আল'হামদুলিল্লাহ : আল্লাহ তার বান্দার ভালই হেফাজত করেছেন ।
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১৩ জুলাই, ২০১৬, ০৮:৪০:৩০ সকাল
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সামান্যতম প্রমাণও মেলেনি : ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা
*******************************************************************************************
ভারতীয় ইসলামিক স্কলার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উসকানির অভিযোগের সামান্যতম প্রমাণও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র স্টেইট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট (এসআইডি)। দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হবে না বা তাকে গ্রেফতারের কোন কারণ নেই বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম 'দ্য হিন্দু'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এসআইডি'র সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে ভারতে এবং ভারতের বাইরে দেয়া জাকির নায়েকের শত শত বক্তৃতার ইউটিউব ভিডিওসহ অন্যান্য তথ্যাদি পরীক্ষা করেছে সংস্থাটি। যেখানে আইসিসের প্রসারে তার বক্তৃতা প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি উঠেছে, সেই হায়দ্রাবাদের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে সেগুলিও যাচাই করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর্যবেক্ষণ উপর মহলকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
"ইংরেজীভাষী এই ধর্ম প্রচারকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগেরই প্রমাণ মেলেনি। শুধুমাত্র যে সম্ভাব্য বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া যায়, সেটি হলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া। কিন্তু সেটিও তার বক্তৃতা থেকে প্রমাণ করা সম্ভব না। আমরা তার গতিবিধি নজরে রেখেছি। যদি তিনি তার অবস্থান থেকে কখনও সরে যান, কেবলমাত্র তখনই তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা সম্ভব। আপাতত, আমরা শুধু পর্যবেক্ষণে রেখেছি তাকে।"
জাকির নায়েকের সাবেক এক সহকর্মীর বক্তব্যও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান এসআইডি কর্মকর্তা। ওই ব্যক্তি এখন আর জাকির নায়েকের সঙ্গে কাজ করেন না। তিনি বলেছিলেন, "বক্তৃতা থেকে প্রাপ্ত অর্থ জাকির নায়েক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন। শেয়ারবাজারে লাভের জন্যই তিনি 'বক্তৃতা বাণিজ্য' চালিয়ে যাচ্ছেন।" কিন্তু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ কোন অপরাধ হতে পারে না বলেও জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
মুম্বাইয়ে জাকির নায়েকের সমর্থকরা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা একটি অভিযোগও সঠিক নয়। তার আইনজীবী মুবিন সোলকারের দাবি, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগেরই সত্যতা নেই। এমনকি 'ঘৃণা ছড়ানো'র অভিযোগও পুরোপুরি মিথ্যা। সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দেয়ার অভিযোগের তো প্রশ্নই ওঠে না।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2016/07/13/344029#.V4WjVdJ96M8
**********************************************************************************************
প্রতিক্রিয়া :
গুলশান ঘটনায় জাকির নায়েককে শুধু শুধু টেনে এনেছে ট্রান্সকম গ্রুপের পত্রিকা ডেইলি স্টার । যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহর দয়াপ্রাপ্ত এই দাঈকে দুই সপ্তাহ বেশ ঝামেলার মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে । বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে উনাকে যারা পছন্দ করতেন উনার অসাধারণ বাগ্মীতার কারণে ( যেটা আল্লাহই তাকে দিয়েছেন) ।
মানুষকে সৎ পথে তথা আল্লাহর মনোনিত ইসলামের পথে আনার জন্য কাজ করে যাওয়া এই দাঈ ও তার প্রচার মাধ্যমকে কতই না হেনস্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে এই ডেইলি স্টার পত্রিকাটি ।
ভাল কথা বলা , মানুষকে ভাল ভাল উপদেশ দেওয়া এই চ্যানেলটি বন্ধ করা হয়েছে শুধু মাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে । অথচ যেসব চ্যানেল , সিনেমা , গান , সিরিয়াল দেখে মানুষ বিপথে যায় ; নোংরা ও অশ্লীল কাজ করে , সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য যেসব অনুষ্টান তথা চ্যানেল দায়ী সেগুলো দিবি্য চলে যাচ্ছে !
প্রমাণ হবার আগেই শুধু অভিযোগের ভিত্তিতেই যদি কোন চ্যালেন বন্ধ করতে হয় তাহলে তো ভারতীয় টিভি চ্যানেল অনেক আগে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবার কথা । এটা বন্ধ করার জন্য আওয়াজও উঠেছিল তবে সেটা পিস টিভি বন্ধ করনেওয়ালাদের আওয়াজের কাছে কিছুই না ।
যেখানে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাপারটাতে কোন প্রমাণই পায় নি সেখানে ছাগলের ৩নং বাচ্চার মত লাফানো বাংলাদেশের সাংবাদিক ও পত্রিকাওয়ালাদের তো এখন খেমা দেওয়া উচিত , উচিত সরি বলে সরকারকে পুনরায় পিস টিভি চালু করার জন্য চাপ দেওয়া ।
যদি না করে তাহলে বুঝতে হবে যে - তাদের ইনটেনশন ভাল ছিল না । তারা ভারতের চেয়েও বেশী ভারতীয় , তারা হিন্দুদের চেয়েও বেশী হিন্দু আর ''র'' এর চেয়েও কয়েক ধাপ এগিয়ে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৪ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই খবরটা তারা নির্বাচনের প্রথম কয়েকঘন্টা চাউর রেখেছিল । তার সুদূর প্রসারী প্রভাব এখন আমরা ভোগ করছি ।
WMD এর কথা বলে ইরাক আক্রমন করলেও পরে ব্লেয়ার বলেছিল যে ইনফরমেশনটা ভুল ছিল । এতে কি ইতিমধ্যে মারা যাওয়া ৬ লাখ ইরাকি জীবিত হয়ে উঠবে ?
ভুয়া খবর তথা গুজবে বিশ্বাসী বাংলাদেশীদেরকে ভূয়া খবর খাইয়ে সেটা থেকে ফায়দা উসূল করে নেওয়া আমাদের সাংবাদিকদের একটা বিশেষ যোগ্যতা।
মূলত ভারতের পক্ষে, ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে, দেশের বিপক্ষে লিখার ওয়াদা দিয়েই তো টাকাটা সংগ্রহ হয়েছিল.... তাই দু'নম্বরী কাজটা আজও চলছে....
এই ছেলে তো আগুন নিয়ে খেলছে
পুরাই অস্থির এক পিস আমাদের এই দরবেশ । উনি স্টক এক্সচেন্জের হেড ছিলেন অভিযুক্তের খাতায় থেকেও ।
দলবল নিয়ে নাকি সেখানে নামাজের ঈমামতিও করতেন !
এটাই হচ্ছে আমাদের তথাকথিত আলেমদের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মযঝ্ঞ
বিঃ দ্রঃ সাবেক বিডিয়ার প্রধান মেজর জেনারেল এলএম ফজলুর রহমানের স্ট্যাটাস।
যখন দেখলাম পিসটিভি ভারতে বন্ধ করার আগেই বাংলাদেশে বন্ধ করা হলো। তখন হুছাট খেলাম!! বাংলাদেশের মিড়িয়া নিয়ন্ত্রকদের প্রতি ঘৃণা বাড়তে থাকলো।
সূর্যের চেয়ে বালির তাপ বেশী হয় । বাংলাদেশের প্রশাসন ভারতের চেয়েও বেশী ভারতীয় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন