হতভাগার জিজ্ঞাসা ২
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:২৮:০৮ দুপুর
আবারও কিছু জিজ্ঞাসা নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে । প্রশ্ন গুলো সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও আপনাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং জানা এই পোস্টের উদ্দেশ্য ।
১. আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে - সামর্থ্য হয়ে গেলে যেন আমরা হজ (অন্তত ১ বার হজ করা ফরয) করে ফেলি , যার সেখানে পৌছার সামর্থ্য থাকে । এখানে সামর্থ্য বলতে ১. শারিরীক + ২. আর্থিককে বুঝি ।
এ ছাড়া আর কি কি সামর্থ্য আছে ?
২. হজ করা কারও উপর ফরয হয় কখন ?
৩. বাবা আর্থিক স্বচ্ছল বিধায় তার নাবালক সন্তানদের হজে নিয়ে গেলেও কি পরিনত বয়সে পৌছালে এবং সামর্থ্য হলে কি সেই সন্তানকে আবারও ফরজ হজ করা লাগবে ?
৪. শারিরীক সামর্থ্য থাকলেও কারও যদি সারা জীবন হজ করার আর্থিক সামর্থ্য না হয়ে থাকে তাহলে তার উপর কি হজ ফরয হয় ? মারা গেলে এদের জন্য কি বদলি হজ করা যাবে ?
৫. নামাজের সময় হাঁচি আসলে অন্য সময়ে যে হাঁচির উত্তরে ''আল'হামদুলিল্লাহ'' বলা হয় সেরকম কি নামাজের মধ্যে বলা যাবে ?
৬. মাসজিদে প্রবেশের পর পরই যে দুখুলুল মাসজিদ নামাজটি পড়তে হয় সেটা কি প্রতি ওয়াক্তেই পড়তে হয় ?
৭. ৫ ওয়াক্ত নামাজের শুধু ফরজ পড়লে , সুন্নতগুলো না পড়লে কি ঠিক হবে ?
৮. আমাদের সমাজে বর্তমানে যেসব বিয়ে হয় সেখানে দেন মোহর অর্ধেক শোধ করে বাকি অর্ধেক পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে উসুল করবে - এভাবে বিয়ে হয় ।
তালাক যদি স্ত্রীর পক্ষ হতে হয় (স্বামীর ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও) বা স্বামী দিতে বাধ্য হয় (স্ত্রী চারিত্রিক ত্রুটির কারণে) - তখন বাকি দেনমোহরের কি হবে ?
৯. মহিলাদেরকেও কি ক্বুরবানীতে অংশ নিতে হবে যদি সে রোজগার করে থাকে ? চাকুরীজীবী মহিলার ক্বুরবানীর অংশ কি স্বামী ব্যয় করবে ?
১০. আমাদের পারিবারিক জীবনে দেখা যায় যে মহিলাদের কারণে সংসারে অশান্তি লেগে থাকে ।
ছেলে মা বাবাকে অবহেলা করে যার পিছনে বউয়ের কারসাজি থাকে । ফলে বাবা মায়ের অযত্নের জন্য ছেলেকেই দোষী হতে হয় ।
সেই ছেলের বোন যেহেতু স্বামীর সংসারে সেহেতু বাবা মাকে দেখভাল করা তার উপর তেমন একটা পড়ে না । কিন্তু তার সেই বোনও তার স্বামীর বাড়িতে একই সিলসিলা জারি রেখেছে ।
এখানে অন্যায় করছে একজন (এক বিশেষ জেন্ডার) আর সাফার করছে + দোষী হচ্ছে আরেকজন (বিপরীত জেন্ডার) ।
দেখা যাচ্ছে যে মহিলাদের একদিকে দায়িত্ব যেমন পালন করতে হয় না তেমনি আরেকদিকে তারা অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাঁধা দিয়ে থাকে ।
ক্বুরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে কি বলা আছে ?
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৪ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
৩। নাবালেকের বিষয়টা জানা নাই ,তবে শুনেছি দরিদ্র থাকাকালে লোন করে হজজ করলে পরবরতিতে সামর্থ হলেও আর করতে হবে না .
৪ । যতদুর জানি বদলি হজজ করতে হবে
৯। এটা জুরাজুরির কিছু না , ইচছা হলে দিবে
৭ । সুন্নত পড়লে সুয়াব বেশি হবে ,যা হাসরের মাঠে কাজে আসবে
৮ । ইসলাম মতে তো মনেহয় ব উ তা পাওনা না হবার ই কথা
১০। সব ব্যায় ভার ছেলে পালন করলে বউ কে কেন কথা শুনা্তে পরবেনা!!!
ভেরা মারকা ছেলেরাই কথা শুনাতে পারে না
ভুল হলে আললাহ মাফ কর
১০. সব ব্যয়ভার বহন করলেও আইন কিন্তু নারীদের ফেভারেই ।
সামনে এমন আইন আসছে যে বকাঝকা করলে বা চাহিদামত খরচ না দিলে জেলেও যেতে হতে পারে।
খরচও করবে চোখ বুঝে মারও খাবে চোখবুঝে । কিছুই বলা যাবে না কোন কিছুতেই।
ভেড়া তো তবুও ঢুঁস মারার সুযোগ পায়
মাসআলার উত্তর মুফতি সাহেবরাই ভাল করে দিতে পারবেন!
আমার জানামতে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি!
১: শারীরিক ও আর্থিক সামর্থের সাথে সাথে ক্বাবা শরীফ পর্যন্ত পৌছার সামর্থও থাকতে হবে! যেমন-কোন কারণ বশত: কেউ গৃহবন্দি/বন্দি ইত্যাদি অসামর্থে ব্যক্তির উপর সরাসরী হজ ফরজ হবে না।
২:প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নর-নারীর উপর হজ ফরজ,যারা ক্বাবা শরীফ পর্যন্ত যাওয়ার শারীরিক-আর্থিক সামর্থ রাখে।
৩:বালেগ হওয়ার আগে যদি হজ করেও ফেলে তাহলেও সামর্থ থাকলে হজ আদায় করতে হবে।
৪: এমন ব্যক্তির উপর হজ ফরজ নয়!
বদলী হজও করাতে হবে না।
৫:না বলা যাবে না,তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
৬:এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে।কেউ বলে পড়তে হবে আর কেউ বলে না পড়া উত্তম।
৭:ফরজের সুন্নত গুলোও পড়া জরুরী। কোন কারণে কখনও কখনও পড়তে না পারলেও তা অভ্যাসে পরিণত করে নেয়া মারাত্মক গোনাহ!
তবে,মুসাফিরদের শুধুই ফরজ পড়লেই চলবে!
৮:এভাবে বিবাহ সম্পাদন হয়ে যাবে।
মুহর কিন্ত অবশ্যই পুর্ণটা আদায় করতে হবে! মাফ পাওয়া যাবে না অনাদায়ে।
৯:কুরবানী ওয়াজিব হয় এমন পরিমাণ নেসাবের অধিকারী হলে মহিলাদের উপরও আলাদা ভাবে কুরবানী করতে হবে!
মহিলাই তা নিজ ইচ্ছানুযায়ী খরচ করতে পারবে!
১০:এটা মাসআলা সংক্রান্ত নয়।
মাসআলার জবাবে দলিল বর্ণনা করা জরুরী নয়,তা মুফতিদের কাজ।
তারপরেও ভাল জানেন এমন কারো কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নেয়াই উত্তম!
আল্লাহই সঠিক পদপ্রদর্শনকারী!!!
বাস্তবে দেখা যায়, কুরবানী করা হয় পারিবারিকভাবে। সেখানে নাম দেয়া হয় পরিবারের কয়েকজন সদস্যের যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোরবানীর যাবতীয় খরচ পুরুষ সদস্যই করে থাকেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রচলিত নিয়মে কি তাহলে কুরবানী আদায় হচ্ছে না?
প্রচলিত অনেক নিয়মই সুন্নাহ মোতাবেক নয়!
#দেন মোহর আদায় করতেই হবে।তবে,এমন আবস্হায় স্বামী খুলা তালাক দিতে পারবে!
খোলা তালাকঃ স্ত্রী হতে বিনিময় নিয়ে তালাক দেয়া!
মন্তব্য করতে লগইন করুন