হতভাগার জিজ্ঞাসা ১২
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১৪ জুলাই, ২০১৬, ০৩:৪২:১৭ দুপুর
১. ওয়াক্ত শুরু হবার সাথে সাথেই কি আযান দেওয়া উচিত ?
আর , আযান দেবার কত সময়ের মধ্যে জামাত শুরু করা উচিত ?
আমাদের দেশে বিশেষ করে ফযর ,যোহর , 'আছর আর 'এশার নামাজের আযান ওয়াক্তের বেশ পরে শুরু হয় আর নামাজও সেভাবে প্রায় ওয়াক্ত শুরু হবার ঘন্টা খানেক পর শুরু হয় । মাগরিবের সময় দেখা যায় যে ওয়াক্তরের ৫ মিনিটের মধ্যে আযান দেওয়া হয় আর আযান শেষ হবার ১/২ মিনিটের মধ্যেই জামায়াত দাঁড়িয়ে যায়।
এই ট্রেন্ড কি সমস্যা করবে ?
২. নামাজের সময় হাফ হাতা শার্ট/গেন্জি বা ফুল হাতা শার্ট/গেন্জি কোন সমস্যা করে ? ফুল হাতা শার্টের হাতা গুটানো থাকলে নামাজ শুরু সময় কি সেটা খুলে ফেলতে হয় ?
৩. মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত কতক্ষণ পর্যন্ত থাকে ? কারণ এই নামাজের ওয়াক্ত যখন হয় তখন মানুষ কাজে কর্ম সেরে বাসায় যাবার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে । দেখা যায় যে সে সময়ে বাসে/ট্রেনে থাকে । নামাজ কাযা হয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে ।
৪. ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফযরের নামাজই কাযা হয়ে যায় বেশী , বিশেষ করে দিন যখন বড় হয় । তখন কি করার আছে ?
৫. সঠিক সময়ে জামায়াতে দাড়ানোর পর কেউ যদি খুব স্লো মোশনে রুকুতে যায় / সেজদাতে যায় এবং যদি এমন হয় যে সে রুকুতে যাবার আগেই ঈমাম সাহেব রুকু থেকে উঠেছেন তখন কি করার আছে ?
বিষয়: বিবিধ
১৮১৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দখুলুল মসজিদ এবং তাহিয়াতুল আজান - এগুলো সুন্নত । কিন্তু এই সুন্নত গুলোকে আমরা এমনভাবে পালন করি মনে হবে যে এটা ফরযের চেয়েও বেশী কিছু আর আমাদের মুসলমান সমাজে সুন্নত নিয়েই যত ক্যাচাল বাঁধে । ফরয নিয়ে সবাই একাট্টা থাকে।
দুখুলুল মাসজিদ কি প্রতি ওয়াক্তেই পড়া উচিত ?
জামার হাতা গুটিয়ে রাখা কি ঠিক হবে ?
অনেক সময় দেখা যায় রুকু ও সিজদাতে যে তসবীহ গুলো পড়া হয় সেগুলো ( ১ বার পড়া ফরয , ৩ বার পড়া সুন্নত ) বেশ সময় নিয়ে পড়া হয় । সাধারণ মুসল্লীরা হয়ত এর মধ্যে নিজেরা ৬/৯/১২ বারও পড়ে ফেলে । কেউ কেউ আবার ৩ বার পড়ে ঈমাম সাহেবের পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষায় থাকে।
দুই আযানের মাঝে (আযান ও ইকামাতের মাঝে) নামাজ আছে, মাগরিব ছাড়া" এটি আরেকটি হাদিসের অনুবাদ।
হাদিসের ভিন্নতা ও আমলের ভিন্নতার কারণে এ ব্যপারে মতভেদ হয়ে যায়, ইমাম শাফেয়ী রহঃ মাগরীবের আগে দু'রাকাত নামাযকে মুস্তাহাব বলেছেন। ইমাম মালেক রহঃ মাকরুহ বলেছেন, ইমাম আবু হানীফা রহঃ অনুত্তম, অননুমোদিত বলেছেন। বিস্তারিত এই ওয়েবে পাবেন। Click this link
অথচ ৭২ দল তো জাহান্নামী হবে। বুঝা গেল ৭৩ দলের বিভক্তি আকিদা বিষয়ক হবে।
আবার কেউ আমীন আস্তে বলছে, কেউ বা জোরে, কেউবা আট রাকাত, আবার কেউ বিশ রাকাত, কেউ সুরায়ে ফাতেহা পড়ছে, কেউ পড়ছে না, কেউ বুকে কেউ পেটে কেউ নাভিতে হাত রাখছে, আবার কেউ মোটেও হাত বাঁদছে না।
এতকিছুর পরও এখানে ফতোয়াবাজী, দলাদলি, একে অপরকে বয়ান দেওয়া, জ্ঞান দেওয়া, তোর হয় নাই, এভাবে হবে, ওভাবে নয়, চেলেঞ্জ করলাম, তোর জাল হাদিস, তোর জয়ীফ হাদিস, তোর সহীহ হাদিস, তোরা শির্কি, তোরা বিদাতি ....... ..... .... .... .... ইত্যাদি ইত্যাদি আরবদেশে নেই।
একটাই পার্থক্য আছে, তা হল শিয়া ও সুন্নি। দু-গ্রুপের মসজিদ আলাদা, আযান আলাদা। ইবাদাত ও আক্বিদাহ আলাদা, এতটুকুই পার্থক্য।
এ না হলে মুসলিম ভাতৃত্য ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন