের ভেতরটা দুরু দুরু কাঁপতে লাগলো । ভয়টা ভেতরে লুকিয়ে প্রায় ফ্রি হয়েই সবার সাথে কথা বলছিলাম । হতাশার মধ্যে প্রবেশ করাই কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি কোনটা ঘর আর কোনটা কি? তাই ফুরসত পেয়ে একটু চোখ বুলাতেই বুকের ভেতর বাজ পড়ে গেলো!!!!ওমা !!!!!!!!!!এও কি হয়?? ঘরের এক তৃতাংশ নদীর ওপর ঝুলন্ত , এ যেনো বেইলিং ঘর ।পরক্ষনেই ভেবে নিলাম যাক এটা একটা প্লাশ পয়েন্ট । যদি কোন বিপদ আসে তবে অন্তত নদীতে ঝাপ দেয়া যাবে । পালানোর পথ তৈরি হলো প্রদর্শন পর্বের সমাপ্তি হলো ।
এবার শুরু হলো খাবার পর্ব , এ পর্বে আমার সাথে যোগ দিলো আরও চার পাঁচ জন যুবক । ভয়ের মাত্রাটা কিছুতেই কমছিলো না, সঙ্গদোষে ক'টা মাছ ভাত খেলাম । খাবার শেষে শুরু হলো জবদুলের পারিবারিক গল্প -আমার দুই মেয়ে এক ছেলে , ছেলে রাজ মিস্ত্রির কাজ করে আর মেয়ে দুটি বাড়িতে ।
আমি প্রশ্ন করলাম , কেন লিখা পড়া কিংবা বিয়ে ?
না কোনটাই নয় ।
বললাম, তারা কোথায় ?
উনি বললেন , ছেলেটা বান্দরবানে আর এক মেয়ে বাসায় ।
বললাম , আর এক মেয়ে ?
এবার উনি একটু নড়ে চড়ে ধরা গলাই বললেন , ছোট মেয়েটা মানে.. মানে ..আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছে চলে আসবে ক্ষন । আসলে হয়েছে কি ,আমার বন্ধুর বাসায় কেউ নেই তাই..... । বললাম -না না.. ঠিক আছে ঠিক আছে, বিপদে মানুষ মানুষের পাশে থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক( মনে মনে ভাবলাম- গরিব মানুষ বাড়ির একটু কাজ কাম করে দিলে কটা পয়সা পাবে ) ।
প্রায় বলতে বলতেই একটি উজ্জল বর্ণের যুবতী মেয়ে প্রবেশ করলো ।
উনি বললেন এটাই ছোট মেয়ে ।মেয়েটি মুখ ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেঁসে পাশের ঘরে প্রবেশ করলো । তখন রাত প্রায় ৯টা ততক্ষনে চাঁদের আলোতে ঘরময় আলোকিত হয়েছে । সাথে থাকা পাঁচ জনের এক এক করে তিন জন চলে গেলেও রয়ে গেলো বাকি দুজন । ও হাঁ ততক্ষনে চেয়ারমেনের ছেলের সাথে শোবার জন্য ওর বাড়ি পাঠাতে চাইলো কিন্তু আমার মনের মধ্যে মানব পাচারের ভয় কাজ করছিল , বিধায় আমি যেতে চাইলাম না কিন্তু কেনো জানি উনি আমাকে জোর করতে লাগলেন আমিও আমার সিদ্বধানতে বহাল থেকে পানিতে ঝাঁপ দেযার প্রস্তুতি নিলাম । এমন সময় অনতি দুরে বসে থাকা একজন কঙ্কালসার মহিলা বলে উঠলেন " না থাক আমার বাসার মেহমান আমার বাসায় থাক । তাই হলো , আমিও কিছুটা স্বস্থি পেলাম । মেয়েটিকে দেখে আমার প্রয়াতো একজন স্যার এর কথা মনে পড়ল উনি ক্লাশে প্রায়ই একটি কথা বলতেন " হায়রে আমড়া আঁঠি আর চামড়া" এই কথাটা মহিলাটির বেলাই বেশ প্রযোয্য । এবার পাশে বসে থাকা দুই জনের একজন মহিলা টির পাশকেটে পাশের ঘরে প্রবেশ করলেন ,ভাবলাম ঐদিকে গেলো কেনো ? আবার ভাবলাম ঐ দিকেও বেরুনোর রাস্তা আছে হয়তো , দুই তিন মিনিট পর আর এক জনও প্রবেশ করলে এক মিনিট স্তব্ধ থাকার পর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ভেবেই নিলাম ওইটিও বেরুনোর রাস্তা ।
এবার জবদুল তার আত্ন কাহিনি শুরু করলো -আমি জন্ম গত বার্মার লোক আর ও আমার স্ত্র্রী, ও রহিঙ্গা । বললাম তবে এখানে কি করে ? বললো- বার্মা থেকে আসার পর ওর সাথে পরিচয় হলে আমরা বিয়ে করে এখানে প্রায় ২০বছর ।
বললাম এইখানে এইভাবে ? বাড়ির এক তৃতাংশ তো নদীর উপর ঝুলেছে , এখন কি করবেন ভাবছেন ?
হাত উচিয়ে- ঐদিকে দুই কাঠা মাটি কিনেছি , এবার ঐখানে ঘর তুলবো ।
তবে তো বেশ ভালো ।
এবার জবদুল "নয়না তর মামার থিনি ত্রিশটো ট্যাহা লইয়া ল....... । নয়না কে ? বললেন বড়মেয়ে "নয়না" আর ছোটটা "বিজয়া " ।
এই বার মনের মধ্যে প্রশ্নের ঝড় বয়ে যেতে লাগলো, টাকা কার কাছ থেকে নিতে বললো ? কেনোইবা বললো ? তার মানে কি তারা যায়নি ? তবে কি তারা ঘরের ভেতরই আছে ? তারা তবে কি করতেছে??? মনের ঝড়টা একটু শান্ত করে পাশের ঘরের শব্দ শোনার চেষ্টা করলাম, মুহুর্তেই সব প্রশ্নের জবাব মিলেগেলো । আসলে আমি যতটা ভেবেছিলাম এরা তার থেকেও বেশি নিচ বেশি জঘন্য । ঘেন্নায় আমার শরিরটা রি রি করতে লাগলো । বাবা হয়েও মেয়েকে দিয়ে এমন কাজ করাতে পারে এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলামনা । এমন এক অনাকাংখিত দৃশ্য কিছুতেই কাম্য ছিলনা । বুকের ভেতর অন্য এক অনুভুতি আর না পারার বেদনা আমাকে অক্টোপাসের মত আকড়ে ধরছিল । আমি মুহুর্মুহ শিহরে উঠছিলাম ।মাথার চুল খামচে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছিল । শরীরের মধ্যে এক ধরনের উৎপীড়ন তৈরি হল ।ওকে লাত্থি মেরে ফেলেদিতে ইচ্ছে করছিল । নাহ্ ওদের সাথে আর কোন কথা বাড়াতেই ইচ্ছে করছিলনা । ক্ষনকাল পরে একজন আস্তে আস্তে বেরিয়ে এলো উস্ক খুস্ক ভাব লুঙ্গির সামনের দিকটা ভেজা তাই মুড়িয়ে ধরে আছে । সামনে এসে যাই বলে বিদায় হলো । অপর জন ও বেরিয়ে এলো এবং বেরিয়ে গেলো । রয়ে গেলাম আমি আর চারটে মানুষ রুপি হুমার । কথা না বাড়িয়ে শুতে চাইলাম , একটা মাদুর পেতে দেয়া হলো এবং সদ্য সেলাইকৃত একটি কাথা । কাঁথা খানা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম । পাশে শুলেন জবদুল। আমি এপাশটায় শুলাম ও শুইলো নদীর পাশ বরাবর । ওর আর আমার মাঝে একটা ফাঁটল যা পারে মুহুর্তের মাঝে ওকে নদীতে গ্রাস করতে । এভাবেই শুয়ে রইলাম মাঝরাত পর্যন্ত ।
নিরব নিথর চাঁদনি রাত ঘরের মাঝে শুয়ে পুর্ণিমার চাঁদ দেখে আর নদীর কুলু কুলু শব্দ শুনে বেশ কাটছিল ।ভয়ের মাঝে সুখের স্বপ্ন ভাবাই যায় না ! এমনই এক ক্ষনের ধ্যান ভঙ্গ করে ওরা মা ও মেয়ে আমার পাশ দিয়ে জরুরী কাজ সারতে বাইরে বেরুলো হাতে হ্যারিকেন । বেরুনোর সময় আমার নড়া চড়া অনুভব করে" বিজয়া " পিছ ফিরে তাকালো এবং একটি রহস্যময় হাঁসি দিয়ে গেলো । ভাবলাম এমন কলংকিত আর শংকিত জীবনে উচ্ছাসের হাঁসি ! ভাবাই যায়না । আসলে মানিয়ে নিয়েছে নিজেকে , ওর কাছে এটা কোন নিচু কাজ নয়" জাষ্ট ফিলিংস " । ঘরময় আলোকিত চাঁদের আলোয় , নদীর ঢেউয়ে পড়া চাঁদের আলো প্রতিফলিত হয়ে ঘরের মধ্যে ঝিলিক বাত্তির আলোক সজ্জ্যার রুপান্তরিত হয়েছে । পুরো শরীর কাঁথা দিয়ে মোড়ানো শুধু খোলা চোখ দুটি দিয়ে এমন সু-শোভিত দৃশ্য দেখার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারছিলামনা । দৃষ্টি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছিলাম কিন্তু এমনটি দেখবো তা'কিছুতেই আশা করিনি ! ঠিক পায়ের নিচে দাড়ানো একটি টপলেশ মুর্তি , এক দৃষ্ট দেখেই চোখ বুজে নিলাম কিছুই ভাবতে পারছিলামনা , পুরো শরীর গরম হয়ে গেলো এক পাগলা নেশা আমাকে ঘীরে ফেললো আবারও দৃষ্টি প্রসারিত করলাম ,তখন কামিজের সামনের নিচের অংশটি ওর কাঁধের উপর তোলা আর বক্ষদেশের প্রকৃতি প্রদত্ত সৌন্দর্য অবলীলায় দৃশ্যমান ! উত্তেজনায় গা রি রি করতে লাগলো । আমি ২৫বছরের একজন তরতাজা যুবক সামনে সু-শ্রী ষোড়শী যুবতীর যৌন নিবেদন ..........না, না এ সইতে পারছিনা । আবারো চোখ বুজে নিলাম ,কিন্তু মনের চাহাত বেড়েই যাচ্ছিল । দর্শন দোষে দৃষ্টি প্রশারিত না করে পারলামনা , এই মাত্র দৃষ্টি বাড়াতেই দেখি পাজামার ফিতেতে জড়িয়ে থাকা হস্ত দ্বয় সরিয়ে নিতেই হড় হড় করে পাজামাটি গুড়িয়ে পড়লো পায়ের গোড়ালি বরাবর । আমার মনে মধ্যে লুকিয়েথাকা পশুত্ত আমাকে গ্রাস করছিল আমি এক দৃষ্টে দেখতেছিলাম পোশাক বিবর্জিত ওর বক্ষদেশ হতে পায়ের গোড়ালী মধ্যে রহিত প্রতিটি ভাজ আর অঙ্গ । আমি খুইয়ে যাচ্ছিলাম , ওকে নগ্নবেশে ঝিকিমিকি চাঁদের আলোতে সপ্নদেশের রাজকুমারি মনে হচ্ছিল । বুকের ভেতর দুড়ুক করে উঠলো । আল্লাহর অশেষ রহমত , হ্যরিকেনের আলো চোখে পড়তেই আমি আমার আমিত্তে ফিরে এলাম , চক্ষুদ্বয় বন্ধ করে এক যোগে আল্লাকে স্মরণ করতে লাগলাম । তন্দ্রা আমাকে ঘিরে ফেললো। একটা ঝুপ শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো , ধড়ফড় করে উঠে বসতেই দেখি না এই চাপটা ধসেনি ! আসপাসে কোথাও হবে হয়তো । যায় হোক বাকিটারাত নির্ঘুমই কেটে গেলো ।খুব সকালেই উঠে ব্সলাম । নদী থেকে পানি উঠিয়ে ফ্রেস হয়ে সূর্য মামার অপেক্ষায় বসে রইলাম, একা উদাস হয়ে নদীর দিকে চেয়ে থেকে ।
অপেক্ষার সমাপ্তি হলো ,অবশেষে সূর্য উদিত হলো । রাশি রাশি ঢেউ গাড়োনীল আকাশ আর অশান্ত মন । এখন বেলা দু-টো , বেশ খিদেও পেয়েছে । আসলে রাস্তায় অনেকটা ধকল সইতে হয়েছে, যাক ওসব কথা । এমন স্বপ্নের স্বর্গের মাঝে ওসব সোভা পায়না । অশান্ত মন কে শান্ত করতে খাবারের চেয়ে সাগরে ঝাপ দেয়ায় উত্তম ভেবে ঝাপ দেবো -দেখি ,হাজারো পর্যটোক হাজারো সাজ । তাই দেরি না করে আমার টাও খুলতে শুরু করলাম । প্রথমে শার্ট, গেঙ্জি , প্যা........ না না এতটা বলা যায়না তবে আমার অবস্থা দেখে পাশে থাকা বে-রসিকের মুখেও হাঁসি ফুটে উঠলো ।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন