কেমনে কি ? ৩

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১৫ জুন, ২০১৮, ০৮:৫৮:২৯ সকাল

১ মাস সিয়াম সাধনার পর আজ ঈদ শুরু হয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে । ঈদ আজ পূর্বের অস্ট্রেলিয়া আর পশ্চিমের কানাডাতেও ।

অথচ বাংলাদেশে আগামী কাল ঈদ হবে । অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে ৪/৫ ঘন্টা আগানো আর সৌদি আরব ৩ ঘন্টা পেছানো সময়ের দিক দিয়ে। আর দূর পশ্চিমে অন্য মহাদেশের কানাডা , আমেরিকা বাংলাদেশ থেকে ১০ ঘন্টা পেছানো ।

যে চাঁদ অস্ট্রেলিয়ার আকাশে দেখা গেল সেটা কেন ৪/৫ ঘন্টা পর বাংলাদেশের আকাশে দেখা গেল না ? আবার ঠিক ৩ ঘন্টা পর মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে দেখা গেল । ১০ ঘন্টা পর কানাডা , আমেরিকার আকাশেও দেখা গেল। মানে অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে কানাডা পর্যন্ত এই ১৩/১৪ ঘন্টা অন্যসব দেশের আকাশে চাঁদ দেখলেও বাংলাদেশের আকাশে কেন দেখা যায় না ?

পশ্চিমে পাকিস্তান এবং পূর্বে ইন্দোনেশিয়াতেও বাংলাদেশের একদিন আগে ঈদ হয় । বাংলাদেশ কি ঈদ একা একাই করে, নাকি আরও দেশ সাথে আছে?

বিষয়: বিবিধ

১২৬৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385529
১৫ জুন ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক আমরা তথা বাংলাদেশীরা সব জায়গায় পিছনেই থাকি তো ঈদের বেলায় আগে বা সাথে থাকি কি করে? আল্লাহ্ যদি মেহের বানি করে এই জাতির উপরে তাহলেই সম্ভব । আপনাকে ধন্যবাদ
১৭ জুন ২০১৮ সন্ধ্যা ০৬:০৭
317780
হতভাগা লিখেছেন : ঈদ মোবারক আপনাকেও ।
385547
১৬ জুন ২০১৮ সন্ধ্যা ০৭:০৯
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : ঈদ মোবারক ! মুহতারাম জটিল প্রশ্ন দেশে চাঁদ দেখা কমেডি হয় উনারা কি বলে ? সাউদিতে একদিন পিছানোর জন্য সৌদি সরকার ফকির মিসকিনকে কিছু দিয়ে কাফফারা দিয়েছে।
১৭ জুন ২০১৮ সন্ধ্যা ০৬:০৬
317779
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের সাথে আর কোন কোন দেশে হয় ? অস্ট্রেলিয়া , কানাডা এরা কিভাবে রোজা রাখে - সৌদির সাথে মিলিয়ে আমাদের চাঁদপুরে যেমন হয় তেমন নাকি চাঁদ দেখে?
১৭ জুন ২০১৮ রাত ১১:৩৭
317782
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : ধন্যবাদ মুহতারাম , প্রথমত বলতে চাই সারা বিশ্বে একইদিনে ঈদ উদযাপন সম্ভব নয়।কারণ, সৌদি আরব বিশ্বের মধ্যখানে হওয়ায় তার পশ্চিমের দেশগুলোতে একদিন আগে এবং পূর্বের দেশগুলোতে তাদের একদিন পর চাঁদের উদয় হয়। চাঁদের অবস্থানের উপরেই ঈদ বা রোজা পালন নির্ভর করে।তবে এবার ঈদুল ফিতর বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বে কোথাও উদযাপন হয়েছে কিনা আমার সন্দেহ আছে । কারণ, সেখানে টেকনিক্যাল আর প্রযুক্তির কারণেই হোক এবার সাউদিতে চাঁদ উঠার একদিন পর রোজা রেখেছে । সেজন্য বিশ্বে ৫৩ মুসলিম দেশের অধিকাংশ দেশে বাংলাদেশ ব্যতীত রোজা রেখেছে এবং কি ভারত পাকিস্তান সহ।আর কানাডা অস্ট্রেলিয়া আমেরিকা ইউরোপের মানুষ সৌদি কর্তৃক চাঁদ দেখার ঘোষণার উপর নির্ভর করে বসে থাকেনা। চাঁদ দেখার সময় হলে প্রযুক্তিরর সাহায্যে তারা নিজেরাই চাঁদ দেখে নেয়।বাংলাদেশে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদ উল ফিতরের দিন চূড়ান্ত হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।সেদিন যদি দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায় তাহলে পরদিন ঈদের ঘোষণা দেয় ফাউন্ডেশন । মূল চাঁদ দেখা কমিটির সাথে একযোগে প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি কাজ করে সঠিক তথ্যের জন্য । এছাড়াও বৈরি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য দেশের আকাশে খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব না হলে,আবহাওয়া স্টেশনগুলোর কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। এখন প্রশ্ন ? সৌদি প্রযুক্তি , বাংলাদেশী প্রযুক্তি , সারা বিশ্ব যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব প্রযুক্তি কি এক নয় ।ভারত পাকিস্তানে কি এবার খালি চোখে চাঁদ দেখা গিয়ে ছিল? বাংলাদেশেও কি বৃহস্প্রতিবারে খালি চোখে চাঁদ দেখে ছিলেন । বিষয়টি ভাববার মত , আমার মত আমার মুসলিম স্কলারদের মধ্যে ব্যাপারটা নিয়া আলোচনার দরকার আছে।Good Luck Good Luck
385561
১৮ জুন ২০১৮ সকাল ০৯:২৮
হতভাগা লিখেছেন : চাঁদ কি লুকোচুরি জানে ?

সে অস্ট্রেলিয়ার আকাশে দেখা দিল ঠিকই তবে ৪ ঘন্টা পর বাংলাদেশের আকাশে দেখা দিল না (মনে হয় লুকিয়ে ছিল)। আবার ৩ ঘন্টা পর সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে দেখা দিল, তারও ৭/৮ ঘন্টা পর আমেরিকা-কানাডার আকাশেও দেখা দিল। শুধু বাংলাদেশের সাথে এরকম করে কেন? পাশের ভারতেও তো আগের দিন সৌদির সাথেই ঈদ হয়েছে। মাত্র আধা ঘন্টার ব্যবধান তাদের সাথে আমাদের।

আবহওয়া কি ঐসব দেশেও বিরুপ থাকতে পারে না (আকাশে মেঘ)? প্রযুক্তির ব্যবহার মানে স্যাটেলাইট দিয়ে চাঁদ দেখা বা বিমান উঠিয়ে ? এখন তো সেগুলোও নাই বলার সুযোগ থাকছে না !

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File