আর কত অভিজ্ঞতা অর্জন ?
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১১:২৮:৫৪ সকাল
গত ১৯৮৪ এর লস এন্জেলস অলিম্পিক থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিকে যাওয়া শুরু করেছে ।
পদক নয় , অংশগ্রহনই মূল কথা - এই থিওরীই কপচানো হয় প্রতিবারই ।
২০১৬ এর রিও অলিম্পিকে অংশ নেবার পর এ পর্যন্ত ৯ টি অলিম্পিক অংশ নিয়েছে শুধুই অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্যই ?
এই অলিম্পিকে প্রথম এসে পদক জিতেছে কসোভো নামের একটি দেশ । আর আমাদের অলিম্পিক দল গত ৩২ বছর ধরে যাচ্ছে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ? ঠিক কতবার অংশগ্রহন করলে অভিজ্ঞতা লাভ হয়ে যাবে সেটার কোন লিমিট আছে ?
আমাদের এথলেট যারা যান এটা একটা নিয়মই হয়ে গিয়েছে যে তারা হিটেই বাদ পড়বে । হয়ও তাই - কখনই এর ব্যতিক্রম পাওয়া যায় না । আগে তো ভিলেজ থেকেই পালিয়ে যাবার একটা টেনডেন্সী ছিল ।
বছরের পর বছর এরকম একটা প্রতিযোগিতায় এত খরচ করে কেনই বা যাওয়া হয় যেখানে পদক পাবার কোন সম্ভাবনাই নেই ?
আমাদের ক্রীড়া সংস্থার এতটাই দক্ষতা যে তাদের তৈরি করা ও পাঠানো দল সাফ গেমসেও সম পর্যায়ের অন্য দেশগুলোর সাথেও পেরে ওঠে না আর তারা কি না দল পাঠায় অলিম্পিকে !! এরকম দল তারা পাঠায় এশিয়ান গেমসেও । সেখান থেকেও আগে ২/১ টা পদক এসেছিল , এখন তাও আসে না ।
পদক আসুক না আসুক, অভিজ্ঞতা অর্জনের দোহাই দিয়ে বিরাট লটবহর নিয়েই যাওয়া হয় । খেলোয়াড়েরা মাঠে পারফর্ম করার চেষ্টা করেন আর কর্মকর্তারা পারফর্ম করেন মার্কেটে ।
আর এটাই হল ভেতরের থিম - কেন পদক না পাওয়া নিশ্চিত জেনেও বাংলাদেশ দল পাঠায় দলের সাথে যাওয়া অহেতুক কিছু কর্মকর্তারা জনগনের খরচায় নিজেরা আমোদ ফূর্তি করবে বলে ।
দলের সাথে যাওয়া কর্মকর্তাদের মার্কেটিং এর জন্য যদি কোন পদক থাকতো তাহলে বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের সাথে যাওয়া এই কর্মকর্তাদের বদৌলতে আমরা পদক তালিকার প্রথম দশেই থাকতাম ।
অনেক বছর আগে চীনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে টাওয়েল চুরি করার দায়ে এরকম বেশ কিছু কর্মকর্তা দেশের জন্য ভালই সুনাম (!) কুড়িয়ে এনেছিলেন ।
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অংশগ্রহন করার আভাস না থাকলে বা পদক পাবার কোন সম্ভাবনা না থাকলে সেসব খেলায়/প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন না করাই ভাল।
বিষয়: বিবিধ
৯৪২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন