হতভাগার জিজ্ঞাসা ১১
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১১ জুন, ২০১৬, ১১:০২:০৬ সকাল
১. যুবক-যুবতী প্রেম করে ইস্যু জন্মালো । এখন তারা ধর্মীয় মতেই বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছে । আমাদের শরিয়ত এটাকে কিভাবে দেখে ?
২. সাহরীর পর যখন ফজরের নামাজ পড়া শেষ হয় তখন মুখ দিয়ে সিক্রেশন আসতে থাকে । আবার ওজু করার ফলেও হালকা ঠান্ডা লাগায় নাক দিয়ে , মুখ দিয়ে সর্দি আসতে শুরু করে । এরকম দিনের বেলায় কাজের সময়ও হতে থাকে প্রায়শই । কি করা যায় এরকম হলে ?
বিষয়: বিবিধ
১২১৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রেমালাইসিস রোগে আক্রান্ত হইয়া নাজায়েজ আওলাদ পয়দা করণের যাদের এতো উগ্রো চ্যাতানা তাদের জন্য আবার আন্নেগো শরীয়ত কি চিজ? যদি আপ্নে শরীয়তের চোখে এইসব রোগীর সিকিৎসা করাইবার চান তাইলে তো শরীয়তী প্রক্রিয়ায় এইসব চিনড্রোমের থেরাপী দেউন দরকার। আই মিন ”ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ” বেসিসে হেতারগো সিকিৎসা করণ যাইবার পারে। আগে সংঘঠিত অপরাধের আগে শাস্তি প্রয়োগ করণ দরকার যাতে এই রোগের ভাইরাস অন্য কারো নিকট ছড়াইবার না পারে।
২ নং সমাধান
এ জাতীয় সমস্যা যাদের আছে তারা নগর জীবন চাইড়া গ্রামে গঞ্জে গিয়ে মাঠে ময়দানে কামলা খাটতে পারেন।
২. অভিজ্ঞতা থেকে বলায় ধন্যবাদ ।
শরিয়তি সমাধান জানা থাকলে বলতে পারেন । সমস্যা গ্রামগন্জে কাজ করা লোকদেরও হতে পারে ।
যদি বিয়ের আগেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়, এই সন্তান জারজ হিসেবেই গন্য হবে, তবে তাদের সন্তানই। পিতা মাতার সম্পদের ওয়ারিস হবে।
আমাদের দেশে যারা রাসূল কে গালি দেয়, তারাও কিন্তু মাতাপিতা থাকার পরও যে কোন প্রকারে জারজ সন্তান। কারন একটি হাদিসে স্পষ্ট আছে: এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক কাফির রাসূল সাঃ কে গালি দিয়েছিলো, আর রাসূল সাঃ বলেছিলেন: এর জন্ম দোষ আছে, বাস্তাবে খোজ নিয়ে তাই পাওয়া গেল। পুরো হাদিসটি এখন মনে পড়ছে না।
"সিক্রেশন" কি? ব্যখ্যায় বলেন:
ঝাল কোনকিছু খাইলে মুখে ক্যাপসিন নামক হরমোন সিক্রেশন হয়। এ জিনিষ চর্বিতে দ্রবীভূত হয়,পানিতে হয় না।
এটি নাকি অন্য কিছু?
: প্রক্রিয়াটি পাপ। এটা শাস্তিযোগ্য। কিন্তু যদি এমন হয় যে, বিষয়টি কেউ জানলো না। অথবা পর্যাপ্ত সাক্ষের অভাবে বিচারও কেউ চাইলো না। অথবা যখন বিয়ে হয়েছে,সংসার করছে তখন লোকে জানল।....এসময় পূর্বের উক্ত বিষয়ের শাস্তি শরিয়াহ আদালতও প্রদান করেনা।প্রয়োজনও নেই কারন তারা বিবাহিত। আর সন্তানটির জন্ম প্রক্রিয়া অবৈধ হলেও সন্তানটি অবৈধ নয়। তার কোনো দোষ নেই।
এক্ষেত্রে একটিই উপায়, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনিই অসীম ক্ষমাশীল।....আপনার মন্তব্যে কঠোরতা এসেছে...যে এভাবে ক্ষমা পেয়ে গেলে ট্রেন্ড হয়ে যেতে পারে...
আপনার চিন্তা সুন্নাহ সমর্থিত হয়নি ভাই।
বুখারী,মুসলিম গ্রন্থে রজমের শাস্তির বাস্তবায়ন বিষয়ে যে দুটি হাদীস এসেছে,সেখানে দেখা গেছে অপরাধী নিজেই বিচার প্রর্থনা করছে এবং রসূল(সাঃ)তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন এবং অবজ্ঞা করছেন,যাতে তারা ফিরে যায় এবং তওবা করে ভালো হয়ে যায়।
এমনকি সাহাবাও তাদেরকে নিবৃত করা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। রসূল(সাঃ)দীর্ঘ সময় দিয়েছেন যাতে সবকিছু উপলব্ধী করে তারা নিজেরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু তারা নিজেদের উপর শাস্তি আরোপ করে নিয়েছে।
এমনকি শাস্তি কার্যকর করার সময়ও অবকাশ দেওয়া হয়েছিলো যে, পালাতে চাইলে ধাওয়া যেন না করা হয়।.....
যেখানে আল্লাহ তার পাপী বান্দার উপর সদয়, আপনি কঠোর কেন ? হ্যা পাপকে ঘৃনা করতে হবে। সেটা না ঘটার সব রাস্তা বন্ধ করতে হবে। মোটিভেট করতে হবে। শাস্তির বিধানও থাকবে। কিন্তু মানুষের মনে দয়া থাকবে। আর এক দুটি শাস্তি দিলে এরকম ঘটনা প্রায় ঘটেনা বল্লেই চলে। আল্লাহ ক্ষমাশীল সব সময়,কিন্তু ভুল বোঝার সুযোগ নেই
পাপের উপযুক্ত শাস্তি না হলে সেই পাপ অনেকের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে । জনসমক্ষে শাস্তি দেবার অন্যতম কারণ যারা দেখতে এসেছে তাদের মাঝে যাতে এরকম কাজ করার চিন্তা মাথাতেও না আসে।
আল্লাহর বিধান মানার ক্ষেত্রে মানুষের প্রতি আবেগ কাজ করা উচিত না । উমর (রাঃ) ও তার ছেলের ঘটনাটি স্মতর্ব্য ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন