হতভাগার জিজ্ঞাসা ৮
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২৪ মে, ২০১৬, ০১:৪০:৫৬ দুপুর
১. ০ নামাজে সূরা ফাতিহার পরে নামাজে যখন অন্য সূরা পড়া হয় তখন মিনিমাম কত আয়াত পড়তে হয় ?
০ শেষের যে ১০-১২ টা সূরা আমরা সাধারণত পড়ে থাকি নামাজে সেগুলো কি পুরোটাই পড়তে হবে ?
০ কোন সূরা পড়ার মাঝে যদি লাইন বাদ পড়ে যায় তাহলে সেটা কি ঠিক হবে ?
২. জুম্মার নামাজের আগে ও পরে যে ৪ রাকাত করে সুন্নত নামাজ পড়া হয় সেটার গুরুত্ব কতটুকু ? অনেককে দেখা যায় যে খুতবার সময়ও সেই সুন্নত নামাজ পড়তে , খুতবা শোনাটা ওয়াজিব ।
৩. নিসাব পরিমান অর্থ থাকার পর কারও যদি ২৫০০০ টাকা যাকাত হয় তাহলে সে সেটা কিভাবে দেবে ? কোন নির্দিষ্ট সময় ধরে নিয়ে ?
২০১৬ এর ১ লা জানুয়ারীতে যাকাতের নিসাব পরিমাণ অর্থ হয়ে গেল এবং সেটা থাকতে হবে ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত । জানুয়ারী ১ , ২০১৭ তে যাকাত দিতে শুরু করলো।
সেটা সে কি ২০১৭ সাল এর সারাটা বছর জুড়ে দেবে ? ২০১৮ তে আবারও তাকে যাকাতের টাকা দিতে শুরু করতে হবে ২০১৭ এ তার সম্পদের উপর । এরকমভাবে দিতে থাকলে ২০১৬ ও ২০১৭ এর সাথে কনফিউশন জড়িয়ে যেতে পারে ।
আমাদের দেশে সাধারণত রোজার মাসকে টার্গেট করে যাকাত দেওয়া হয় । এরকম করাটা কি সঠিক ?
বিষয়: বিবিধ
১৩১২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দাওয়াতী কাজে আল্লাহ মানুষ কৌশল অবলন্বন করতে বলেছেন । আপনার কৌশলটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কারণ ফেসবুকের মত ব্লগেও মুফতি থাকতে পারে; যারা সমস্যার সমাধান নয় বরং সমস্যার গভীরে নিয়ে যেতে পারে।
তবে অপেক্ষায় থাকলাম কোন আলেম যদি জবাব দেন তাহলে উপকৃত হব।
যদি আপনার কোন সমস্যা না হয় তাহলে ১২টা সুরার যেকোন একটি পুরো পড়তে হবে। তবে মনে রাখতে হবে সুরা ফাতেহা অবশ্যই পড়তে হবে, না হলে নামাজ হবে না।
২। আপনি যখনি মসজিদে প্রবেশ করবেন সাথে সাথে আপনাকে অবশ্যই ২রাকআত সুন্নাত নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে, হোক না তখন খুতবা চলাকালীন এটা রাসুল (সাঃ) এর আদেশ যা বুখারী ও মুসলিম শরীফে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।
কসরে থাকলেও কি দুখুলুল মাসজিদ এর নামাজ পড়তে হবে ?
+- মসজিদের সম্মানে পড়তে হয় "দুখুলুল মসজিদ", সকল মসজিদের জন্যই প্রযোজ্য, তবে যে কোন একটা নামাজ পড়লেই মসজিদের হক্ব আদায় হয়ে যায়!
"দুখুলুল মসজিদ" ফরজ নয়- যদিও পড়ার জন্য তাগিদ আছে!
কোন ফকীহ এটাকে ফরজ বলেছেন বলে আমার জানা নেই!
যদি কেউ শরয়ী মানদন্ডে ফরজ বলে থাকেন তবে মেহেরবানী করে এখানে লিখুন, আমারও জানা হবে!
১।০- সূরা কাউছার পরিমান
০- ৩ আয়াত হলেই চলবে
০- ত্রুটিপূর্ণ হলেও নামাজ হয়ে যাবে
২।-মতপার্থক্যের বিষয়, উভয়ের দলিল আছে
+- মসজিদের সম্মানে পরতে হয় "দুখুলুল মসজিদ", সকল মসজিদের দন্য প্রযোজ্য, তবে যে কোন একটা নামাজ পড়লোই হক্ব আদায় হয়ো যায়!
"দুখুলুল মসজিদ" ফরজ নয়- যদিও পড়ার জন্য তাগিদ আছে!
৩।-যাকাতের হিসাবটা প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে। হিসাবের সুবিধার্থে প্রথমবার রমজান পর্যন্ত ১+খন্ডবছরের হিসাব করে পরবর্তী প্রতি রমজানে করা যাবে।
হিসাব সম্পন্ন করার পর বিতরণের হিসাব রাখাও ফরজ এবং যথাযথ খাতে প্রাপকের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করাও ফরজ।
অগ্রীম খরচ করে পরে হিসাবের সাথে সমন্বয় করা যায়, তবে হিসাবের পরে বিতরণে বেশী বিলম্ব না করা কর্তব্য, কারণ মৃত্যুর আগমণ অনিশ্চিত।
রমজানে হিসাব করলে মুহাররাম আসার আগেই বিতরণ শেষ করা উত্তম।
আমার জ্ঞানমত বললাম!
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!
াআমাদের মুসলমান সমাজে ফরজ নিয়ে যতটা না রেষারেষি হয় সুন্নত নিয়ে হয় আরও বেশী ।
শেষের সূরাগুলির আয়াত যেহেতু ছোট ছোটম তাই সর্বনিম্ন ৩ আয়াত পড়াই যুক্তি সংগত।
যে আয়াত বাদ পড়েছে, দেখতে হবে তার আগে ছোট ছোট ৩ আয়াত পার হয়েছে কিনা? অথবা বড় এক আয়াত পরিমনা গত হয়েছে কিনা? যদি এমন হয়, নামায হয়ে যাবে।
নতুবা,
সুরায়ে ফাতেহার পর যেহেতু অন্য সূরা বা আয়াত পড়া ওয়াজিব, তাই ওয়াজিব সম্পন্ন না হওয়ায় সাজদাহ সাহু করতে হবে।
জুমআর আগে ও পরে চার রাকাত করে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়তে হয়। হানাফী ফকীহদের মতানুসারে খুৎবাহ শোনা ওয়াজিব। তাই খুৎবা শোনাই অগ্রগন্য হবে। অন্য মতে যেহেতু খুৎবাহ শোনা সুন্নাহ, আর দু'রাকাত নামাযও সুন্নাহ, তাই অন্য মতানুসারে খুৎবার সময়ও দু'রাকাত সুন্নাহ পড়া যাবে।
মত ভিন্নতার মূলে দুপক্ষেরই কিছু হাদীসের বর্ণনা রয়েছে, হাদিসে সুন্নাত নামাযের যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি খুৎবাহ শোনারও গুরুত্ব রয়েছে, ফকীহগণ হাদিসের ভিন্নতায় ভিন্ন ভিন্ন মত পেশ করেছেন, যে মতটি আপনার পছন্দ হয়, আমল চালিয়ে যান।
৩। যাকাতের প্রশ্নটি পুরোপুরি বুঝি নাই, তবে যতটুকু বুঝেছি, তা বলছিঃ নিসাব পরিমাণ সম্পদের উপর বছর অতিবাহিত হলে এক সাথে যাকাত দেওয়ার বিধান, নিসাবে বাহিরের সম্পদের উপরও চল্লিশ ভাগের এক ভাগ একই সাথে আদায় করতে হবে।
যেমন ধরুন প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা তদমূল্যবান সম্পদের উপর বছর অতিবাহিত হওয়ার পর যাকাত ফরজ হয়, কিন্তু আপনার আছে দশ ভরি স্বর্ণ বা তদমূল্য নগদ টাকা বা সম্পদ। মোট মূল্যের উপর চল্লিশের এক ভাগ আদায় করে দিতে হবে।
রামাদানে আদায়ে সুবিধা হল, বছরের হিসাব সহজে হয়, রামাদানে দান করতে ছাওয়াবও বেশি হয়, গরীবের আশা ও খুশির ব্যপারও আছে, তাই সবাই রামাদানকে বেছে নেয়, কিন্তু আপনার সুবিধা মত বছরের যে কোন সময় দিতে পারবেন।
শেষ উত্তরটি আপনার চাওয়া অনুযায়ী হয়েছে কিনা জানিনা। অস্পষ্টতা থাকলে জানাবেন। জাযাকাল্লাহ খাইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন