ক্যাচাল ৪

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৪:০১:৩০ বিকাল

আমাদের আধুনিক সমাজে এখন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নারী ও পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে ।

সরকারী সংস্থা ছাড়াও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কাজ করছেন । নিজেদের দক্ষতা , যোগ্যতা , কোটাপ্রথা দিয়ে ভাল ভাল পজিশন লাভ করছেন ।

নারী হিসেবে চাকরিতে সে ম্যাটারনিটি লিভের সুবিধা পায় যেটা এখন ৬ মাস (স্ববেতনে)। কাজের ক্ষেত্রে এটা প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে ।

দেখা যায় যে মেটারনিটি লিভে যে মহিলা কর্মকর্তা বা কর্মচারী গেল তার অবর্তমানে কাজের চাপ পড়ে সহকর্মীদের উপর । প্রতিষ্ঠানও উনাদের রিপ্লেসমেন্ট না এনে বাকিদের উপর উনার কাজ চাপিয়ে দেয় । কোন কোন এসময়ে দেখা যায় যে ডিপার্টমেন্টে একই সময়ে একাধিক মহিলা কর্মজীবী মেটারনিটি লিভে চলে যান ।

ফিরে এসে বাচ্চার দেখাশুনার অজুহাতে জন্য কয়েকদিন পর পর ছুটি লাগে বা দেরিতে অফিসে আসে ।

এটাও সহকর্মীদের উপর আলগা একটা প্রেসার হয়ে যায় । অথচ এর জন্য সে কোন আলাদা টাকা পাবে না , উপরন্তু তাকে হয়ত অফিস সময়ের বাইরেও থাকতে হতে পারে ।

সহকর্মী বলতে এখানে শুধুমাত্র পুরুষ সহকর্মীদেরই বুঝিয়েছি । কারণ এরকম কাজের চাপ অন্য মহিলাদের সামলাতে হয় না যদি তাদের ডিপার্টমেন্টে নুন্যতম পক্ষে ১ জন পুরুষ সহকর্মী থাকে ।

এছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে দেখা যায় যে , অফিসে আসার বেলায় মহিলারা দেরিতে আসে (জামাই , বাচ্চা কাচ্চা , শশুড় শাশুড়ি সামাল দিয়ে আসতে হয় !!) এবং যাবার সময়ও আগে আসা সহকর্মীদের চেয়ে আগেই যায় ।

বিভিন্ন অকেশন দেখিয়ে ছুটি নেওয়ায় তাদের প্রাধিকার থাকে ।

এসব কারণে ডিপার্টমেন্টে একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয় । না পারে ছাটাই করতে , না পারে লোক নিতে । কিন্তু সাফারার হয় পুরুষ সহকর্মীরাই ।

মহিলা কর্মীদের এরকম নখড়ামির কারণে কিছু কিছু লেডিস টাইপ মানসিকতা সম্পন্ন পুরুষদের নখড়ামি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে । তারাও এরকম নখড়ামি শুরু করে দেয়।

দেখা যায় যে মহিলা আধিক্য ডিপার্টমেন্টে কাজের চেয়ে হাসাহাসিই বেশী হয় ।

আমাদের শরিয়ত মোতাবেক ঘরের বাইরের কাজ হচ্ছে পুরুষদের , আর ঘরের ভেতরের কাজ মহিলাদের ।

অফিসে কাজ করার সময় পুরুষদের একাগ্রতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে খুব কম , কারণ এই চাকরিতে তার রুটি রুজির সংস্থান হয় (মাশা আল্লাহ) । তাকে তার ফ্যামিলিও চালাতে হয় ।

মহিলাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা ভিন্ন । উনারা চাকরির টাকা উড়ান নিজেদের জন্যই, সাথে স্বামীর টাকাও । এই টাকা পরিবার , সমাজ তথা রাষ্টের কোন কাজেই লাগে না । চাকরি না থাকলেও তার কোন সমস্যা নেই কারণ, একজন ক্লাস ফাইভ পাশ মেয়ে যেমন তার স্বামীর ভরণপোষনে চলে , তেমনি একজন এমবিএ করা মেয়েও সেরকমই চলে। এক্ষেত্রে শিক্ষা তাকে ক্লাস ফাইভ পাশ করা মেয়েটির মানসিকতার চেয়ে উপড়ে আনতে পারেনি ।

অথচ হাজার হাজার যোগ্য যুবক বেকার হয়ে আছে যারা কিনা তাদের নিজ নিজ পরিবার চালাতে পারছে না টাকার অভাবে । বিপথে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে ।

একজন মেয়েকে চাকরিতে নেওয়া মানে অন্য আরেকটা ছেলের ফ্যামিলকে পথে বসানো যেখানে সে মিনিমাম ৩/৪ জনের ভরণপোষন করতে পারতো।

মেয়েদের এই নখড়ামি পুরুষ বেষ্টিত ডিপার্টমেন্টেই বেশী হয়ে থাকে । মহিলা আধিক্য প্রতিষ্ঠানে যেখানে HOD হল মহিলা সেখানে এরকম নখড়ামি করা কঠিন । কারণ একজন মেয়ে ঠিকই আরেকজন মেয়ের ন্যাকামি , নখড়ামি বোঝে ; যেটাতে পুরুষেরা গলে যায়।

বিষয়: বিবিধ

১০৭৪ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378126
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:২০
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : তিক্ত বাস্তবতা!
তবে মেয়েদের টাকা থেকে রাষ্ট্র প্রচুর ভ্যাট পায় প্রসাধনী বিক্রি করে।
দিন দিন মেয়েদের যোগ্যতা বাড়ছে, সন্দেহ নেই, তবে অধিকাংশই যোগ্যতার চেয়ে রুপ নিজেকে এক্সপ্রেস বেশি পারার কারণে সুবিধা পেয়ে থাকে।
আমার অফিসে মেয়েদের যোগ্যতার দেখে আমি টাসকি খাইসি বহুবার
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
313405
হতভাগা লিখেছেন : প্রসাধনী দিয়ে সাজতে গিয়ে যে টাকা ব্যয় হয় সেটা স্বামীর টাকা । স্বামীর টাকাতেই সাজে পরপুরুষের চোখে পড়তে , ভাল রেজাল্ট / প্রমোশন পেতে ।

হয়ত কারিকুলার একটিভিটি মেয়েদের চেয়ে কম , কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেটার এপ্লিকেশনে একজন ছেলে ৩ জন মেয়ের সমান কাজ করতে পারে । তবে বেতন কিন্তু সমান । সুযোগ সুবিধা মেয়েদেরই বেশী , তারাই প্রেফারেন্স পায় এবং দূর্গম জায়গায় যাবার ক্ষেত্রে তাদেরকে সর্বদাই রেহাই দেওয়া হয় ।
378135
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৯:১৪
মনসুর আহামেদ লিখেছেন :
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১০:১৩
313414
হতভাগা লিখেছেন : স্পেসিফিক ভাবে এই প্যারা নিয়ে কি উনার কোন লেকচার আছে ?
378142
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১০:৩৮
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : Please review attached link
http://islamisomaj.org/
০১ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১০:১৭
313419
হতভাগা লিখেছেন : দারুন আয়োজন তো ! সংসদ ভবনেও দেখি চলে এসেছে !

ইসলামী আইন কানুন এ তো আমরা চলতেই চাই , এতেই যে প্রকৃত শান্তি সেটাও জানি।

কিন্তু ভারতবেষ্টিত ও ইহুদি আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বে বাংলাদেশের মত পরনির্ভরশীল একটি দেশ কি পারবে শরিয়া আইন তাদের সংবিধানে এপ্লাই করতে?
০১ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১০:২০
313420
হতভাগা লিখেছেন : দারুন আয়োজন তো ! সংসদ ভবনেও দেখি চলে এসেছে !

ইসলামী আইন কানুন এ তো আমরা চলতেই চাই , এতেই যে প্রকৃত শান্তি সেটাও জানি।

কিন্তু ভারতবেষ্টিত ও ইহুদি আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বে বাংলাদেশের মত পরনির্ভরশীল একটি দেশ কি পারবে শরিয়া আইন তাদের সংবিধানে এপ্লাই করতে?

পোস্ট সম্পর্কিত কথা বললে ভাল হয় , আপনি তো ভাই চেতনাবিলাসের মত নিজের পোস্টের বিষয় নিয়ে আরেকজনের পোস্টে কমেন্ট করছেন ।
378158
০১ অক্টোবর ২০১৬ দুপুর ০৩:১০
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ঘটনা সত্য কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?
কী আর করবেন ? চুপচাপ সয়ে যান।
378159
০১ অক্টোবর ২০১৬ দুপুর ০৩:১১
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : তবে শিক্ষকতা আর চিকিৎসা- এ দুটি পেশায় মহিলাদের বেশি বেশি নিয়োগ দেয়া উচিত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File