হতভাগার জিজ্ঞাসা ৫
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২৭ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:৫০:৫৯ বিকাল
১. সাহরীর খাবার খাওয়া কোন সময়ে স্টপ করতে হবে ?
অনেককে দেখা যায় যে ফজরের আযানের সময়ও খাওয়া চালিয়ে যায় ।
২. নামাজের সময় হাত বাঁধা কি ফরজ/সুন্নত/ওয়াজিব ? হজের সময় অনেক আরবকে দেখেছি হাত বাঁধে না । কারা সঠিক ?
৩. ফরজ নামাজের সময় কয়েক রাকাত মিস হলে সেগুলো পরে কিভাবে পড়তে হবে ?
৪. ফযর , মাগরিব ও 'এশার নামাজের ফরজের শুরু ২ রাকাত শব্দ করে কিরাত পড়া হয় । যোহর আর 'আছরের সময় সেটা করা হয় না । কারণ কি ?
৫. পুরুষদের সতর নাভির উপর থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত । এখন কেউ যদি এগুলো ঢেকে শুধু থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পড়ে নামাজ পড়ে সেটা কি ঠিক হবে ?
৬. ওজুর সময় যখন মুখ ধোয়া হবে তখন দাড়ি কিভাবে ধুতে হবে ? প্রতিটা লোম কূপে পানি যাওয়াটা কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে কিংবা কিভাবে এটা করা যাবে যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রতিটা লোমকূপেই পানি গিয়েছে ?
৭. আমরা যেভাবে ইস্তিন্জা করি - মানে পানি ব্যব হার করি বা পানি+টিস্যু ব্যব হার করি সেটা কি ঠিক আছে ? কারণ আল্লাহ শুকনো , পবিত্র মাটির কথা বলেছেন ।
৮. ওজু করার পর অনেক সময় এমন মনে হয় যে পায়ু পথ দিয়ে বাতাস বের হয়ে গেছে বা প্রস্রাবের মুখ দিয়ে কিছু একটা বের হয়েছে । কি করনীয় সে সময়ে ?
৯. আল্লাহ তায়ালা ক্বুরআনের বিভিন্ন জায়গায় কোন পাপের শাস্তি স্বরুপ দাসমুক্ত করার জন্য বলেছেন । বর্তমানে তো দাসপ্রথা নেই । তার পরিবর্তে কি করতে হবে ?
১০. ছেলের প্রতি মায়ের দাবী আর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দাবী কোনটা প্রাধান্য পাবে ? আবার
মেয়ের প্রতি মায়ের দাবী আর বউয়ের প্রতি স্বামীর দাবী কোনটা প্রাধান্য পাবে ?
বিষয়: বিবিধ
২০৪০ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
৭, এখানে পবিত্র হওয়া দরকার, তা যেকনো কিছু দিয়ে হোক। তবে গোবর হাড় ইত্যাদি ছাড়া।
৫, কোয়ার্টার পরে নামাজ হবে। কিন্তু এটা দেখতে খুবই কটু দেখায়। কেমন উলঙ্গ উলঙ্গ লাগে। এইসব পোশাক ঘরে পরা যেতে পারে।
৬, পানি মুখে ছিটকা মারবে হালকা করে, তারপর ভেজা হাতে দাড়িগুলো ঘসে নেবে। ভিজে যায়, এর জন্য কোন যন্ত্র আবিষ্কারের দরকার নাই। তা আপনি দাড়ি রাখলেন নাকি?
৩ ) ৪ নম্বর নিয়ে অনেক ক্যাচাল হয়, এগুলো নিয়ে কথা বলতে ভাল্লাগেনা।
১, সাহরীর খাবার ফজরের আজানের আগেই শেষ করতে হবে, যদি মুয়াজ্জিন ফজর শুরুর সাথে সাথেই আজান দেয়। আর যদি এমন হয়, ৪ ৫ মিনিট আগেই আযান দেয়, তখন আযান হওয়ার পরেও খেতে পারবে।
১০, এখানে একটাকে আরেকটার উপর প্রাধান্য দেওয়ার সুযোগ নাই। দুইটাকেই আলাদা আলাদাভাবে প্রাধান্য দিতে হবে। আমি মনে হয় আগেও বলেছি, যদি বাবা মা আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে আসে, যাতে শরীয়রের খেলাপ হয়, এবং সাক্ষ প্রমাণ উপস্থিত করতে পারে, তাহলেই কেবল বাবা মায়েওর কথায় স্ত্রীকে তালাক দেয়া যেতে পারে।
৯, আমি বলতে পারবোনা।
তাড়াহুড়র কারণে বিস্তারিত পারলাম না।
১০. স্ত্রী যদি এই কথা দিয়ে বাজিমাত করতে চায় যে ''বউ বড় না মা বড় '' - তখন এই মোক্ষম তথা অব্যর্থ অস্ত্রটাকে কিভাবে সামলাবো ?
৩ , ৪ ও ৯ নং টাকে ফোকাস করেই তো প্রশ্ন গুলো সাজিয়েছি । দেখি , স্ক্রল করে নিচে নামি । আর কেউ এটার কোন বুঝদার উঃ দিতে পারলো কি না ।
অনেককে দেখা যায় যে ফজরের আযানের সময়ও খাওয়া চালিয়ে যায় ।
উত্তর: বর্তমানে সুবহে সাদিক এর সময় বিজ্ঞানের কারনে আমরা মিনিট সেকেন্ড ধরে জানতে পারি তাই এর হেলপ আমরা নিতে পারি। সুবহে সাদীকের সময় হিসেব করে দেয়া সময়ের পরে খাওয়া বন্ধ।
ব্যাতিক্রম: যদি খাবর খেতে শুরু করে আর সুবহে সাদিকের সময় হয় তাহলে পাতে যা আছে তা খেয়ে নিবে। এতে সমস্যা নাই। ইচ্ছে করে খাওয়া এর আওতাভুক্ত নয়। নিয়তের উপর নির্ভর করে বিষয়টি। আর অন্তর চিড়ে দেখা আমাদের কাজ নয়।
২. নামাজের সময় হাত বাঁধা কি ফরজ/সুন্নত/ওয়াজিব ? হজের সময় অনেক আরবকে দেখেছি হাত বাঁধে না । কারা সঠিক ?
উত্তর: সুন্নাহ। হাত বাধাই সঠিক। তবে এটা বলার চান্স নাই যে, আহ সুন্নাহ তাহলে না বাধলেই কি?
কেননা রসুল (সা) থেকে স্পষ্ট হাদীস আছে তিনি সাহাবীর হাত বেধে দিয়েছিলেন ডান হাতকে বাম হাতে উপর দিয়ে। আর আল্লাহ বলেছেন, হেনবী বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালো বাসতে চাও তাহলে আমার অনুসরণ করো।
সুন্নাহ অনুসরণই নবীর অনুস্বরন।
৩. ফরজ নামাজের সময় কয়েক রাকাত মিস হলে সেগুলো পরে কিভাবে পড়তে হবে ?
উত্তর: রসুল (সা) বলেছেন, ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায় সালাতে সরিক হতে।
৩ . ঈমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর কিভাবে পড়তে হবে - সেটাই জানতে চেয়েছিলাম ?
৪. ফযর , মাগরিব ও 'এশার নামাজের ফরজের শুরু ২ রাকাত শব্দ করে কিরাত পড়া হয় । যোহর আর 'আছরের সময় সেটা করা হয় না । কারণ কি ?
উত্তর: আবু হুরায়রা (রা) কে এই প্রশ্ন করেছিলো তাবেই (রহ) তিনি বলেছিলেন, রসুল (সা) যেভাবে পড়েছে আমরাও তোমাদেরকে সেভাবে পড়াই। এটাই উত্তর।
৫. পুরুষদের সতর নাভির উপর থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত । এখন কেউ যদি এগুলো ঢেকে শুধু থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পড়ে নামাজ পড়ে সেটা কি ঠিক হবে ?
উত্তর: না নামাজ হবে না। কেননা রসুল (সা) এর অন্য হাদীসে আছে, কাধের উপর কাপড় থাকতে হবে একটুকরা হলেও।
৬. ওজুর সময় যখন মুখ ধোয়া হবে তখন দাড়ি কিভাবে ধুতে হবে ? প্রতিটা লোম কূপে পানি যাওয়াটা কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে কিংবা কিভাবে এটা করা যাবে যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রতিটা লোমকূপেই পানি গিয়েছে ?
উত্তর: রসুল (সা) বলেছেন, যে ওযুর সময় তিনবারে বেশি পনি ব্যাবহার করলো সে অপচয় করলো। তাই দাড়ি ধুতে হবে সর্বচ্চ তিনবার। প্রথমে পুরা মুখ ধুতে হবে একবার তার পর একবার দাড়ির উপরে পানি দিবেন আর একবার হাতের মুঠে পানি নিয়ে দাড়ির নিচে দিয়ে আংগুল দিয়ে খিলাল করবেন। ইনশা আল্লাহ এতেই হবে।
৭. আমরা যেভাবে ইস্তিন্জা করি - মানে পানি ব্যব হার করি বা পানি+টিস্যু ব্যব হার করি সেটা কি ঠিক আছে ? কারণ আল্লাহ শুকনো , পবিত্র মাটির কথা বলেছেন ।
উত্তর: পনি ব্যাবহারিই যথেষ্ট। রসুল (সা) এক কওমের উপর দুআ করেছিলেন কেননা তারা ইস্তেন্জার পরে পবিত্র হবার জন্য পনি ব্যাবহার করতেন। পনি না পেলে ঢিলা ব্যাবহার করতে হবে।
৮. ওজু করার পর অনেক সময় এমন মনে হয় যে পায়ু পথ দিয়ে বাতাস বের হয়ে গেছে বা প্রস্রাবের মুখ দিয়ে কিছু একটা বের হয়েছে । কি করনীয় সে সময়ে ?
উত্তর: এটা শয়তানের ওয়াস ওয়াসা। তাই শব্দ বা গন্ধ না পেলে ওযু আছে ধরতে হবে। আর প্রসাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হয়েছে সন্দেহ সেটিও শয়তানের ওয়াস ওয়াসা তাই ওযুর পরে একটু পানি নিয়ে ঠিটিয়ে দেয়াই যথেষ্ট হবে।
৯. আল্লাহ তায়ালা ক্বুরআনের বিভিন্ন জায়গায় কোন পাপের শাস্তি স্বরুপ দাসমুক্ত করার জন্য বলেছেন । বর্তমানে তো দাসপ্রথা নেই । তার পরিবর্তে কি করতে হবে ?
উত্তর: এর জন্য কোন আলেমে দ্বীনের সাথে যোগাযোগ করুন। তবে আমার জানা মতে বর্তমানে দাস নাই তাই অর্থ বা অনেক ক্ষেত্রে লোক খাওয়ানই যথেষ্ট।
১০. ছেলের প্রতি মায়ের দাবী আর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দাবী কোনটা প্রাধান্য পাবে ? আবার
উত্তর: যে সময় যেটা সে সময় সেটা। তবে মা প্রাধান্য পাবে নি:সন্দেহে। স্বামী-মা-স্ত্রী সবাই সঠিক ভাবে ইসলাম পালন করলে এরকম হবার চান্স নাই।
মেয়ের প্রতি মায়ের দাবী আর বউয়ের প্রতি স্বামীর দাবী কোনটা প্রাধান্য পাবে ?
উত্তর: বিয়ের পরে মেয়ে মায়ের এমন কথা শুনবে না যা তার স্বামীর ক্ষতি বা খারাপ এর জন্য। আর বিয়ের পরে তার অভীভাবক হচ্ছে তার স্বামী তাই তার কথাই প্রধান্য পাবে। তবে এর মানে এই নয় মেয়ে মাকে অপমান করবে। মায়ের সাথে সদব্যবহার করবে।
আল্লাহু আ'লম। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।
৪. রাসূল (সাঃ) কি এগুলোর কারণ বলে যান নি ?
৫. থ্রি মকোয়ার্টারের সাথে যদি গেন্জি গায়ে দেই সেটা তাহলে ঠিক হবে ?
এখন আপনি এক রাকাত পড়ে বসবেন ও তাশাহুদ পড়বেন আপনা ২ রাকাত হবে। এর পরে আপনি যথা রিতী ২ রকাত পূরণ করে সালাম ফেরাবেন।
৪ নং এর উত্তর সাহাবী (রা) এর চেয়ে ভালো উত্তর আমার কাছে আপনি কিভাবে আশা করেন! অথবা ব্লগারদের অথবা কোন আলেমের কাছে?
সাহাবী (রা) এর উত্তরের চেয়ে ভালো উত্তর আমার জানা নাই ভাই।
৫. কি গেঞ্জি পড়বেন, সেনডু গেঞ্জি? তাহলে চলবে না। যদি বলেন গোলগলার পাতলা হোসিয়ারী গেঞ্জি যেগুলো (সেনডু গেঞ্জির বড় ভাই) ওগুলা পড়লে চলবে।
মা-শা আল্লাহ, যথেষ্ঠ আলোচনা হয়েছে। জাযাকাল্লাহ খাইর
কিছু টিকা এড করছি:
সাহরীর সময় যথাযত উপযুক্ত ক্যালেন্ডার মেনে চলার চেষ্টা করবে। অনেক মুয়াজ্জিন ভুলে বা অজ্ঞতার কারণে আগেই আযান দিয়ে দেয়, তাই নির্ভরযোগ্য শরীয়া প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো ক্যালেন্ডারের বিকল্প নেই।
নামাযে হাত বাঁধা সুন্নাত, তবে এ জাতিয় হাদিস বুখারী মুসলিমে নেই, পৃথিবী কিছু মানুষ বুখারী মুসলিম ছাড়া অন্যান্য হাদীসের কিতাবকে তেমন গুরুত্ব দেন না, তাই তারা বুখারী মুসলিমে নেই অযুহাতে হাত বাঁধেন না।
তবে এটি নবীজির সুন্নাত বহু হাদিস ও আছারে ছাহাবা দ্বারা প্রমাণিত, তাই হাত বাঁধতে হবে।
ছেড়ে দিলে নামায হবে না এমন নয়, নামায হবে, তবে মাকরূহের সহিত, ছাওয়াবের কমতি নিয়ে।
ক্বিরাতের ব্যপারে মুফাসসিরীনে কেরাম কিছু কারণ উল্লেখ করছেন, ইসলামের প্রথম যুগে নামাযের সময় কাফিররা নামাযের স্থানের আশপাশে জড়ো হয়ে বিভিন্ন ধরণের আওয়াজ করতো, যাতে নামাযে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়। তাই তারা যেন কেরাতের আওয়ার শুনে ডিষ্টার্ব করতে না আসে, এ জন্য দিনের নামাযগুলোতে আস্তে কেরাত পড়তে হয়, রাতের নামাযগুলো যেহেতু কাফেররা খাওয়া দাওয়া আড্ডা ও ঘুমে ব্যস্ত থাকে, তখন জোরে কেরাত পড়তেন।
নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত ঢাকা থাকলে নামায হয়ে যাবে, তবে মাকরূহের সহিত। অর্থাৎ পরিপূর্ণ ছাওয়াবের ভাগী হবে না। কারণ নামাযের সময় পোষাকের যীনাত অর্থাৎ শালিন পোষাকের ব্যবহার সুন্নাত।
ইস্তিঞ্জার পর পানি ব্যবহার যথেষ্ট, তবে কুলুপ বা ঢিলা ব্যবহার সুন্নাত, আল্লাহ মসজিদে কুবা'বাসীর প্রসংশা করেছেন যে তারা অধিকতর পবিত্রা অর্জন করেন, মুফাসসিরীনে কেরাম লিখেছেন, তারা কুলুপ বা ঢিলা ও পানি ব্যবহার করতেন।
যে সকল জাগায় দাস মুক্তির আলেচনা আছে, সে সকল জাগায় "অথবা রোজা অথবা মিসকিন খাওয়ানোর" কথাও আছে। যেটি আপনার সাধ্যের মাঝে, সেটি করতে পারেন।
পায়ু পথ ও অগ্র পথ দিয়ে কিছু বের হওয়াটা ইয়াকিনি (দৃড় বিশ্বাসের সহীত) হতে হবে। শুধু সন্দেহের বশে ওজু যাবে না।
(আল্লাহই ভালো জানেন।)
প্রশ্ন: বুখারী মুসলিমে হাত বাধার হাদীস নাই?
পৃথিবী কিছু মানুষ বুখারী মুসলিম ছাড়া অন্যান্য হাদীসের কিতাবকে তেমন গুরুত্ব দেন না, তাই তারা বুখারী মুসলিমে নেই অযুহাতে হাত বাঁধেন না।
প্রশ্ন: এরা কারা?
মুফাসসিরীনে কেরাম লিখেছেন, তারা কুলুপ বা ঢিলা ও পানি ব্যবহার করতেন।
প্রশ্ন: ঢিলা ও পানি ব্যবহার করতেন। এই হাদীসটি বা আছারটি কি একটু দেয়া যাবে?
জ্ঞানীদের সমাধান দেখে আমি উত্তর না দিয়ে দোয়া করে বিদায় নিয়েছিলাম, কিন্তু এই হাজী সাহেব আমাকে খোঁচা দিলো বিধায় দুয়েকটি কথা লিখেছি, আসলে ভাই আমি কোন বড় আলেম নই যে আপনাকে রেফারেন্স দিব।
কুরআন হাদিসের জ্ঞান তেমন নেই তো! তাই জুযইয়াতের ক্ষেত্রে মাযহাবের সমাধান মানি আরকি!
জী বুখারী মুসলিমে হাত বাঁধার হাদীস নেই, আপনার জানা থাকলে আমাকে জানিয়ে উপকার করবেন।
রাসূল স. এর হাত বাঁধা সম্পর্কে অগনিত হাদীস আসে আবুদাউদ তিরমিজি নাসায়ী ইবনে মাজাহ ত্বহাবী ইবনে খুজাইমাহ মুসান্নাফ সহ অসংখ্য হাদিস গ্রন্থে। জ্ঞানের অভাবে রেফারেন্স মুখস্থ নেই।
হাত বাঁধেনা এরা কারা জানি না, তবে আরব দেশে অনেকে এমন আছেন। বিশেষ করে ইথিওবিয়া (হাবশা) ও সুদানের অনেকে।
জ্ঞানের অভাব ভাই, তাই রেফারেন্স মুখস্থ নেই, মাফ করবেন।
أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ : عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ السُّكَّرِىُّ بِبَغْدَادَ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التَّرْقُفِىُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبِى عَنْ غَيْلاَنَ عَنْ أَبِى إِسْحَاقَ عَنْ مَوْلَى عُمَرَ يَسَارِ بْنِ نُمَيْرٍ قَالَ : كَانَ عُمَرُ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ إِذَا بَالَ قَالَ: نَاوِلْنِى شَيْئًا أَسْتَنْجِى بِهِ قَالَ فَأُنَاوِلُهُ الْعُودَ وَالْحَجَرَ أَوْ يَأْتِى حَائِطًا يَتَمَسَّحُ بِهِ أَوْ يُمِسُّهُ الأَرْضَ وَلَمْ يَكُنْ يَغْسِلُهُ. وَهَذَا أَصَحُّ مَا رُوِىَ فِى هَذَا الْبَابِ وَأَعْلاَهُ. (رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِى الْسُنَنِ الْكُبْرى فِىْ بَابِ مَا وَرَدَ فِي الِاسْتِنْجَاءِ بِالتُّرَاب)
হাদীস নম্বর-৪০ : ইয়াসার বিন নুমাইর রহ. বলেন: হযরতউমার রা. পেশাব করতে গিয়ে বলতেন: আমাকে এমন কিছুদাও যা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে পারি। ইয়াসার বলেন: অতঃপরআমি তাঁকে এক টুকরো কাঠ বা পাথর দিতাম অথবা তিনিদেয়ালের নিকটে এসে তাতে মুছে ফেলতেন কিংবা মাটিতেস্পর্শ করাতেন; আর ধুতেন না। (সুনানুল কুবরা লিলবাইহাকী:৫৪০)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। ইমাম বাইহাকী রহ. বলেন: হাদীসটিএ অধ্যায়ের সবচেয়ে সহীহ ও শ্রেষ্ঠ। এ হাদীসের রাবীগণেরমধ্যে ইয়াসার বিন নুমাইর ثقةٌ “নির্ভরযোগ্য”। (তাকরীব:রাবী নম্বর- ৮৮০০) আব্বাস বিন আব্দুল্লাহ ثقةٌ “নির্ভরযোগ্য”।(তাকরীব: রাবী নম্বর- ৩৫১৫) ইসমাঈল বিন মুহাম্মাদ ثقةٌ“নির্ভরযোগ্য”। (তারীখে বাগদাদ রাবী নম্বর- ৩৩৪৪)আব্দুল্লাহ বিন ইয়াহইয়া صدوق “সত্যনিষ্ঠ”। (তারীখে বাগদাদরাবী নম্বর- ৫৩৪৭) আর অবশিষ্ট রাবীগণ সবাই বুখারী/মুসলিমের রাবী।
সারসংক্ষেপ : হযরত উমার রা.-এর আমল দ্বারা প্রমাণিতহলো যে, পেশাবের পরে কুলুখ ব্যবহার জরুরী এবং কুলুখঠিকমতো ব্যবহার করার পরে পানি ব্যবহার আবশ্যক নয়।তবে অন্যান্য বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, পরিচ্ছন্নতার জন্যপানি ব্যবহার করা উত্তম। পেশাবের পরে কুলুখ ব্যবহারেরসময় হাঁটা-চলা বা ওঠা-বসা করা বা কাশি দেয়া ভালো।হাঁটা-চলা করার কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই যে, এত কদমহাঁটতে হবে। তবে এতটুকু সময় হাঁটা-চলা করা উচিত যাতেনতুন করে পেশাবের ফোঁটা বের হওয়ার সম্ভাবনা আর নাথাকে। কুলুখ ব্যবহারের সময় লোকচক্ষুর আড়ালে থাকারচেষ্টা করা বাঞ্ছনীয়। জনসম্মুখে নির্লজ্জের মতো চলাফেরা নাকরা এবং সতরের প্রতি খুব খেয়াল রাখা যেন কুলুখব্যবহারের সময় মানুষের সামনে তা প্রকাশ না পায়।
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِحَائِطٍ مِنْ حِيطَانِ الْمَدِينَةِ أَوْ مَكَّةَ، فَسَمِعَ صَوْتَ إِنْسَانَيْنِ يُعَذَّبَانِ فِي قُبُورِهِمَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ ، ثُمَّ قَالَ " بَلَى، كَانَ أَحَدُهُمَا لاَ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ، وَكَانَ الآخَرُ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ". ثُمَّ دَعَا بِجَرِيدَةٍ فَكَسَرَهَا كِسْرَتَيْنِ، فَوَضَعَ عَلَى كُلِّ قَبْرٍ مِنْهُمَا كِسْرَةً. فَقِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ فَعَلْتَ هَذَا قَالَ " لَعَلَّهُ أَنْ يُخَفَّفَ عَنْهُمَا مَا لَمْ تَيْبَسَا أَوْ إِلَى أَنْ يَيْبَسَا ".(رَوَاهُ الْبُخَارِىُّ فِىْ بَابٌ: مِنَ الكَبَائِرِ أَنْ لاَ يَسْتَتِرَ مِنْ بَوْلِهِ)
হাদীস নম্বর-৪১ : হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন: রসূলুল্লাহস. একবার মদীনা বা মক্কার কোন এক বাগানের কাছ দিয়েযাওয়ার সময় দু’জন ব্যক্তির আর্তনাদ শুনতে পেলেনযাদেরকে কবরে শাস্তি দেয়া হচ্ছিলো। তখন রসূলুল্লাহ স.ইরশাদ করলেন: এদেরকে আজাব দেয়া হচ্ছে। তবে তা বড়কোন কারণে নয়। অতঃপর ইরশাদ করলেন: তাদের একজনপেশাব থেকে সতর্কতা অবলম্বন করত না। আর অপরজনচোগলখুরী করত (একের কথা অপরের নিকট অসদুদ্দেশ্যেবলত)। তারপর তিনি খেজুরের একটি ডাল আনিয়ে তা ভেঙ্গেদু’খন্ড করে প্রত্যেক কবরের ওপর এক এক খন্ড রাখলেন।তখন রসূলুল্লাহ স.কে জিজ্ঞেস করা হলো: ইয়া রসূলাল্লাহ!আপনি এমনটি কেন করলেন? জবাবে তিনি ইরশাদ করলেন:এতে ডালটি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত হয়তো তাদের আজাবকিছুটা লাঘব হবে। (বুখারী: ২১৬)
হাদীসটির স্তর : সহীহ। শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটিমুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ইবনে মাজাহ ও তিরমিজীশরীফেও বর্ণিত হয়েছে। (জামিউল উসূল: ৮৬৯৩)
সারসংক্ষেপ : পেশাবের পরে কুলুখ ব্যবহারের নির্দেশ মারফু’হাদীসে সরাসরি না পাওয়া গেলেও কবর আজাব থেকে বাঁচারজন্য পেশাব থেকে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বাড়তি সতর্কতাঅবলম্বন করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। আমীরুল মুমিনীনহযরত উমার রা. নিজ আমলের মাধ্যমে আমাদেরকে পেশাবথেকে সতর্কতা অবলম্বনের পদ্ধতি দেখিয়েছেন।
পাকিস্তানের চেয়ে উনারা বাংলাদেশকে সেফার মনে করেছেন বলে হয়ত এদেশে কাহিনী করেই গেছেন ।
বিভিন্ন সময়ে যখন বাংলাদেশে আটকে থাকা পাকিস্তানীদের পাকিস্তানে পাঠানোর হুজুগ উঠতো তখনই ওদেরকে ট্যাগ করে দেওয়া উচিত ছিল ।
এর এখন তো হাসুবু টপফর্মে আছেন । আপনারা যারা এখনও জামায়াত করেন চলে যান গুলশানের পাকিস্তান হাই কমিশনে । ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটির ছায়াতলে পাকিস্তান চলে যাবার সুযোগ কিন্তু এখনও যায় নি ।
২) রাসূল(স) কে সাহাবীগন কয়েক রকমে হাত বাঁধতে দেখছেন, তাই কোনটা ভুল বলা যাবেনা, তবে বুকের উপর হাত বাধার ব্যাপারে অনেক সাহাবী মত দিয়েছেন।
বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর হুজুরেরা দিয়েছেন।
আবিইত্তা গাজী সালাউদ্দিন ও সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।
তয় ইদানীং হতভাগাটাকে ব্লগে মিছ করতেছি। ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন