হতভাগার জিজ্ঞাসা ১০
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১০ জুন, ২০১৬, ০২:১৩:৪২ দুপুর
১. কিছুক্ষণ হল জুম্মার নামাজ পড়ে আসলাম । রোজার প্রথম শুক্রবার বলে বেশ লোক হয়েছিল । ফলে অনেকেই নামাজ পড়ার সুযোগ পায় নি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও । এক্ষেত্রে কি ২য় জামাআতের ব্যবস্থা করা যায় ? ঈদের জামাআতও তো একই মাসজিদে একাধিকবার হয়ে থাকে ।
২. আল্লাহ তার সাথে শিরক করাকে কখনও মাফ করবেন না । অন্য যে কোন গুনাহ আল্লাহ তার ইচ্ছা আনুযায়ী যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করতে পারেন ।
এখন কোন খৃষ্টান বা হিন্দু যদি মুসলমান হয় তাহলে তারা যে আগে শিরক করেছিল [মূর্তি পূঁজা , ঈসা (আঃ)কে আল্লাহ/আল্লাহর পূর্ত বলে মানে (নাউজুবিল্লাহ্)] সেটার কি হবে ?
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৪ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পড়া যাবে। আল্লাহু আলাম।
২. উত্তর: প্রাণ কণ্ঠাগত হলে তওবা কবুল হয় না। সূর্য পশ্চিম দিকে উঠলে তওবার দরজা বন্ধ। ফেরাউন সবথেকে বড় জালিম সেও তওবা করতে চেয়েছিলো ফরে জিব্রিল (আ) তার মুখে কাদা মাটি ঢুকে দিয়েছিলে যেন বলতে না পারে কেননা বললে আল্লাহ মাফ করে দিত। আল্লাহ আরশের মাঝে লিখে রেখেছেন, আল্লাহর ক্রধের উপর আল্লাহর রহমত।
তাই মরার আগে তওবা করে ইমান আনলে সে মাফ পাবে। কেননা ইসলাম গ্রহন পূর্ববতী সকল পাপকে মিটিয়ে দেয়।
যে আয়াতের কথা বলছেন, সেটি হচ্ছে কেউ শিরক করে মরলে তার মাফ নাই। ০% চান্স। বাট বাকিদের চান্স আছে। আল্লাহু আলাম।
আরও উদাহরন দেয়া যায় আপাতত এটাই থাক।
২. ফেরাউন যখন ডুবতে ছিল তখন সে বলা শুরু করেছিল যে, আমি মুসা(আঃ)ও হারুন (আঃ) এর রবের উপর ঈমান আনলাম । তখন আল্লাহ বলেছিলেন - এখন ঈমান আনলে ! অথচ এর আগে তুমি নাফরমানীই করে গেছ । আজ আমি (আল্লাহ)তোমার দেহকে সংরক্ষিত করে রাখব । কিয়ামতের দিন ফেরাউন তার দলবল নিয়ে দোযখে প্রবেশ করবে ।
লুকমান (আঃ) তার ছেলেকে বলেছিলেন - হে আমার বৎস তুমি আল্লাহর সাথে শিরক করো না , নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অপরাধ ।
০ শয়তান যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে সে কি মাফ পাবে ? অথচ পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ শয়তানকে ব হুবার লানত করেছেন এবং সে যে দোজখে যাবে সেটা নিশ্চিত করে বলেছেন । অথচ শয়তান নিজে বলেছে ''রাব্বুল আলামিন আল্লাহকে আমি ভয় করি (মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোন এক কাফের গোত্রের সাথে আরেক কাফের গোত্রের প্রধান শোরাকার রুপে যখন চিটিংবাজী করে ফেরেশতাদের দেখে পালিয়ে গিয়েছিল)। ''
(আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন , আল্লাহই সর্বজ্ঞানী)
@জ্ঞানের কথা
- এ কথাটুকুর সূত্র জানাতে অনুরোধ করছি।
"কেননা বললে আল্লাহ মাফ করে দিত"- এ কথাটিও সঠিক নয়। কারণ মাফ চাইলেই মাফ করা হবে, এমন ধারণার বিপরীত কথা আলকুরআনের অসংখ্য আয়াতে বলা হয়েছে-
মাফ চাইলে, এমনকি দুনিয়াভরা সম্পদ বা আরো অনুরূপ পরিমান ফিদিয়া দিলেও কবুল করা হবেনা এবং মাফ করাও হবেনা..
>>>>>>>>>>>>>
(১)জুমআর নামাজ খুৎবাহসহ ফরজ, এটি এক মসজিদের আওতাধীন সকলের জন্য এক জামায়াতে হওয়া শর্ত!
স্থান সংকুলান না হলে মসজিদের ছাদসহ আশেপাশের সকল খোলাস্থান(+রাস্তা) মসজিদের অস্থায়ী বর্ধিতাংশ বলে গণ্য হবে এবং নামাজের জামায়াতের সাথে যুক্ত হয়ে এক জামায়াতেই আদায় করতে হবে।
দ্বিতীয় জামায়াতের সুযোগ থাকার পক্ষে কারো কোন অভিমত আমার জানা নেই!
জুমআর নামাজ ঈদের নামাজের জামায়াতের সাথে তূলনীয় নয়। ঈদের নামাজের সময়ের প্রশস্থতা রয়েছে।
ঈদের নামাজ সুন্নাত বা ওয়াজিব, তাই একই মসজিদে ভিন্ন সময়ে একাধিক জামায়াত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
(২)"ঈমান আনা" পূর্ববর্তী জীবনের সকল আপরাধের কাফফারা হয়ে যায়, এমনকি ঐসব ভালো কাজ- ঈমানবিহীন হওয়ার কারণে যেগুলোতে কোন সওয়াব ছিলনা- সেগুলোও সওয়াব হিসেবে লেখা হয়। [দ্রষ্টব্যঃ সূরা ফুরক্বান শেষ রুকু]
০শয়তানকে মাফ করা হবেনা, কারণ সে অহংকার করেছিল। অহংকার এমন এক অপরাধ যা সকল ভালোর পথ রুদ্ধ করে দেয়। যার অন্তরে কণা পরিমানও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!
জাযাকুমুল্লাহ....
আফসোস এমন ব্যখ্যাকারীদের জন্য।
অথচ পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে
وَجَاوَزْنَا بِبَنِي إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ وَجُنُودُهُ بَغْيًا وَعَدْوًا ۖ حَتَّىٰ إِذَا أَدْرَكَهُ الْغَرَقُ قَالَ آمَنتُ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا الَّذِي آمَنَتْ بِهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ (90)
সূরা ইউনুস: ৯০
স্পষ্ট ভাষায় যেখানে ফেরআউন ঈমান আনার ঘোষনা দিয়েছে, সেখানে কাদা মাটি ঢুকে দিয়েছিলে যেন বলতে না পারে
কথাটি কতটা মারাত্বক হতে পারে। আল্লাহ মাফ করুক।
ফেরআউনের তাওবা কবুল হয় নাই, কেননা সে ঈমান এনেছিল ঠিক মৃত্যুর মূহুর্তে। প্রাণ কণ্ঠাগত হলে তওবা কবুল হয় না।
-একা একা পড়ে নিন।
-শয়তান যে মাফ পাবে না তা তো কোরাআন ও হাদীসেই স্পষ্ট! এর তো কোন ব্যাখ্যার দরকার ই নাই।
আবু সাইফ+আবু জান্নাত-
-আমার কথাটাও দেখি আপনারা কোরআন হাদীষ বানিয়ে ফেলছেন!?
তবে হ্যাঁ, আমার লেখা "কেননা বললে আল্লাহ মাফ করে দিত" এর কেননা এর পরে এখন থেকে পড়ুন "হয়তবা"
-খেয়াল করুন আমার লেখার পরে আমি লিখেছি "আল্লাহু আ'লাম"। আমার জ্ঞান নাই। জ্ঞান "০" শূণ্য তাই আল্লাহর উপর ভরসা।
-আবু জান্নাত ভাই, এজন্যই সালাফরা বলেছেন, মুকাল্লিদ কখন জ্ঞানী হয় না।
'ইস! তাহলে বুঝি জিব্রাঈলের শত্রুতার কারণে ফেরআউন মাফ পেলনা"
-আল্লাহ ও তার রসুলে (সা) শত্রূ জিরাইলেরও (আ) এর শত্রূ। আমার ও শত্রূ। আপনার শত্রূ হবেই সেটাও আমি জানি।
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
২।মালিক (রহঃ) আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, বান্দা যখন ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার ইসলাম উত্তম হয়, আল্লাহ্ তা’আলা তার আগের সব গুনাহ্ মাফ করে দেন। এরপর শুরু হয় প্রতিদান; একটি সৎ কাজের বিনিময়ে দশ গুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত; আর একটি মন্দ কাজের বিনিময়ে ঠিক ততটুকু মন্দ প্রতিফল। অবশ্য আল্লাহ্ যদি মাফ করে দেন তবে ভিন্ন কথা (সহীহ বুখারী (ইফাঃ),অধ্যায়ঃ২/ঈমান,হাদিস নম্বরঃ ৪০)|
আপনার pro-pic এর কোন জবাব কেউই খুঁজে পাবে বলে মনে হয় না ।
প্রাণ কণ্ঠাগত হওয়ার আগ পর্যন্ত তওবা কবুল হয়, তাই খালেস তাওবা করে ফিরে আসলে পূর্ববর্তী সকল গুনাহই মাফ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন