আমেরিকা কি আসলেই কোন সভ্য ও উদারমনাদের দেশ ?
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:৩৫:০০ সকাল
নারীদের ক্ষমতায়ন হচ্ছে একটা দেশ ও তার মানুষ কত বেশী সভ্য , উন্নত ও উদার মানসিকতার - সেটার একটা বড় ইনডিকেটর। যে দেশে নারীরা যত বড় পোস্টে সে দেশ তত উন্নত - এটাই আমরা গত ৪-৫ দশক ধরে বুঝে আসছি ।
পশ্চিমা দেশগুলো যাদেরকে আমরা সভ্য , উন্নত ও উদার তথা মুক্ত মনের বলে জেনে আসছি তাদের মধ্যে আমেরিকা এক নম্বরে ।
তারা কেন একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট করে সেটার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে এগিয়ে আসলো না ? হিলারীর চেয়ে কি ট্রাম্প বেশী যোগ্য ছিল ? ট্রাম্পের নারী কেলেংকারীর ঘটনার পরপরই তো অন্তত মহিলাদের একটা ভোটও না পাবার পর্যায়ে চলে যাবার কথা ।
এটা সবাই জানে যে , শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশী নারী পুরুষ বিদ্বেষী । আর পুরুষেরা ম্যাক্সিমামই নারীপ্রেমী+নারীবাদী । কোন নির্বাচনে যদি কোন নারী দাঁড়ায় তাহলে তার জেতার সম্ভাবনা অন্তত তার পুরুষ প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি থাকে । কারণ নারী ভোটাররা একট্টা হয়ে যায় তাদের স্বগোত্রীয়কে জেতাতে । মোট জনসংখ্যা তথা ভোটারের ৫০% নারী হলে কোন নারী প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা ১০০% হয়ে যাবার কথা , কারণ ১% পুরুষও যদি তাকে ভোট দেয় তাহলে সে সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়ে যাবে।
কেন পৃথিবীর একজন টপ গ্রেডেড ও প্রভাবশালী মহিলা হয়েও বিশ্বের প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ে নারীরা তাদের স্বগোত্রীয়কে জেতালো না ? তারা একাট্টা হলেই তো একজন নারী পৃথিবীর শাসন ক্ষমতায় চলে আসতো ।
মুখে যতই নারী অগ্রগতি , নারী স্বাধীনতা , নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলুক না কেন বাস্তবে সেটার লেশ মাত্র নেই এই দেশটাতে ।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কি আমেরিকার তুলনায় বেশী সভ্য , বেশী উন্নত ও মুক্ত মানসিকতার নয় ! কারণ বাংলাদেশে গত দুই দশকেরও বেশী সময় নারীরাই রাজত্ব করছে ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪২ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ট্রাম্পকে নিয়ে নির্বাচনের ১০ দিন আগেও নারী সংক্রান্ত রটনা চলছিলই চলছিল ।
নারীদের তো তাকে প্রত্যাখ্যান করার কথাই ।
What a shame !
মুসলিমদের জন্য কারা সুখকর ? অনেক মুসলিম তো সেখানে অভিবাসী হয়েই আছে । দেশে কি সুখ পায় নাই ?
পুরুষেরা নয় , নারীরাই যে নারীদের শত্রু সেটা আবারও প্রমান হয়ে গেল । একেবারে বৈশ্বিকভাবেই ।
০ আপনি একেবারে সঠিক জায়গায় হিট করেছেন ।
বর্তমান জামানার সব নারীই এক , কেউ আগে কেউ পরে । ঢোলে বাড়ি পড়লেই নাচ শুরু করে দেবে । কেউ ঘোমটা ছাড়াই আবার কেউ ঘোমটা পড়েই।
তাছাড়া এটাকে ইলেক্শন না বলে সিলেক্শন বলাই যাথাযত, কারণ এখানে ইয়াহুদি প্রীতিই প্রধান্য পেয়েছে, যেমনটি আমাদের দেশে কিছু কাল আগে ঘটেছিল, ভোট হোক আর নাই হোক, ভারত প্রীতিই প্রধান্য।
ভালো লাগলো
কোন কর্মসূচি দেবে না দেশব্যাপী ?
দেশে থাকলে যোগদান করতাম।
স্বশরীরে আসার ব্যাপারে এরকম পালাই পালাই এটিচ্যুড দেখে বোঝা যায় দলটার ফিউচার টার্গেট কি । হেফাজতের চেয়ে কি ভিন্ন কিছু করবে ?
দেশে আসলে কি গ্রেফতারের ভয় ?
পরে সরকারের সাথে সমঝোতা করে নিজেদের পজিশন সেফ এন্ড সিকিউর করে ।
এদের ম্যাক্সিমামই ইসলামকে ঢাল বানিয়ে সরলমনা মুসলমানদের আবেগ নিয়ে খেলে এবং নিজেদের ধান্ধা সফল করতে ব্যবহার করে।
এরকম মুখোশধারীদেরকে বিশ্বাস করতে ভয় লাগে ।
তার উপর যে হারে আপনারা লিংকাইতাছেন তাতে বিরক্তি বৈ আর কিছুই জাগাতে পারছেন না ।
দেখা যাবে কি হাতি ঘোড়া উনারা মারতে পারেন ২৭ তারিখ ।
কেন তুমি বয়ানে বল্লা দানের কত ফজিলত তাই সব দান করে দিয়েছি ।
হুজুর তখন বলে আরে করেছ কি ! ! সেটা তো আমি আমার ঘরের জন্য বলি নাই !
উনারা ও উদারমনার কথা অন্যদের জন্য বলেন কিন্ত নিজেদের জন্য না ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন