হতভাগার জিজ্ঞাসা ১৭
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১০ মে, ২০১৭, ১২:৪১:২৯ দুপুর
১. মাসজিদে জামাতে নামাজ ধরতে গেলে কমপক্ষে কোন সময়ে সেটা ধরলে জামাতে অংশ নেওয়া হয়ে যাবে ?
২. একটা জামাত শেষ হতে না হতে আরেকটা জামাত দাঁড়িয়ে গেলে সেটা কি ঠিক হবে ?
৩. স্বামী একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে স্ত্রীকে প্রহার করতে পারে । স্ত্রীর কি সেরকম অধিকার আছে ?
৪. বিয়ের ৬ মাস পর স্ত্রী নানা ছলচাতুরী করে সাবেক প্রেমিকের সাথে চলে গেল । দেন মোহরের বাকী অর্ধাংশের কি হবে ? কোন শরিয়তি কারণ ব্যতিরেকে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিলে সে কি দেন মোহরের বাকী অংশ পাবে ?
৫. সংসার কার - স্বামীর না স্ত্রীর না উভয়ের ? স্বামী স্ত্রী উভয়ে যদি চাকুরে হয় এবং স্বামী যদি স্ত্রীকে 'সংসারের খরচে সেও সাধ্যমত ব্যয় করবে' এই মর্মে চাকুরি করার অনুমতি দেয় তাহলে সেটা কি ঠিক হবে ?
৬. স্ত্রীর কি দাম্পত্য ও সংসার জীবনে কোন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের আছে ? যদি থেকে থাকে এবং সেটা যদি সে কোন ভাবেই পালন না করে তাহলে কি তার কোন অন্যায় হবে ?
বিষয়: বিবিধ
৯৮১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সব প্রশ্ন সেট করা থাকে না । মাথায় ইনস্ট্যান্ট যা আসে তাই লিখি । মনে হয় সেট সেট করে লিখলেই ভাল হয় ।
১। শেষ বৈঠকে পেলেও জামাতের অংশ নেওয়া হয়ে যাবে, তবে ছাওয়াবের তফাৎ হবে। প্রথম তাকবীরের সাথে সাথে শরীক হওয়াই সর্বোত্তম জামাত পাওয়া। সাহাবায়ে কেরাম রাঃ প্রথম তাকবীরের সাথে শরীক হতে না পারলে অনেক আফসোস করতেন। হাদীসেও প্রথম তাকবীরের সহিত শামেল হওয়ার ব্যপারে অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। তাই শুধু জামাতের কথা না ভেবে তাকবীরে উলা (প্রথম তাকবীর) এর প্রতি যত্নবান হওয়া চাই।
২। শহুরে মসজিদে সমস্যা নেই, তবে মাসবুক (যাদের কয়েক রাকাত ছুটে যায়) মুসল্লিদের যেন সমস্যা না হয়, তাই একটু দূরে দাড়াবে। গ্রামাঞ্চলের মসজিদের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ আলেমগন দ্বিতীয় জামাতের ব্যাপারে মাকরূহ বলেছেন, এজন্য যে সাধারণত গ্রামে নিয়মিত মুসল্লি ছাড়া বহিরাগত মুসল্লি তেমন হয় না, আর দ্বিতীয় তৃতীয় জামাত সব সময় হতে থাকলে প্রথম জামাতের গুরুত্ব হ্রাস পাবে। (তবে মাঝে মাঝে সময়ের প্রয়োজনে মুসল্লির আধিক্য থাকলে অবশ্যই করা যাবে)
৩। স্ত্রীর সেই অধিকার নেই, কারণ আল্লাহ তায়ালা পুরুষদের আলাদা সম্মান দান করেছেন। (বর্তমান যামানায় পুরুষদের মারতে হয় না, মহিলাদের চোখ রাঙ্গানিতেই অধিকাংশ পুরুষরা ঠিক হয়ে যায়)
৪। প্রেমিকের সাথে চলে গেলে বিবাহ ভাঙ্গবে না, মেলামেশায় যিনার গুনাহ হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বামী তাকাল না দেয় ও তালাকের পরে ইদ্দত পালনের পর প্রেমিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয়।
মোহর স্ত্রীর পাপ্য, যদি স্ত্রী সেচ্ছায় চেড়ে না দেয়, তাহলে মাপ পাওয়ার কোন পথ নেই।
স্ত্রী সেচ্ছায় তালাক চাইলে তা মোহরানা মাপের শর্তে বা অন্য কোন শর্তের সাথে হতে পারে। (এটাকে শরীয়তের পরিভাষায় "খোলা" চুক্তিভিত্তিক তালাক বলে)।
০ যেমন ....
৬। স্বামীর সম্পদ, জায়েয আদেশ পালন ও ইজ্জত আব্রুর হেফাজত করা স্ত্রীর উপর ফরজ। না করলে অবশ্যই গুনাহগার হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন