হতভাগার জিজ্ঞাসা ৩
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ০৯ মার্চ, ২০১৬, ০২:২৩:৩৯ দুপুর
১. নামাজের মধ্যে দোয়া কোন সময়ে করতে হয় ? জাকির নায়েকের এক লেকচারে মনে হয় শুনেছিলাম যে সেটা করতে হয় সিজদার সময় । কারণ সে সময়ে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী হয় ।
এটা কি সঠিক ?
২. ৩/৪ রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাজে ৩ ও বা ৪র্থ রাকাতে কি সুরা ফাতেহা পড়তে হয় ? কারণ এসময়ে মনে হয় ঈমাম সাহেব আগের ২ রাকাতের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশ তাড়াতাড়ি রুকুতে চলে যান ।
৩. সিজদার তুলনায় রুকুতে ঈমাম সাহেব বেশ সময় নেন । রুকু/সিজদার তাসবিহ কি ৩ বারের বেশী পড়া সঠিক ?
৪. অনেক সময়ে দেখা যায় যে সফরে বাসে বা ট্রেনে থাকার সময় আযান হয়ে যায় এবং তা কাযা হবার ভয় থাকে । সে সময়ে কি সিটে বসে নামাজ পড়া ঠিক হবে ?
৫. আমরা অনেক সময়ে বলে থাকি - ''চেষ্টা করে যাব , বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা ।'' অথবা '' যার কেউ নাই তার আল্লাহ আছে '' ।
এভাবে বলা কি সঠিক?
৬. গীবত করা নিষেধ । কিন্তু কেউ যদি মজলুম হয়ে অভিযোগ করে সেটাও কি গীবতের মধ্যে যাবে ?
৭. স্ত্রীকে কি স্বামীর তাকে যেখানে রাখার ব্যবস্থা করে সেখানে থাকবে , নাকি স্ত্রী যদি তার বাবার বাড়িতে থাকতে চায় সেটাকেই স্বামী অগ্রাধিকার দেবে এবং স্ত্রী সাথে সেও থাকতে ?
৮. স্বামীর মতের বাইরে যদি স্ত্রী তার বাবার বাড়ি থাকে মাসের পর মাস তাহলেও কি স্বামী তার ভরণপোষন দিয়ে যাবে ?
৯. চাকরি/পড়াশুনার ওজর দিয়ে কি একজন স্ত্রী তার স্বামীর সংসারের হেফাজত করা থেকে ভারমুক্ত হতে পারবে ?
১০. স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে সেক্স করতে চায় তাহলে কি সে সাড়া দিতে বাধ্য(যদি অসুস্থ না থাকে)?
বিষয়: বিবিধ
২০৯০ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
[url href="আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই নামাজে সিজদার জন্য শুধু একটি দোয়াই শিখেছি। অথচ আমাদের রাসুল (সাঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া সিজদার সময় পড়েছেন এবং শিখিয়েছেন। আসুন এই সহজ দোয়াগুলো আমরা শিখে নিই এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দোয়াগুলো যেকোনো একটি করে বিভিন্ন সময়ে পড়ি, যাতে নামাজের অতি অভ্যস্ততার কারণে অমনোযোগিতা আমরা দূর করতে পারি। সেই সাথে কিছু সুন্নাহ জাগ্রত করতে পারি। ১) سُبْحَانَ رَبّ......ِيَ الأَعْلَى “সুবহানা রব্বিয়াল ‘আলা” অর্থঃ আমার মহান সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (তিনবার) [সহীহ আত তিরমিযী ১/৮৩] ২)سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকাল্লাহুম মাগফিরলী” অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার রব্ব! তোমার পূত পবিত্রতা ঘোষণা করি (তোমার প্রসংশা সহ) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও। [বুখারী ও মুসলিম] ৩) سُبُّوحٌ، قُدُّسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ “সুব্বুহুন ক্কুদ্দুসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ” অর্থঃ ফেরেশতাবৃন্দ এবং রুহুল কুদ্দুস (জিব্রাঈল আঃ) এর রব প্রতিপালক স্বীয় সত্তায় এবং গুনাবলীতে পবিত্র। [মুসলিম ১/৫৩৩] ৪) اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ “আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা ‘আ-মানতু ওয়ালাকা ‘আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খলাক্কাহু ওয়াসাও ওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু তাবারকাল্লাহু আহসানুল খ-লিক্কীন” অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য সিজদা করেছি, তোমারই প্রতি ঈমান এনেছি, তোমার জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছি, আমার মুখমণ্ডল (আমার সমগ্র দেহ) সিজদায় অবনমিত সেই মহান সত্তার জন্য যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন এবং উহার কর্ণ ও চক্ষু উদ্ভিন্ন করেছেন, মহিমান্বিত আল্লাহ সর্বোত্তম স্রষ্টা। [মুসলিম ১/৫৩৪] ৫) "سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرْوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ". “সুবহানা যিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি ” অর্থঃ পাক পবিত্র সেই মহান আল্লাহ বিপুল শক্তির অধিকারী, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গরিমা এবং অতুল্য মহত্বের অধিকারী। [আবু দাউদ ১/২৩০] ৬) اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ، دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ “আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবীকুল্লাহু, দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউওয়ালাহু ওয়াআ-খিরাহু ওয়া ‘আলানিয়াতা ওয়া সিররাহু” অর্থঃ হে আল্লাহ, আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও, ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য এবং গোপন গুনাহ। [মুসলিম ১/৩৫০] ৭) اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ منْ عُقُوبَتِكَ، وَاَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لَا أُحصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ “আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা, ওয়া বিমু’আ-ফাতিকা মিন ‘উক্কুবাতিকা ওয়া ‘আউযু বিকামিনকা, লা-উহসী সানা-আন ‘আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা” অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই তোমার অসন্তুষ্টি হতে তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে, তোমার শাস্তি হতে তোমার ক্ষমার মাধ্যমে, আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই তোমার গজব হতে। তোমার প্রশংসা গুণে শেষ করা যায় না; তুমি সেই প্রশংসার যোগ্য নিজের প্রশংসা যেরূপ তুমি নিজে করেছ। [মুসলিম ১/৩৫২] Copy the BEST Traders and Make Money : http://bit.ly/fxzulu" target="_blank"]আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই নামাজে সিজদার জন্য শুধু একটি দোয়াই শিখেছি। অথচ আমাদের রাসুল (সাঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া সিজদার সময় পড়েছেন এবং শিখিয়েছেন। আসুন এই সহজ দোয়াগুলো আমরা শিখে নিই এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দোয়াগুলো যেকোনো একটি করে বিভিন্ন সময়ে পড়ি, যাতে নামাজের অতি অভ্যস্ততার কারণে অমনোযোগিতা আমরা দূর করতে পারি। সেই সাথে কিছু সুন্নাহ জাগ্রত করতে পারি। ১) سُبْحَانَ رَبّ......ِيَ الأَعْلَى “সুবহানা রব্বিয়াল ‘আলা” অর্থঃ আমার মহান সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (তিনবার) [সহীহ আত তিরমিযী ১/৮৩] ২)سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকাল্লাহুম মাগফিরলী” অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার রব্ব! তোমার পূত পবিত্রতা ঘোষণা করি (তোমার প্রসংশা সহ) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও। [বুখারী ও মুসলিম] ৩) سُبُّوحٌ، قُدُّسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ “সুব্বুহুন ক্কুদ্দুসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ” অর্থঃ ফেরেশতাবৃন্দ এবং রুহুল কুদ্দুস (জিব্রাঈল আঃ) এর রব প্রতিপালক স্বীয় সত্তায় এবং গুনাবলীতে পবিত্র। [মুসলিম ১/৫৩৩] ৪) اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ “আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা ‘আ-মানতু ওয়ালাকা ‘আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খলাক্কাহু ওয়াসাও ওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু তাবারকাল্লাহু আহসানুল খ-লিক্কীন” অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য সিজদা করেছি, তোমারই প্রতি ঈমান এনেছি, তোমার জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছি, আমার মুখমণ্ডল (আমার সমগ্র দেহ) সিজদায় অবনমিত সেই মহান সত্তার জন্য যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন এবং উহার কর্ণ ও চক্ষু উদ্ভিন্ন করেছেন, মহিমান্বিত আল্লাহ সর্বোত্তম স্রষ্টা। [মুসলিম ১/৫৩৪] ৫) "سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرْوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ". “সুবহানা যিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি ” অর্থঃ পাক পবিত্র সেই মহান আল্লাহ বিপুল শক্তির অধিকারী, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গরিমা এবং অতুল্য মহত্বের অধিকারী। [আবু দাউদ ১/২৩০] ৬) اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ، دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ “আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবীকুল্লাহু, দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউওয়ালাহু ওয়াআ-খিরাহু ওয়া ‘আলানিয়াতা ওয়া সিররাহু” অর্থঃ হে আল্লাহ, আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও, ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য এবং গোপন গুনাহ। [মুসলিম ১/৩৫০] ৭) اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ منْ عُقُوبَتِكَ، وَاَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لَا أُحصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ “আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা, ওয়া বিমু’আ-ফাতিকা মিন ‘উক্কুবাতিকা ওয়া ‘আউযু বিকামিনকা, লা-উহসী সানা-আন ‘আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা” অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই তোমার অসন্তুষ্টি হতে তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে, তোমার শাস্তি হতে তোমার ক্ষমার মাধ্যমে, আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই তোমার গজব হতে। তোমার প্রশংসা গুণে শেষ করা যায় না; তুমি সেই প্রশংসার যোগ্য নিজের প্রশংসা যেরূপ তুমি নিজে করেছ। [মুসলিম ১/৩৫২] [/url]
বোখারী ও মুসলিমের আর এক হাদীসে আছে, যখন কোন স্ত্রী স্বামীর বিছানায় শয়ন না করে অন্যত্র রাত যাপন করে, তখন স্বামী সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।
হতভাগা ভাইয়াকে ধন্যবাদ প্রশ্ন রাখার জন্য ।
ব্লগে বেশ কয়েকজন দাইয়ি আপু আছেন , উনারাও উনাদের মতামত জানাতে পারেন।
আবুদাউদ-৮৫০
এভাবে সেজদার মধ্যেও দোয়ার উল্লেখ আছে, যা ওহিদভাই বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
তাছাড়া সূরায়ে ফাতেহা ও একটি দোয়া। তিরমিজি-৩৩৮৩।
শেষ বৈঠকেও দোয়ার কথা হাদিসে এসেছে। اللهم اني ظلمت نفسي ظلما كثيرا..... বুখারী-৫৯৬৭
আপনি যা শুনেছেন তাও ঠিক, বাকি গুলোও ঠিক।
২. ৩/৪ রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাজে ৩ ও বা ৪র্থ রাকাতে কি সুরা ফাতেহা পড়া জরুরী নয়, তিন তাসবীহ পরিমান অপেক্ষা করাই যথেষ্ট। তবে সূরায়ে ফাতেহা পড়তে চাই পড়তে পারেন।
৩. সিজদা ও রুকুতে তাসবিহ ৩ বার ৫বার ৭বার বা যে কোন বিজোড় বার বলতে পারবেন। তবে আপনি ইমাম হলে মুসল্লিদের অবস্থা বিবেচনায় নেবেন। যেন বেশি করে পড়তে গিয়ে বৃদ্ধদের কষ্ট না হয় ও স্টেশনের লোকদের গাড়ি মিস না হয়ে যায়।
৪. জ্বি, সফরে বাসে বা ট্রেনে থাকার সময় আযান হয়ে যায় এবং তা কাযা হবার ভয় থাকে । সে সময়ে সিটে বসে নামাজ পড়া যাবে, ওজুর ব্যবস্থা না থাকলে তায়াম্মুম করে হলেও, তবুও নামায মিস করা যাবে না। কিবলা মুখি হওয়ার চেষ্টা করবে, সম্ভব না হলে যে কোন দিকে ফিরে হলেও নামায পড়তেই হবে।
৫. বলতে হবে ইন শা আল্লাহ চেষ্টা করবো। আল্লাহ তায়ালা সবার জন্য আছেন। তবে মাজলুমের দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল হয়। তাই হয়তো এমন বলে আর কি!
৬. গীবত করা নিষেধ । কিন্তু কেউ যদি মজলুম হয়ে অভিযোগ করে সেটা কি গীবতের মধ্যে যাবে না, কুরআনের ৬ষ্ঠ পারার প্রথম আয়াতে এ ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা আছে।
৭. স্ত্রীকে কি স্বামীর সাধ্য অনুযায়ী রাখার ও খাবার ব্যবস্থা করবে, স্ত্রী যদি তার বাবার বাড়িতে থাকতে চায় সেটা আলোচনা সাপেক্ষে হতে পারে, তবে স্বামীর মাতা পিতা ও ছোট ভাইবোনের হক্ব আদায় করতে যেন কোন ত্রুটি না হয়।
৮. জ্বি দিতে হবে, তবে অতিরঞ্জিত বাড়াাবাড়ি কিছু হয়ে গেলে সালিসের মাধ্যমে তা শূরাহা করতে হবে।
৯. চাকরি/পড়াশুনার ওজর দিয়ে একজন স্ত্রী তার স্বামীর সংসারের হেফাজত করা থেকে ভারমুক্ত হতে পারবে কিনা এটা উনাদের আলোচনা সাপেক্ষে সম্মতিতে হতে পারে। শরীয়ত কারো উপর জুলুম করার পক্ষে নয়।
১০. স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে সেক্স করতে চা.... এ প্রশ্নের উত্তর ওহিদভাই দিয়েছেন।
ধন্যবাদ
শশুড়বাড়িতে গিয়ে থাকা নুন্যতম আত্মসন্মানবোধ সম্পন্ন স্বামী চাইবে না । আপনিও চাইবেন না এবং আপনার বোনও চাইবে না যে তার ভাই ঘর জামাই হয়ে যাক।
এখানে বউকে যদি মানানো নাই যায় তাহলে আলোচনা সাপেক্ষে স্বামী কি বলতে পারবে যে ,যেহেতু আমার কাছে সে থাকছে না সেহেতু তার কোন ভরণ পোষন আমার জন্য আবশ্যিক নয় । মেয়েকে রেখে দিয়েছে বিয়ে করানোর পরেও আবার ভরনপোষণও নেবে স্বামীর কাছ থেকে - এটা কি ঠিক ?
রাষ্ট্রপ্রধান যদি শত মানা সত্ত্বেও এস.এস.এফের বলয়ে না থেকে নিজে মুক্ত হয়ে চলেন এবং এতে যদি উনার উপর আক্রমন আসে তাহলে সেটার দায়ভার কি এস.এস.এফের উপর বর্তাবে?
পবিত্র ক্বুরআনের সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে বলা আছে যে , স্ত্রীরা স্বামীর অবর্তমানে তার সংসারের হেফাজত করবে আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে ।
এখন স্বামী ও স্ত্রীর চাকরির সময় যদি একই হয় তাহলে স্বামীর অবর্তমানে সংসার হেফাজত কি করে সম্ভব?
আলোচনা সাপেক্ষে যা কিছুই হয় সবই স্ত্রীদের ফেভারে যায় এবং দেখা যায় যে সেটা আল্লাহর হুকুমেরই পরিপন্হী ।
আল্লাহর হুকুম তালিম আগে নাকি আলোচনা আগে?
তালাকের ক্ষেত্রে আলোচনার কথা বলা আছে দুইপক্ষের মুরুব্বীদের নিয়ে ।
২ এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। যেমন আহলে হাদিসের অনুসারী বলে অবশ্যই পড়তে হবে। অন্যেরা বলে পড়া লাগবেনা। আপনি যেকোন একটা কর বেন।
৪ আলহামদুলিল্লাহ জান্নাতের বাবা যা বলেছেন তা আমি সবসময় করি।
৫ যার কেউ নেই তার আল্লাহ্ আছে এটা আমিও বলি আললাহর উপর মানুষের ভরসা বাড়ানোর জন্য
৯ এটা নিয়ে আমার মতামত খুবই সোজাসাপটা। চাকুরী করেও যদি স্বামী সবকিছু হেফাজত কর তে পারে তবে করবে। অসুবিধা নেই
১০ এঈটা হতচ্ছাড়ার মূদ্রা দোষ! শারীরিক মেলামেশা দোইহিক সম্পর্ক সহবাস ইত্যাদি শব্দ গুলো কি অভিধানে কখনো চোখে পড়েনা?
১০. বিয়ের মাধ্যমে একজন স্বামী তার স্ত্রী কাছে সেক্স ছাড়া আর কিছুই পায় না , তাও সেটা অনেক কাহিনী করে পেতে হয় । নিরবিচ্ছিন্নভাবে হয় না।
এটা কি সঠিক ?
উ: জি সঠিক। সেজদায় বান্দা আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়। সেসময়ই চাইতে হয়। সালঅম ফিরালেই নামাজ শেষ হয়। রসূল(সাঃ)কোনো ফরজ নামাজে সকলকে নিয়ে একসাথে মোনাজাত করেননি। তবে অন্যান্য অনেক সময়ে হাত তুলে দোয়া করেছেন। বৃষ্টির জন্যে সালাত পড়ে সকলে হাত তুলে দোয়া করেছেন। ফরজ সালাতের পর সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মোনাজাতটা বিদাত।সেজদায় চাইতে হবে।
২. ৩/৪ রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাজে ৩ ও বা ৪র্থ রাকাতে কি সুরা ফাতেহা পড়তে হয় ? কারণ এসময়ে মনে হয় ঈমাম সাহেব আগের ২ রাকাতের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশ তাড়াতাড়ি রুকুতে চলে যান ।
উ: ৩ ও ৪র্থ রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়তে হয়।
৩. সিজদার তুলনায় রুকুতে ঈমাম সাহেব বেশ সময় নেন । রুকু/সিজদার তাসবিহ কি ৩ বারের বেশী পড়া সঠিক ?
উ: মূলত আমরা রুকু ও সেজদায় যা পড়ি শুধুমাত্র সেটাই একমাত্র দোয়া নয়। বহু দোয়া রয়েছে যা পড়া যায়। আর রসূল(সাঃ)একাকী বা স্ত্রীদের নিয়ে যখন ঘরে নামাজ পড়তেন তখন সালাত অনেক দীর্ঘ করতেন। এমনকি উম্মুল মোনেনিন হাফসা একবার ফান করে বলেছিলেন-আপনি রুকুতে এত দীর্ঘ সময় থাকেন যে আমার মনে হয় নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে গেল....তবে তিনি(সাঃ) জামাতে এত দীর্ঘ করতেন না। আর বলেন-যখন জামাতে নামাজ পড়াবে,ছোট সূরা দিয়ে পড়াবে
৪. অনেক সময়ে দেখা যায় যে সফরে বাসে বা ট্রেনে থাকার সময় আযান হয়ে যায় এবং তা কাযা হবার ভয় থাকে । সে সময়ে কি সিটে বসে নামাজ পড়া ঠিক হবে ?
উ: নামাজ এমন এক ইবাদত যার কোনো মাফ নেই। জ্ঞান থাকা অবস্থায় নামাজ ফরজ। যে ঘুমিয়ে অাছে বা অজ্ঞান হয়েছে,তার উপর ফরজ নয়। কিন্তু বাকি সবার উপরই ফরজ। যুদ্ধরত অবস্থায়ও ফরজ। তবে ভয়ের সময় নামাজ ১ রাকাত। সফরে ৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজের ২ রাকাত পড়তে হয়। ওজুর পানি না থাকলে তায়াম্মুম। মাটি না পেলে বাসের সীটে হাত রেখে করতে হবে। কাপুড় পবিত্র না থাকলে অপবিত্রটা দিয়েই পড়তে হবে।কাপুড় না থাকলে উলঙ্গভাবেই চলবে। কোনো মাফ নেই।
৫. আমরা অনেক সময়ে বলে থাকি - ''চেষ্টা করে যাব , বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা ।'' অথবা '' যার কেউ নাই তার আল্লাহ আছে '' ।
উ: এভাবে বলা ঠিক নয়। যদিও আমরা সাধারন অর্থে বলে থাকি। এতে মনে হয় কিছু কাজ আমার সাধ্যে হবে আর কিছু আল্লাহর সাধ্যে। সকল অবস্থায় ও কথায় আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে। এটা আল্লাহর হক। বলতে হবে-আমি চেষ্টা করব, সফলতা আল্লার হাতে
এভাবে বলা কি সঠিক?
৬. গীবত করা নিষেধ । কিন্তু কেউ যদি মজলুম হয়ে অভিযোগ করে সেটাও কি গীবতের মধ্যে যাবে ?
উ: বিচারের জন্যে বা কারো সংশোধনের জন্যে তার দোষ প্রকাশ করা গীবত নয়। তবে সেই অভিযোগ হতে হবে যথাযথ স্থানে। মানে বিচারালয়ে বা কারো পিতা মাতার কাছে....বা অভিভাবকের কাছে,উদ্দেশ্য থাকবে তার সংশোধন।
৭. স্ত্রীকে কি স্বামীর তাকে যেখানে রাখার ব্যবস্থা করে সেখানে থাকবে , নাকি স্ত্রী যদি তার বাবার বাড়িতে থাকতে চায় সেটাকেই স্বামী অগ্রাধিকার দেবে এবং স্ত্রী সাথে সেও থাকতে ?
উ: এটা আলোচনামূলক বিষয়। দুটোই বৈধ। তারা পরষ্পর আলোচনা করবে। তারপর সিদ্ধান্ত নিবে যেটা উত্তম হয়।
৮. স্বামীর মতের বাইরে যদি স্ত্রী তার বাবার বাড়ি থাকে মাসের পর মাস তাহলেও কি স্বামী তার ভরণপোষন দিয়ে যাবে ?
উ: এক্ষেত্রে আবারও বলব বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। ভরনপোষন সে দিবে কিন্তু সে কেন স্বামীর অমতে জোর করে সেখানে থাকবে। নিশ্চয়ই উভয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারনে এটা হয়। তারা মুরব্বীদেরকে নিয়ে আলোচনা করবে। বৌ বাপের বাড়ি গিয়ে মাসের পর মাস থাকবে,এটা তো সুস্থ্যতা নয়। আমি হলে শ্বসুর বাড়ি গিয়ে থাকতাম এবং খরচ দিতাম। তারপর এমনেই সে নিজের বাড়ি চলে আসত।
৯. চাকরি/পড়াশুনার ওজর দিয়ে কি একজন স্ত্রী তার স্বামীর সংসারের হেফাজত করা থেকে ভারমুক্ত হতে পারবে ?
উ: এসব করেও সংসার হেফাজত করা যায়। অনেকেই করছে। কেউ এই অজুহানে তা না করলে তার সমস্যা আছে ইচ্ছার ক্ষেত্রে
১০. স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে সেক্স করতে চায় তাহলে কি সে সাড়া দিতে বাধ্য(যদি অসুস্থ না থাকে)?
উ: এই বিষয়টি পারষ্পরিক সম্মতির উপর নির্ভরশীল। বিষয়টি এক পক্ষের সমর্থনে ঘটানো সঠিক নয়। তবে একে অন্যকে আকর্ষন করতে পারে সুন্দরভাবে। স্বামী/স্ত্রী যদি অপরের আবেদনে সাড়া না দেয়,আল্লাহর লানত পড়ে তােদের উপর। সাড়া দেওয়াই উচিৎ যদি অসুস্ত্যতা না থাকে।
অনেক রেফারেন্স দিয়েছেন ওহিদুল ভাই। সেটা দেখতে পারেন। আমি যা বলেছি আমার সেন্স থেকে এবং এটার সহি হাদিসের রেফারেন্স রয়েছে কিন্তু মনে নেই। আমার ভুলগুলো আল্লাহ ক্ষমা করুক। আমি যা বললাম তাতে কুরআন সুন্নাহ অনুযাযী অন্য কেই দ্বিমত করতে পারেন।
৮.
০ শশুড়বাড়ি গিয়ে থাকতেন কি নিজের বাবার বাড়ি / ভাড়াবাড়ি ছেড়ে ? মালপত্র কোথায় রাখতেন ?
এভাবে থাকলে বউ নিজের বাড়ি চলে আসতো !
সে তো নিজের বাড়িই চলে এসেছে । আপনি এখন তার বাড়ি উঠেছেন ।
আত্মসন্মানবোধ সম্পন্ন কোন পুরুষ মানুষ এটা করবে না।
আপনার ওপর যখন কারও দায়িত্ব আসে তখন আপনি তাকে আপনার ডেরায় নিয়ে আসবেন যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন । এর বাইরে গেলে তো রিস্ক তার।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে যখন কিছুটা সময়ের জন্য রোগীর লোকেরা বাইরে নিয়ে যেতে চায় তখন কি মুচলেকা দেয় না ?
আর আমি বুঝাতে চেয়েছি সে যখন আসছে না,আর আমি চাচ্ছি তার ভুল ভাঙ্গুক,তাই আমি শ্বসুর বাড়ি চলে যাব। সেটা শুধু তাকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে। আমি যখন কিছুদিন সেখানে থাকব তখন বিষয়টা তার অভিভাবক পজিটিভলি নিবে। এবং সকল দোষ পড়বে স্ত্রীর উপর যে, তার কারনেই অশান্তি হয়েছে। কারন জামাই তো এখানে খোলা মনে ফিরিয়ে নিতে এসেছে।
আর আত্মস্মানবোধ এখানে রক্ষিতই থাকছে। উদ্দেশ্যটা ভাবুন। সংসারে শান্তির জন্যে অনেক সময় নিজেকে ছোট করতে হয়। অনড় বসে থাকলে কাজের কাজ হয়না শুধু এটা প্রকাশিত হয় যে,আমি বিরাট ব্যক্তিত্ববান,ক্ষমতাবান,কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয়না।
মেয়েরা অনেক সময় খুব জেদ করে। আবার আশা করে স্বামী আগে এগিয়ে আসুক। স্বামীকেই একটু ছাড় দিতে হয়। এতে হারের কিছু নেই। স্বামী যদি জানে ভুল স্ত্রীর,তারপরও বলবে দোষ আমারই,এখন ঘরে চলো। আর দুদিন পর সেই স্ত্রীই বলবে, আসলে দোষ ছিলো আমারই,,,,
মানব চরিত্র খুবই রহস্যময়। পুরুষকে আগে ছাড় দিতে হয়।
পুরুষরা নারীদের উপর কর্তৃত্বকারী,
আর
স্ত্রীদের স্বামীর অনুগত থাকতে বলা আছে
এটা কি একজন স্বামী তার শশুর বাড়িতে করতে পারবে স্ত্রীর পরিবারের লোকজনদের সামনে ?
আর বেদুঈণ/যাযাবর এদের মত তো আমাদের উপমহাদেশের সমাজ ব্যবস্থা নয় আর এরা মুসলমানদের মধ্যে একেবারেই নগন্য সংখ্যক ।
পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ তায়ালা স্বামীদেরকেই পরিবারের প্রধান করেছেন পরোক্ষভাবেই । তাই সব মুসলিম পরিবার পিতৃতান্ত্রিক হবে এটাই শরিয়তের বিধান , অন্যান্য আহলে কিতাবও এর ব্যতিক্রম হবে না ।
মাতৃতান্ত্রিক পরিবার উপজাতিদের মধ্যে দেখা যায় বেশী ।
আপনি কি তাদেরকেই মূল হিসেবে ধরে কমেন্ট করেছেন?
কিন্তু আপনার শরিয়ত আপনাকে কর্তৃত্ব করতে বলেছে এবং উনাকে বলেছে আপনার অনুগত থাকতে ।
(ইসলাম ধর্মের এই বিষয়টা কোন মহিলাই মেনে নিতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না । তাই তার শরিয়তের বাইরে গিয়ে আইন করায় এবং সেটা খুব ভালই এনজয় করে। )
এর ব্যাত্যায় হলে সেটা আর শরিয়তের লাইনে থাকে না ।
ভুলে গেলে চলবে না যে শরিয়ত মতেই উনারা বিয়ে বসে , তবে দেবার দবেলায় বা দ্বায়িত্ব পালনের বেলায় শরিয়তকে এড়িয়ে চলাটাকে স্মার্টনেস বলে মনে করে ।
আল্লাহ পিতার সম্পত্তিতে ছেলের মেয়ের দ্বিগুন পাবে - এটা বলেছেন । পিতা যদি উভয়কেই সমান দিতে চায় মানবিক দৃষ্টিকোন দিয়ে সেটাকে কি শরিয়তের উপর রাখা যাবে ?
জি কতৃত্ব পুরুষের কিন্তু মাঝে মাঝে একটু নরম হলে সমস্যা নাই। এতে যদি সম্পর্ক সুন্দর হয়..এই আর কি..
দ্য স্লেভ ভাইয়ের উত্তর গুলোর সাথে আমি পুরোপুরি একমত, উনি যদি এইভাবে উত্তর গুলো না দিতেন তাহলে আমিই এগুলো লিখতাম।
ধন্যবাদ হতভাগা ভাইকে সুন্দর একটা বিষয়ে কলম ধরার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন