হতভাগার জিজ্ঞাসা ৭
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২০ মে, ২০১৬, ১২:৩৮:৪৮ দুপুর
১. নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহার পর আমরা যে সূরাগুলো পড়ি সেগুলোর কি সিরিয়াল মেইনটেইন করে পড়তে হবে ? মানে সূরা ইখলাস ১ম রাকাতে পড়লে সূরা ফালাক্ব বা নাস পড়া লাগবে , আগের সূরা গুলো যেমন , সূরা লাহাব বা নাছর বা এর আগের গুলো পড়া যাবে না - এরকম শুনে আসছি , এটা কি ঠিক ?
২. বিতরের নামাজ পড়া নিয়ে বেশ মতবাদ রয়েছে ।
এক পক্ষ বলে এটা মাগরিবের ৩ রাকাত ফরজ নামাজের মত পড়া যাবে না । ২য় রাকাতে বৈঠকে না বসে একেবারে ৩য় রাকাতে বসতে হবে । ৩য় রাকাতে দোয়া কুনুত পড়ার সময় দাড়ানো অবস্থায় হাত তুলেই পড়তে হবে এবং পড়ে রুকু , সিজদাতে যেতে হবে ।
আরেক পক্ষের মত হল - মাগরিবের ৩ রাকাত ফরজের মতই , শেষ রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সূরা মিলিয়ে পড়ে পরে তাক্বির করে হাত বেঁধে দোয়া কুনুত পড়তে হবে ।
কোন টা সঠিক ?
৩. বিতরের নামাজে সূরা ফাতেহার পর কি কোন সূরা ফিক্সড করা থাকে নাকি যে কোন সূরা পড়লেই হবে ? পর পর দুই রাকাতে একই সূরা পড়া কি ঠিক হবে ?
৪. বর্তমানে সব জায়গায়তেই সুদি কারবার জড়িয়ে আছে । কোন কোন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীতের বেতন ব্যাংকের মাধ্যমে দিয়ে থাকে । সেই টাকাতেই বছরান্তে কিছু সুদ আসে । সে সুদ ছেড়ে দিলে কি ঠিক হবে ?
বিষয়: বিবিধ
১৩১০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিতরের নামাজে ২য় মতটি হানাফি মাজহাবে আমাদের দেশে ফলো করা হয় এখানে আমি কোন সমস্যা দেখিনা। আপনার কেনই বা এত মতামত, প্যাচে যেতে হবে?
পরপর দুই রাকাতে একই সূরা পড়া উচিত নয়, ভিন্ন সূরা পড়া উচিত।
প্রতিষ্ঠানের কথা বাদ দিন, আপনার দেশ প্রতিবছর ওয়াল্ড ব্যাংক, এশিয়ান ব্যাংক ও বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০-৫০-৬০% হারে সুদে টাকা আনে প্রতিষ্ঠান তো অনেক ছোট ব্যাপার। কিয়ামত পূর্ববর্তী সময়ে হাজার চেষ্টা করলেও সুদের ছিটেফোটা লাগবে, এটা হাদিসের ভাষ্য। আর এই কিছু সুদের টাকা ছেড়ে না দিয়ে সেটা নেয়া উচিত এবং কোন সোয়াবের আশা ব্যতীত জনকল্যাণমূলক কোন কাজে সেই টাকা ব্যয় করে ফেলা উচিত, নিজ বা প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যয় করা যাবেনা।
সুদের টাকা কোন সওয়াবের আশা না করে ছেড়ে দেওয়া উচিত ভাল কোন ক্ষেত্রে । নিজের/নিজেদের জন্য ব্যয় না করে ।
@ঘুম ভাঙাতে চাই
জবাবগুলো যথার্থ বলেছেন, সহমত!!
জাযাকুমুল্লাহ
১। সূরা তারতীব ঠিক রেখে পড়াই উত্তম, ইচ্ছাকৃত পরের সূরা আগে পড়া ঠিক নয়, তবে কেউ ভুলে করলেও নামায হয়ে যাবে। (ইচ্ছে করে পড়াকে কোন কোন আলেম মাকরূহ বলেছেন)।
২। ভিতরের নামাজ এখন যেভাবে পড়ছেন, এটাও পরিপূর্ণ সুন্নাহ সমর্থিত। তাই বিভিন্ন পদ্ধতির যেটি আপনার সহজ মনে হয় পড়তে পারেন, তবে তিন রাকাতের বিষয়টি অধিকতর বর্ণনায় পাওয়া যায়।
মাগরীবের মতই পড়তে পাবেন, কোন সমস্যা নেই।
৩। হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে রাসূল সাঃ প্রথম রাকাতে সূরা আ,লা سبح اسم ربك الاعلى দ্বিতীয় রাকাতে সূরায়ে কাফিরূন ও তৃতীয় রাকাতে সূরায়ে ইখলাম قل هوالله احد পাঠ করতেন এটি সুন্নাহ। আপনি এভাবে পড়তে পারেন, আর সূরাগুলো জানা না থাকলে যেকোন সূরা দিয়ে পড়লেও হয়ে যাবে।
৪। সূদের ব্যপারে একই কথাই বলবো যা উপরে আলোচনা হয়েছে, সাওয়াবের নিয়্যত ছাড়াই জনকল্যান কাজে ব্যয় করা।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন