Early to bed early to rise makes a man healthy wealthy and wise
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:০৯:২৪ দুপুর
প্রবাদটি অনেক পুরনো হলেও এখন এটাকে খুব কম লোকই ফলো করে ।
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা যে মানুষকে সুস্থ ও সবল রাখে এটা এখন আমরা প্রায়ই ভুলতে বসেছি ।
কর্ম ব্যস্ততার সাথে আধুনিক যুগের বিভিন্ন বিনোদন মানুষকে নানাবিধ প্রেসারে ডুবিয়ে রেখেছে । ফলে দেখা যায় ম্যাক্সিমাম মানুষই দেরি করে ঘুমাতে যায় আর ওঠেও দেরি করে ।
যেমন , অফিস থেকে বাসায় আসতে আসতে ৮/৯ টা লেগে যায় । বাসায় এসেই বিনোদনের জগতে ঢুকে পড়ে । সেটা থেকে বের হতে হতে রাত ১২ টা (কমপক্ষে)। ঘুম আসতে আসতে ১২.৩০ টা/১টা । সকাল ৯/১০ টার অফিস ধরতে গেলে কমপক্ষে ৭টা বা সাড়ে সাতটায় বের হতে হবে । এর জন্য উঠতে হবে মিনিমাম ৬ টা / সাড়ে ৬ টায় ।
মানে ৫/৫.৩০ ঘন্টার বেশী ঘুমানো যায় না । এই অবস্থায় অফিসে গিয়ে কনসেন্ট্রেশন লাগিয়ে কাজ করা খুব টাফ হয়ে যায় । কেউ কেউ আবার ইউরোপিয়ান লীগের পাড় ভক্ত ।
মোবাইল কোম্পানীর ফাঁদে পড়ে ছেলেমেয়েরাও এই গ্যাঁড়াকলে পড়ে যায় ।
এই ভিসিয়াস সাইকেলে পড়ে সবারই দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার একটা প্রবনতা তৈরি হয়ে যায় যেটা যে কাউকেই অলস করে ফেলতে বাধ্য । শারীরিক ধকল তো খুবই স্বাভাবিক । কারণ স্ট্রেস অনেক রোগের আঁধার।
আর ফযরের নামাজ ..... সেটা অনেকের কাছেই গৌন হয়ে যায় । এর ফলে বাকী নামাজগুলোও পড়ার কোন আগ্রহ/তাড়না জন্মায় না।
এসব থেকে বের হয়ে আসাটা কিন্তু খুব একটা কঠিন ব্যাপারও নয় ।
অফিসের সময় এখনকার সূচীর (৯/১০ টা) চেয়ে যদি এগিয়ে আনা যায় , যেমন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪/৪.৩০ টায় এবং বাচ্চাদের স্কুলও ৭ টায় শুরু করা যায় তাহলে বাবা মা ছেলে মেয়ের সবারই রাত ১০ টার মধ্যে শুতে যাবার তাড়না চলে আসবে ।
যারা অযথা রাত জাগে, পরের দিন স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে বা অফিসে সময় মত পৌছাতে পারবে না বা কাজে/পড়াতেও মনযোগ দিতে পারবে না । এরকম চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায়ঃশই নানাবিধ প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হবে ।
এরকম পরিস্থিতিতে সব সময় পড়তে কেউই চাইবে না ।
মোবাইল কোম্পানীদেরকেও এরকম স্বাস্থ্যহানীকর প্যাকেজ থেকে নিজেদের বের করে আনতে হবে ।
যাতায়াত ব্যবস্তা তথা ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সহনিয় করে আনলে সন্ধ্যা ৬ টায় বাসায় পৌছানো খুবই সম্ভব - ঢাকার ভিতরের দূরত্ব ২৫ মাইলের বেশী হবেই না ।
৬ টায় বাসায় পৌছে খুব সহজেই বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে এটেন্ড করা যায় । আত্মীয় স্বজন - বন্ধু বান্ধবদের সাথে যোগাযোগ মেইনটেইনও হয় .
সন্ধ্যের মধ্যেই বাসায় ফিরতে পারলে পরিবারের সাথে সময় ব্যয় করা যায় , সন্তানদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া যায় এবং তাদেরকে সঠিক পথে রাখার তদারকিও করা যায় ।
আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে টিভি চ্যানেল ১/২ টার বেশী ছিল না , খেলার মাঠ ছিল এবং মাগরিবের আগেই সবাই ঘরে ঢুকে যেত , মোবাইল ফোনেরও এতটা ব্যাপকতা ছিল না । কিন্তু সে সময়ের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন এবং মূল্যবোধ এখনকার চেয়ে বেটারই ছিল।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৬ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ আমাদের হাসুবু তাহাজ্জুদের নামাজও আদায় করেন । তার নেতা কর্মীরাও তাকে অনুসরণ করে ।
আর ইসলামী সবকিছুর পেটেন্ট কি আপনাদের ? এরকম মনমানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে তো সাফারিংস শেষ হবে না ভাই !
এখন পালিয়ে কুল পাচ্ছে না ।
জামায়াত আমার দেশেরট ক্ষতি করেছে ৭১ সালে । একজন পাকিস্তানী হিসেবে আপনি যেমন জামায়াতকে সাপোর্ট করবেন আমি একজন বাংলাদেশী হয়ে বাংলাদেশীকে সাপোর্ট করবো।
মুসলমান ভাই হয়েও জামায়াত বাংলাদেশীদের হত্যা করেছে । হতে পারে আমার কেউ হয়ত সেটাতে পড়ে নি , কিন্তু আমার দেশবাশীকে তো করেছে !
আপনাদের নিয়ে সমস্যা হল আপনারা ভুল জায়গায় বসে জামায়াতের গুনগান করছেন । পাকিস্তান চলে যান । সেখানে ভাল দাম পাবেন ।
আপনাদের দৌড় ব্লগেই সীমাবদ্ধ । বাইরে তো মাইরের উপর আছেন ।
াগের কোন এক পোস্টে আপনাকে পাকিস্তানের টিকিট ও পাসপোর্ট দিয়েছিলাম । হারিয়ে ফেললে বলেন , আরেকটা দিয়ে দিব। আপনাদের সাফারিওংস দেখে ভাল লাগতেছে না যদিও এটা আপনাদের প্রাপ্য ছিল ।
আসলে সত্যকে যারা মানতে চায়না ,যাদের অন্তর ও বিবেক চিরতরে বক্র হয়ে গেছে তাদের সাথে সত্যের আলোচনা করাও উলুবনে মুক্তো ছড়ানোর মত।
বাংলাদেশের মানুষ তো আপনাদেরকে মাফ চাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল এই ৪০ টা বছর , কাছে তো লাগান নি ।
নিরীহ কোন মানুষ মারা এটা জামায়াতের আদর্শ হতে পারে।ইসলামের আদর্শ হতে পারে না ।
জামায়াতকে ইসলামের সাথে মিলিয়ে ফেলাই আপনাদের জন্য কাল হয়ে গেছে।
বিনা অপরাধে কোন মানুষকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা - জামায়াত কি এটা ফলো করেছিল ৭১ এ যে নিজেদেরকে ইসলামের পথে আছে বলে দাবী করে?
ইসলাম নিয়ে জামায়াত ব্যবসা করতো , রাজনীতি করতো ।
দেশে জামায়াত ও পাকিস্তানী মনষ্কদের রাজনীতির দিন ফুরিয়ে এসেছে।
৭১ এ কৃত কাজের ফল জামায়াত তো পাচ্ছেই , তাদের দেশ পাকিস্তান অনেক আগেই পেয়ে গেছে এবং পাচ্ছে । ৭১ সালে ইসলামকে অপব্যাখ্যা করার ফল দুইজনই ভোগ করতেছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন