Back to the past
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৫:২৭ সকাল
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1051297.html
২০৩-৩ থেকে ২৬৫ , মানে ৬২ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায়।
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1051299.html
১১১-২ থেকে ২০৮ , মানে ৯৭ রানে শেষ ৮ উইকেট ।
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1051301.html
২১২-২ (৩৮.৩) থেকে ২৭৯-৮ , মানে শেষ ৬৯ বলে ৬৭ রান ৬ উইকেট হারিয়ে ।
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1029819.html
টার্গেট ৩১০ , চেজিং করতে গিয়ে এক পর্যায়ে ২৭১-৪ (৪১.২) উইকেট ছিল । ৫২ বলে ৩৯ রান হাতে ৬ উইকেট ।
পরের ৬ উইকেট পড়ে মাত্র সতের রানে , হারে ২১ রানে । অল আউট হবার আগে ১৩ বল হাতে ছিল ।
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1029821.html
এবার উল্টো । ৯০ রানের আগেই প্রথম ৪ উইকেট নেই । মূলত মাশরাফির ক্যাপ্টেনস্ নক্ই সিরিজে সমতা এনেছিল।
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1029823.html
৬ উইকেট হাতে রেখে শেষের ১৫ ওভারে রান করে ৯৩ রান ২ উইকেট হারিয়ে । টি২০ এর যুগে এই রান ১৪০/১৫০ যাওয়া উচিত ছিল।
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1019973.html
এই ম্যাচে চেজ করতে নেমে ৯০ রানের ভেতরে ৪ উইকেট নেই । পরে ভাল কিছু জুটি হলেও মুশফিক হ্যামস্ট্রিং এ পড়ে মাঠ ত্যাগ করলে আর মাত্র ৪৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ শেষ ৩ উইকেটে , হাতে ৫ ওভারেও বেশী বাকি ছিল। মুশফিক থাকলে রান ৩০০ পার হয়ে একটা টাফ ফাইট হতে পারতো।
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1019975.html
মূলত এই ম্যাচটাই আমাকে এই পোস্ট লিখতে আগ্রহ এনে দিয়েছে ।
২৫২ রান চেজ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে ২২.৫ ওভারে ১০৫-১ উইকেট । মানে ২৭ ওভারে ১৪৭ রান হাতে ৯ উইকেট । রান রেট সাড়ে ৫ এর নিচে।
এর পরে ঘটনা ইতিহাস । শেষ ৯ উইকেটে আসে ৭৯ রান । ৭ ওভারেরও বেশী বাকী ছিল যখন অল আউট হয়।
http://www.espncricinfo.com/bangladesh/engine/match/1019977.html
এটা আজকের ম্যাচের । এই ম্যাচেও যে ফলাফল আগের ২ ম্যাচের মতই হতে যাচ্ছে সেটা বলাই বাহুল্য।
বিনা উইকেটে ১০২ ছিল (২১.১) । ২ উইকেট পড়ে ১২৭ রানে (২৪.৫) । ইনিংস শেষ হয় ২৩৬-৯ এ । মানে শেষ ১৫২ বলে ৯ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশ রান করতে পারে মাত্র ১০৯ রান!
ক্রিকেটের তিন ফরমেটের ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল তুলনামূলকভাবে ভাল যার প্রমান আমরা গত ২০১৫ থেকে দেখছি । তবে ২০১৫ এর সাফল্যগুলোর বেশীর ভাগই দেশের মাটিতে ছিল । ২০১৬ তে লিউজিল্যান্ড সফরের আগে বাংলাদেশ দেশেই খেলেছে ।
এই ৯ ম্যাচের প্রায় প্রতিটিতেই দেখা গেছে যে বাংলাদেশের ব্যাটিং ভালই ধ্বসে গেছে বা যাবার উপক্রম হয়েছে - কি আফগান , কি ইংলিশ , কি কিউই বোলিংয়ের তোপে ; দেশে কিংবা দেশের বাইরেও।
এই ম্যাচগুলোতে দেখা গেছে যে বেশ কিছু প্রতিশ্রতিশীল খেলোয়ারকে বসিয়ে একের পর এক ফ্লপ মারা/নতুন খেলোয়াড়কে খেলিয়েই যাচ্ছে ।
প্রথমেই আসবে নাসিরের নাম । হাতুড়ুর অপছন্দের বলে বেচারা এখন লীগ খেলছে (ডবল সেন্চুরী করেছে)। ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিংয়ে নাসির সাকিব আর সাব্বিরের সমান পর্যায়েরই ।
আরেকজন আসবে মমিনুল ।সৌম্যের বিকল্প মমিনুলই হতে পারে । সৌম্যকে দেখে মনে হয় যে সে আসলেই একটা ব্রেক চাচ্ছে ।
আর সবচেয়ে বড় আশ্চর্য্যের যেটা হচ্ছে সেটা মিরাজকে না খেলানো। ২য় ওয়ানডেতে পার্ট টাইম বোলার উইলিয়ামসন ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন । মিরাজ কি সেরকম পারতেন না ? বাঁ হাতি ব্যাটস্ম্যানদের যম হচ্ছে ডান হাতি অফ স্পিনাররা ।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমে ৪/৫ জন বাদে হাতুড়ু সিংহ এবং বোর্ডের কর্মকর্তাদের পেয়ারের প্লেয়াররাই খেলছে একজন না পারলে আরেকজন । ভাগ্য ভাল যে এসব নিয়ে কথা উঠছিল না বাংলাদেশ দল গত দেড় দুই বছরে ভালই জিততেছিল বলে ।
এখন বাংলাদেশ দলের খেলা দেখলে , বিশেষ করে ব্যাটিং দেখলে মনে হয় আমরা সেই নান্নু - আতহার - আকরামদের আমলে ফিরে যাচ্ছি। যে সময়ে এরকম ডায়রিয়ার মত উইকেট পড়েছে । উনারা বলতেন পুরো ৫০ ওভার খেলাই আমাদের লক্ষ্য।
মাঠের বাইরের খেলোয়ারদের কারণে আমরা আবারও আগের মত পরাজয়ের লজ্জা পেতে চলেছি।
বিষয়: বিবিধ
১১৯২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার কমেন্ট দেখে মনে হল যে আপনি পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের সাপোর্টার । এমন একটা সময় ছিল (১৯৯৯ বিশ্বকাপের আগে) তখন বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম ক্রিকেট ফ্যানই পাকিস্তানকে সাপোর্ট করতো , আমিও করতাম । এমনকি বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের সাথে খেলতো বা ভারতের সাথে তখন অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে বাংলাদেশের জয় চাইতাম না !!! কেন জানি একটা হিংসা হত তাদের জন্য ।
তবে গত ৮-১০ বছরে পোলাপানেরা যা খেলতেছে তাতে তাদের প্রতি মায়া চলে এসেছে এবং নিজের কাছেও খারাপ লেগেছে কেন এতদিন তাদেরকে সাপোর্ট করতাম না মন থেকে । ভাল খেলুক খারাপ খেলুক - এরা তো আমাদেরই দেশের । খারাপ খেললে গালি দেব , ভাল খেললে বাহবা দেব । তবে লিমিটের বাইরে কিছুই করা উচিত নয় ।
আমার খারাপ লাগে যখন মাঠের বাইরের খেলোয়াড়রা খেলে ।
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন