হতভাগার জিজ্ঞাসা ১৬

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:১৬:৩৪ সকাল

১. নামাজের শেষে সন্মিলিতভাবে দোয়া পড়া আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ ।

কিন্তু শুনেছি যে দোয়া সন্মিলিতভাবে পড়ার চেয়ে একা একা পড়াই সঠিক । হজের সময়কালীন একবারের জন্যও দেখিনি সন্মিলিতভাবে দোয়া করতে।

দোয়া নাকি করতে হয় সিজদায় থাকাকালিন সময়ে , কারণ সে সময়ে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে (ডাঃ জাকির নায়েকের এক লেকচারে জেনেছি)।

এটাও শুনেছি যে , সিজদায় গিয়ে এই দোয়া করতে হয় সুন্নত ও নফল নামাজের সময় । ফরয ও ওয়াজিবের সময়

এটা করা হয় না বা যায় না ।

এর প্রতিফলনও দেখি ঈমাম সাহেব যখন সিজদাতে যান ।তখন বোঝাই যায় যে সিজদার নির্দিষ্ট তাসবীহ্‌ (৩ বার) পড়েই উঠে আসছেন , দোয়া মনে হয় পড়েন না ।

শুধু সুন্নত ও নফল নামাজের সময় সিজদায় গিয়ে দোয়া করা যাবে , নাকি সেটা ফরয ও ওয়াজিবের সময়ও করা যায় ?

২. ফযরের ওয়াক্তের সময় ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে এবং মাগরিবের সময় দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভ্রমনের কারণে যদি সময়মত নামাজ পড়া না যায় , তাহলে কি গুনাহ হবে ?

এরকম শুনেছি যে ,যে নামাজ কাযা হয়ে গেছে সে সময়ে যদি আরেকটি নামাযের ওয়াক্ত চলে আসে তাহলে ঐ ওয়াক্তের নামাজ পড়ে পরে আগের ওয়াক্তের নামাজটি কাযা পড়তে হয় ?

৩. ধারণা করা থেকে বিরত থাকতে বলা আছে । পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে কারও সন্মন্ধে ধারণা করা কি ঠিক হবে ?

আল্লাহ তায়ালা যখন মানুষ আদম (আঃ) কে সৃষ্ট করতে যান তখন ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করলে ফেরেশতারা জ্বিন জাতির আচরনের উদাহরণ দিয়েছিলেন। আল্লাহ তখন তাদের বললেন - আমি (আল্লাহ ) যা জানি তোমরা তা জান না ।

বিষয়: বিবিধ

১৬৭০ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377918
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৯:৪৪
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ১। আমরা যে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়ি সিজদায় সেটা ছাড়াও অনেক দোয়াই পড়া যায়। তবে এটা একাকী নামায পড়ার সময় করা উত্তম। জামায়াতে বৃদ্ধ ও অসুস্থদের কথা মাথায় রাখতে হয় বিধায় জামায়াতের নামায বেশি দীর্ঘায়িত করা ঠিক নয়।

আর ফরজ নামাজের পর সম্মিলিতভাবে দোয়া বা মুনাজাত যেটি আমাদের দেশে করা হয় সেটি মূলত একটি বিদআত ছাড়া কিছু নয়। আমাদের দেশের কওমী আলেমদের মধ্যে কুরআন হাদীস অনুযায়ী ইসলাম অনুসরণ করার চাইতে ওস্তাদকে অন্ধভাবে অনুসরণ করার প্রবণতা বেশি। এ প্রবণতা হতেই এসব বিদআতের সৃষ্টি।

২। ওজরবশত ফজর এর নামায সময়মতো পড়তে না পারলে যখনই ঘুম ভাংবে পবিত্রতা অর্জন করে আগে ফজর এর নামাজ পড়ে নিতে হবে। আশা করা যায় আল্লাহ ক্ষমা করবেন। সফররত অবস্থায় জোহর আসর একসাথে এবং মাগরিব এশার নামায এর সাথে পড়া যায় (সহীহ হাদীসেই আছে যদিও কওমী আলেমরা গোঁড়ামির কারণে এ বিষয়টি মানেন না)।

৩। ধারণা করার বিষয়টির ব্যাখ্যা হচ্ছে, অযথা কারো নামে কুধারণা বা সন্দেহ করা যাবে না যেন ফিতনা সৃষ্টি না হয়। এর মানে এটা নয় যে, সঙ্গত কারণে সন্দেহ বা ধারণাই করা যাবে না।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:০৭
313217
সত্যের বিজয় লিখেছেন : ভাই! আপনি লিখেছেন সফররত অবস্থায় যোহর ও আছর একসাথে এবং মাগরিব ও এশা একসাথে পড়তে হয় এটা তো হজের সময় মুজদালেফা ও মিনায় অবস্থানের সময় পড়তে হয়।(হেদায়া ১ম খন্ড) আপনার কথার সপক্ষে দলীল কি?
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:১১
313218
সত্যের বিজয় লিখেছেন : ভাই! আপনি লিখেছেন সফররত অবস্থায় যোহর ও আছর একসাথে এবং মাগরিব ও এশা একসাথে পড়তে হয় এটা তো হজের সময় মুজদালেফা ও মিনায় অবস্থানের সময় পড়তে হয়।(হেদায়া ১ম খন্ড) আপনার কথার সপক্ষে সেই সহীহ হাদিসটা উল্লেখ করুন। আর আপনার কমেন্টের ভাষার শালিনতার বড্ড অভাব রয়েছে। কওমী ওলামায়ে কেরামের প্রতি আপনার বিদ্ধেষ দুঃখজনক।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:১৭
313219
আফরা লিখেছেন : @ সত্যের বিজয় ওহিদুল ভাইয়া কিন্ত বলেছেন ,কওমী আলেমরা এটা মানেন না ।

আমাদের এখানে মাঝে মাঝে বড় বড় ইনলামী স্কলারা আসেন আমি উনাদের এটা বলতে শুনেছি এবং করতে দেখি ।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
313232
হতভাগা লিখেছেন : জোহর +'আসর এবং মাগরিব + 'ইশা এক সাথে পড়া যায় আরাফাহর ও মুজদালিফার দিনে । এটাই জানতাম ।

আর সফরে থাকলে যে কসর করা যায় সেটা জানি । সেখানে যে আরাফাহ ও মুজদালেফার মত জোহর +'আসর এবং মাগরিব + 'ইশা একসাথে পড়া যায় - এটা জানতাম না ( ভুল হতে পারে , আল্লাহই ভাল জানেন)।
377921
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:২৩
সত্যের বিজয় লিখেছেন : হতভাগা ভাই ,যদিও আপনি হতভাগা নন , আপনার আসল নাম আমি জানিনা।আপনি ওনার সাথে যোগাযোগ করুন।আশা করি দলীল সহ আপনার প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন। ব্লগে সাণারনত মুফতী সাহেবগন সময় দেননা।তাই এখানে এসব প্রশ্নের সমাধান পাওয়া মুশকিল। আর জেনারেল শিক্ষিত কেউ দলীল প্রমান ছাড়াই হুটকরে কিছু বলে ফেললেই যাচাই ছাড়া তা গ্রহন না করলেই ভাল হবে।
জী ভাই, যোগাযোগ -
মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:১২
313233
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : সফরে মুসাফির অবস্থায় :

সফরে পথে অথবা কোন অবস্থান ক্ষেত্রে বা বাসায় জমা (ও কসর) করে নামায পড়া যায়। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে নবী (সাঃ)-এর নামায সম্পর্কে বর্ণনা দেব না?’ লোকেরা বলল, ‘অবশ্যই।’ তিনি বললেন, ‘সফর করার সময় অবস্থান ক্ষেত্রে থাকতে থাকতেই যদি সূর্য ঢলে যেত, তাহলে সওয়ার হওয়ার আগেই যোহ্‌র ও আসরকে জমা করে পড়ে নিতেন। আর সূর্য না ঢললে তিনি বের হয়ে যেতেন। অতঃপর আসরের সময় হলে সওয়ারী থেকে নেমে যোহ্‌র ও আসরকে এক সঙ্গে জমা করে পড়ে নিতেন। অনুরুপ যদি অবস্থান ক্ষেত্রে থাকতে থাকতেই সূর্য ডুবে যেত, তাহলে মাগরেব ও এশার নামাযকে এক সঙ্গে জমা করে নিতেন। আর সূর্য না ডুবলে তিনি বের হয়ে যেতেন। অতঃপর এশার সময় হলে তিনি সওয়ারী থেকে নেমে মাগরেব ও এশার নামাযকে এক সঙ্গে জমা করে পড়ে নিতেন।’ (আহমাদ, মুসনাদ, শাফেয়ী, দ্র: বুখারী ১১১১-১১১২নং)

হযরত মুআয (রাঃ) বলেন, তবুক অভিযানে গিয়ে আল্লাহর রসূল (সাঃ) একদা দেরী করে নামায পড়লেন। তিনি বাইরে এসে যোহ্‌র ও আসরকে এক সাথে জমা করে পড়লেন। তারপর তিনি ভিতরে চলে গেলেন। অতঃপর বাইরে এসে তিনি মাগরেব ও এশাকে এক সাথে জমা করে পড়লেন। (মুসলিম, মালেক, মুঅত্তা)

দুই নামাযকে একত্রে জমা করে পড়ার সময় সুন্নত হল নামাযের পূর্বে একটি আযান হবে এবং প্রত্যেক নামায শুরু করার আগে ইকামত হবে। আর উভয় নামাযের মাঝে কোন সুন্নত পড়া যাবে না। মহানবী (সাঃ) আরাফাত ও মুযদালিফায় অনুরুপই করেছিলেন। (আহমাদ, মুসনাদ, বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, সুনান)

দুই নামায জমা করার সময় উভয়ের মাঝে সামান্য ক্ষণ দেরী হয়ে যাওয়া দোষাবহ্‌ নয়। কারণ, মুযদালিফায় পৌঁছে মহানবী (সাঃ) মাগরেবের নামায পড়েন। অতঃপর প্রত্যেকে নিজ নিজ উট নিজ নিজ অবতরণ স্থলে বসিয়ে দিল। তারপর এশার নামায পড়লেন এবং মাঝে কোন নামায পড়েননি। (বুখারী ১৬৭২, মুসলিম, সহীহ)

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘মহানবী (সাঃ) মদ্বীনায় যোহ্‌র ও আসর এবং মাগরেব ও এশাকে জমা করে পড়েছেন।’ (এক বর্ণনাকারী) আইয়ুব (আবুশ শা’ষা জাবেরকে) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সম্ভবত: বৃষ্টির সময়?’ উত্তরে (জাবের) বললেন, ‘সম্ভবত:।’ (বুখারী ৫৪৩নং, তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ৩২১পৃHappy
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘একদা নবী (সাঃ) মদ্বীনায় যোহ্‌র ও আসর এবং মাগরেব ও এশার নামাযকে জমা করে পড়েছেন। সেদিন না কোন ভয় ছিল আর না বৃষ্টি।’ লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ‘তিনি এমন কেন করলেন?’ উত্তরে ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, ‘তিনি তাঁর উম্মতকে অসুবিধায় না ফেলার উদ্দেশ্যে এমনটি করলেন।’ (মুসলিম, সহীহ ৭০৫নং)।

সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিম এর হাদীসকে নিশ্চয়ই অস্বীকার করতে পারবেন না। এবার বলুন আপনার মুফতি সাহেব যদি রাসূল (সাঃ) এর কথা ও কর্মের বিপরীত কোন ফতওয়া দেন তাহলে সেটা কি গ্রহণযোগ্য হবে? (নাউজুবিল্লাহ)।
377930
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:০২
377932
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:১৬
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : সফরে মুসাফির অবস্থায় :

সফরে পথে অথবা কোন অবস্থান ক্ষেত্রে বা বাসায় জমা (ও কসর) করে নামায পড়া যায়। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে নবী (সাঃ)-এর নামায সম্পর্কে বর্ণনা দেব না?’ লোকেরা বলল, ‘অবশ্যই।’ তিনি বললেন, ‘সফর করার সময় অবস্থান ক্ষেত্রে থাকতে থাকতেই যদি সূর্য ঢলে যেত, তাহলে সওয়ার হওয়ার আগেই যোহ্‌র ও আসরকে জমা করে পড়ে নিতেন। আর সূর্য না ঢললে তিনি বের হয়ে যেতেন। অতঃপর আসরের সময় হলে সওয়ারী থেকে নেমে যোহ্‌র ও আসরকে এক সঙ্গে জমা করে পড়ে নিতেন। অনুরুপ যদি অবস্থান ক্ষেত্রে থাকতে থাকতেই সূর্য ডুবে যেত, তাহলে মাগরেব ও এশার নামাযকে এক সঙ্গে জমা করে নিতেন। আর সূর্য না ডুবলে তিনি বের হয়ে যেতেন। অতঃপর এশার সময় হলে তিনি সওয়ারী থেকে নেমে মাগরেব ও এশার নামাযকে এক সঙ্গে জমা করে পড়ে নিতেন।’ (আহমাদ, মুসনাদ, শাফেয়ী, দ্র: বুখারী ১১১১-১১১২নং)

হযরত মুআয (রাঃ) বলেন, তবুক অভিযানে গিয়ে আল্লাহর রসূল (সাঃ) একদা দেরী করে নামায পড়লেন। তিনি বাইরে এসে যোহ্‌র ও আসরকে এক সাথে জমা করে পড়লেন। তারপর তিনি ভিতরে চলে গেলেন। অতঃপর বাইরে এসে তিনি মাগরেব ও এশাকে এক সাথে জমা করে পড়লেন। (মুসলিম, মালেক, মুঅত্তা)

দুই নামাযকে একত্রে জমা করে পড়ার সময় সুন্নত হল নামাযের পূর্বে একটি আযান হবে এবং প্রত্যেক নামায শুরু করার আগে ইকামত হবে। আর উভয় নামাযের মাঝে কোন সুন্নত পড়া যাবে না। মহানবী (সাঃ) আরাফাত ও মুযদালিফায় অনুরুপই করেছিলেন। (আহমাদ, মুসনাদ, বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, সুনান)

দুই নামায জমা করার সময় উভয়ের মাঝে সামান্য ক্ষণ দেরী হয়ে যাওয়া দোষাবহ্‌ নয়। কারণ, মুযদালিফায় পৌঁছে মহানবী (সাঃ) মাগরেবের নামায পড়েন। অতঃপর প্রত্যেকে নিজ নিজ উট নিজ নিজ অবতরণ স্থলে বসিয়ে দিল। তারপর এশার নামায পড়লেন এবং মাঝে কোন নামায পড়েননি। (বুখারী ১৬৭২, মুসলিম, সহীহ)

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘মহানবী (সাঃ) মদ্বীনায় যোহ্‌র ও আসর এবং মাগরেব ও এশাকে জমা করে পড়েছেন।’ (এক বর্ণনাকারী) আইয়ুব (আবুশ শা’ষা জাবেরকে) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সম্ভবত: বৃষ্টির সময়?’ উত্তরে (জাবের) বললেন, ‘সম্ভবত:।’ (বুখারী ৫৪৩নং, তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ৩২১পৃ।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘একদা নবী (সাঃ) মদ্বীনায় যোহ্‌র ও আসর এবং মাগরেব ও এশার নামাযকে জমা করে পড়েছেন। সেদিন না কোন ভয় ছিল আর না বৃষ্টি।’ লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ‘তিনি এমন কেন করলেন?’ উত্তরে ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, ‘তিনি তাঁর উম্মতকে অসুবিধায় না ফেলার উদ্দেশ্যে এমনটি করলেন।’ (মুসলিম, সহীহ ৭০৫নং)।

এ সহীহ হাদীসগুলি আমাদের কওমী আলেমরা মানেন না। তাদের যুক্তি হচ্ছে, হানাফী মাযহাবের সাথে মিলে না। এবার আপনিই বলুন- রাসূল (সাঃ) এর হাদীস এর ‍উপর আর কিছু প্রাধান্য পেতে পারে কিনা।

আমি এখানে কোন বিদ্বেষ প্রকাশ করি নি, আপনার বুঝার জন্য বিষয়টি ক্লিয়ার করতে গিয়ে কওমী আলেমদের রেফারেন্স টানতে হলো।

আমার কমেন্টে কি সত্যিই কোন শালীনতার অভাব আছে বলে আপনি মনে করেন যেটা সত্যের বিজয় অভিযোগ করেছেন? থাকলে জানাবেন প্লিজ।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:০৬
313234
হতভাগা লিখেছেন : অশ্লীল কিছু বলেন নাই , তবে কাউকে ফোকাস করে না বললে ভাল হত।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৪:০৪
313242
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ফোকাস এজন্যই করতে হয়েছে যেন দুই রকম জবাব পেয়ে আপনি বিভ্রান্তির শিকার না হন। সঠিকটি বাছাই করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক ভুল আমল পালন করা হয় যেগুলি আমরা বাপ দাদাদের যুগ হতে পালন করে আসছি। এজন্য সঠিকটি পেলে প্রথমে একটু খটকা লাগতেই পারে, সেটাই স্বাভাবিক।
377961
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো এরমধ্যেই অন্যরা দিয়ে দিয়েছেন | তারপরও কয়েকটা পয়েন্ট আরো একটু পরিষ্কার করার জন্য কিছু বলছি :
১। নামাজে সিজদার সময়ই দোয়া করার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়|কারণ সূরা আলাকে আল্লাহ রাসূলুল্লাহ( সাঃ)কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন " কাল্লা লা তুতিহু অসজুদ ওয়াকতারিব" অর্থাৎ “আপনি সিজদা করুন, আর নিকটবর্তী হোন”| এই আয়াতের ভিত্তিতেই সম্ভবত হাদিস আছে নামাজে সিজদার সময় দোয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী |কারণ এই সময় মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে |এর আরো দীর্ঘ ব্যাখ্যা আছে সেগুলো আর বলছি না |সিজদায় এই দীর্ঘ দোয়ার ব্যাপারটা এখানে খেয়াল রাখতে হবে |নফল নামাজে বা কেউ ফরজ নামাজ একাকী করলে তার জন্য সিজদায় দীর্ঘ দোয়া করা সঠিক, কিন্তু ফরজ নামাজের জামাতে এটা করতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিষেধ করেছেন কারণ এখানে নানান ধরণের লোক থাকতে পারে |"রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নামাজে দীর্ঘ কেরাত সম্পর্কে বলেছেন তোমরা ফিতনা সৃষ্টিকারী হয়োনা | নামাযে দীর্ঘ কিরাত নিরুত্সাহিত করে তিনি বলেন তোমরা যখন অন্য লোকদের নিয়ে জামাতে ইমামতি কর তখন সংক্ষিপ্ত কিরাত পাঠ কর কারণ নামজে দুর্বল, বয়োবৃদ্ধ এবং কর্মব্যস্ত লোকজনও রয়েছে"(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯৮৪)|

২। কেউ ঘুমিয়ে থাকার কারণে নামাজ পড়ার সময় চলে গেলে, সে যদি ঘুম থেকে জেগে উঠেই নামাজ আদায় করে নেয় তবে তার নামাজ কাজ হবে না | একবার সফরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)সহ সাহাবীরা সবাই ক্লান্তির কারণে ঘুম থেকে সময়মতো জাগতে না পারায় ফজরের ওয়াক্ত পার হয়ে সূর্য উঠে যায় | রাসূলুল্লাহ (সাঃ)সবাইকে নিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করেন | আল্লাহ তার নবীর সম্মানে তার উম্মতকে ঘুমের কারণে নামাজ কাজ হবার থেকে ক্ষমা করেছেন | এ বিষয়ে সহীহ হাদিস আছে | এই মুহূর্তে রেফারেন্সটা দিতে পারছি না | পরে খুঁজে পেলে দেবো |

সফরে জোহর ও আসর, এবং মাগরিব ও এশার নামাজ একসাথে পড়া জায়েজ | এসম্পর্কে অনেক সহিস হাদিস আছে সহি মুসলিমে |কয়েকটা রেফারেন্স দিচ্ছি : "কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সূর্য ঢলে যাওয়ার সময় সফর করতেন, তখন যুহরের সালাত আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত বিলম্ব করতেন। তারপর অবতরণ করে এ দুই সালাত একত্রে আদায় করতেন। আর যদি সূর্য ঢলে যাওয়ার পর রওনা দিতেন, তখন যুহুরের সালাত আদায় করে সাওয়ার হতেন" (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪৯৮, ইসলামীক ফাউন্ডেশন) ।
১৪৯৬। “য়াহিয়া ইবনু ইয়াহিয়া (রহঃ), কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ), আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ও আমর ইবনু নাকীদ (রহঃ) ... সালিমের পিতা [ইবনু উমর] থেকে বর্ণিত যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখেছি, যখন তাঁর সফরে তাড়াহুড়া থাকত, তখন তিনি মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪৯৬, ইসলামীক ফাউন্ডেশন) ।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
313276
হতভাগা লিখেছেন : মাশা আল্লাহ ! ভালই বলেছেন ।

তাহলে ফরয ও ওয়াজিব নামাজ একা একা যখন পড়া হয় তখন সিজদাতে দোয়া করা যায় ।

সফরের সময় যোহর-'আসর ও মাগরিব-'এশা একসাথে পড়ার চেয়ে আলাদা আলাদাভাবে কসর করলে হয় না ?
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:৫৬
313289
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : আমার মন্তব্যে রেফারেন্স দেয়া একটি হাদিসে প্রতি মন্তব্যে করা আপনার প্রশ্নের উত্তর আছে | হাদিসে বলা হয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাড়াহুড়ার কারণে দুটি কসর একসাথে পড়েছিলেন (হাদিস নং ১৪৯৬, সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | তাড়াহুড়ার কারণ না থাকলে সফরে আলাদা করে কসর পড়া যাবে ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে এরকম সহীহ হাদিসের বর্ণনাও আছে | দ্বীনটা আল্লাহ আমাদের জন্য খুবই সহজ করে দিয়েছেন | গত সপ্তাহে আমার দু হাজার মাইল গাড়ি চালাতে হলো চার দিনের মধ্যে নিউইয়র্ক যাতায়াতের জন্য | যাতায়াতে সব সময়ই জোহর -আসর আর মাগরিব এশা একসাথে পড়লাম | নইলে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছিলো | ওয়ান ওয়ে প্রায় সাড়ে আটশো মাইল| কিন্তু নিউইয়র্ক যেয়ে কসরগুলো আলাদা করেই পড়েছি|যেহেতু হয় হোটেলে নয় আত্মীয়দের বাসায় ছিলাম নামাজের ওয়াক্তে| ধন্যবাদ |
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৯:৫২
313290
হতভাগা লিখেছেন : তাহলে কি দুপুর ১ টার দিকে যোহর - 'আসর একসাথে এবং মাগরিবের অব্যহতি পর পরই মাগরিব - 'এশা একসাথে ( সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায়) পড়া যাবে ?
377980
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০২:২৬
এলিট লিখেছেন : আপনার এমন ধারাবাহিক প্রশ্নের উদ্দেশ্য আমি জানি না। তবে মনে হয়, আপনি চান, এমন আলোচনার মাধ্যমে আপনি এবং অন্য সবাই এই জিনিসগুলো জানুক। কিন্তু এমন ক্ষুদ্র এবং ব্যাতিক্রমী বিষয় জেনে আমাদের কতটুকু লাভ আছে? আমাদের তো গোড়াতেই গলদ। আমরা না জেনে কুফরী, শিরকী করি। এমন প্রশ্ন ও আলোচনা, ইসলামের প্রাথমিক ও মুল বিষয়ের উপরে হলে, সবাই উপকৃত হতে পারে। এমন খুটিনাটি প্রশ্নই ইসলামের মধ্যে এমন ভিন্নমত সৃস্টি করে। আর এসব প্রশ্নের ভুল বা সঠিক উত্তরে তেমন কোন লাভ ক্ষতিও নেই।
১। দোয়া হল প্রার্থনা। আল্লাহর কাছে চাওয়া। এই চাওয়া যে কোন সময় চাইতে পারে, তবে চাওয়াটা হতে হবে একান্ত নিজের। সবাই মিলে একসাথে চাওয়ার কোন নিয়ম নেই। আল্লাহর কাছে এমন ব্যাক্তিগত চাওয়ার জন্য কোন উপলক্ষ্য লাগে না, কোন আয়োজন লাগে না, লাগে না কোন সময়। নামাজের সিজদার সময় দোয়া করার অর্থ এই নয় যে, সিজদায় গিয়ে আপনি দশ লাইন বলে ফেললেন। বরং সিজদায় আপনি একান্ত কিছু চাইবেন যা এক সেকেন্ডের ভেতরেই সম্ভব। তাছাড়া, নামাজ ছাড়াও তো যে কোন সময় আল্লাহকে সিজদা করা যায়, দোয়া করা যায়।
২। কোন অজুহাত ছাড়া নামাজ বাদ হলে তো অবশ্যই গুনাহ হবে। এখন ওই নামাজের সময় যদি কেউ ঘুমিয়ে যায়, বা অচেতন থাকে তাহলে সেটা আল্লহ ক্ষমা করবেন। তবে এট আবার নিয়মিত হলে কিন্তু হবে না। আর কাজা নামাজের কোন ওয়াক্ত নেই। সেটা যখন ইচ্ছা পড়া যায়। আর ফরয নামাজের যেহেতু ওয়াক্ত আছে তাই সবকিছু বাদ দিয়ে সেই সময়মতন ফরজ নামাজ পড়তে হবে। কাজা নামাজটা, ফরযের আগে হল না পরে হল, তাতে কিছু যায় আসে না।
৩। "আন্দাজে" ধারনা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কোন ধারনাটা করা যাবে আর কোনটা করা যাবে না, সেটা নির্ভর করে "বিষয় ও ব্যাক্তি" এর উপরে। আপনি শিক্ষক, স্কুলের ৫০ জন ছাত্রকে পড়ান। এদের কয়জন পাশ, আর কয়জন ফেল করবে সেটার ধারনা আপনি করতে পারেন। ওদিকে আমি স্কুলের পাশের মুদির দোকানদার, ওই পাশ ফেলের ধারনা করাটা আমার সাজে না। আমার জন্য সেটা নিষেধ, আপনার জন্য নয়।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৮:৩৫
313294
হতভাগা লিখেছেন : মাশা আল্লাহ ! ভাল লিখেছেন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File