হতভাগার জিজ্ঞাসা
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:১২:০৮ দুপুর
এরকম অনেক প্রশ্ন আমার কাছে সব সময়ই ঘুরপাক খায়।
টুডে ব্লগে থেকে বুঝতে পারলাম যে আল'হামদুলিল্লাহ এই ব্লগে বেশ ভাল কয়েকজন আলেম ঘরানার লোক আছেন । তাদের সহ অন্যান্য সব ব্লগারদের কাছেই আমার এই প্রশ্ন গুলোর উথ্থাপন । কারও সঠিক জানা থাকলে জানাবেন । এতে শুধু আমার না অন্যান্য ব্লগারদেরও উপকার হতে পারে ইন শা আল্লাহ ।
১. সূর্য ওঠার পর প্রথম ২৩ মিনিট কেন নামাজ পড়া যাবে না ?
২. ফজরের নামাজের ২ রাকাত সুন্নত যদি ফরযের আগে না পড়া সম্ভব হয় তাহলে সেটা কেন সূর্য ওঠার ২৩ মিনিট পর পড়তে হয় ?
৩. আসরের ফরজ নামাজের পর মাগরিব পর্যন্ত কেন নামাজ পড়া নিষিদ্ধ ?
৪. মাগরিবের আযান দেওয়া এবং ইকামতের এই মধ্যবর্তী সময়ে নফল নামাজ পড়ার কি কোন বিরাট ফজিলত আছে ?
৫. বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় কেন ডান হাতের তর্জনী উঁচু করে রাখতে হয় ?
৬. অতীতে না আদায় করা নামাযের কি কোন কাযা আছে ? না থাকলে এর থেকে ক্ষমা পাবার উপায় কি ?
৭. মাসিকের সময় স্ত্রীর কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । এর মানে কি একই বিছানায় শয়ন না করা ?
৮. সন্তান কার (একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে) ? বাবার না মায়ের ?
তালাক হয়ে গেলে দুধের শিশুকে স্তন্যদান করার সময় মা যদি তার স্বামীর কাছে পারিশ্রমিক দাবী করে তাহলে সেটা সন্তানের পিতাকে দিতে হবে বা পিতা অন্য কোন মহিলাকে নিযুক্ত করতে পারে তার সন্তানকে দুধ পান করানোর জন্য (যদি সন্তানের মা বেশী পারিশ্রমিক দাবী করে)।
এ থেকে কি এটা মনে হয় না যে সন্তান হল পিতার , কারণ পিতাকেই সন্তানের জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে ।
কাউকে লালন পালন করার জন্য কেউ যদি আরেকজনের কাছ থেকে পারিশ্রমিক নেয় তাহলে কি এটা বোঝা যায় না যে , যে পারিশ্রমিক দিচ্ছে সেই পালিতের অভিভাবক , যে পালন করছে টাকার বিনিময়ে সে নয় ?
৯. যাকাত কি নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর ফরয ? আমার যাকাতের জন্য নিসাব পরিমান অর্থ থাকার পরেও সেটা কি আমার পক্ষে অন্য কেউ দিয়ে দিলে চলবে ?
স্ত্রীর যাকাত কি স্বামীকেই দিয়ে দিতে হবে ?
১০. স্বামী কি তার সামর্থ্যের মধ্যে স্ত্রীকে চালাবে নাকি স্ত্রীর চাহিদা অনুযায়ী চালাবে ?
বিষয়: বিবিধ
৪৬৮৪ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই প্রশ্ন আমি ছোটকালে ইমাম সাহেবকে করেছিলাম, অল্প শিক্ষিত মসজিদের ইমাম কিছু না বলে চুপ থাকাটাই ভাল মনে করেছিল। সউদি এসে জেনেছি তর্জনী উঁচু করাটা তাওহীদের ইশারা।
সূর্য ওঠার পর ইসরাকের নামাজ পড়া হয় এটা জানি।
ফজরের নামাজের ২ রাকাত সুন্নত যদি ফরযের আগে পড়া সম্ভব না হয় তাহলে সেটা সূর্য ওঠার পর পড়া জরুরি নয়।
রাছুলের সা. জীবনিতে পড়েছিলাম এক সাহাবা ফরযের পরে নামাজে দাড়ালে তাকে বল্লেন ফরযের পর আর কোন নামাজ নেই, সাহাবা জবাবে বল্লেন ফরযের আগের দুই রাকাত পড়িনাই সেই নামাজ পড়তেছি ।
রাছুলের সা. নিশ্চুপ রইলেন।
দেখা যাক আলেম সাহেবেরা কি বলেন।
আমি আলেম নয় সাধারন একজন অল্পশিক্ষিত মুসলিম।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
আমার কাছে এর একটা সুন্দর জবাব আছে।
আমি যখন ভালো কিছু করি বা কোন কিছুতে সাফল্য লাভ করি, তখন সেটা আব্বু আগে জানলে আব্বু আম্মুকে বলেন- আমার ছেলে আজ এটা করেছে। আর যদি আম্মু আগে জানেন, তবে তিনি আব্বুকে বলেন- দেখছো, আমার ছেলে আজ এটা করেছে।
আর যদি খারাপ কিছু করি, তবে আব্বু আম্মুকে বলেন- তোমার ছেলে এ কী করলো!!! আর তা যদি আম্মু আগে জানেন, তবে তিনি আব্বুকে বলেন, তোমার ছেলে এ কী করলো!!!
তালাক হয়ে গেলে সন্তান স্পেসিফিকভাবে কার ?
উ: আমি সাধারন মুসলিম কিন্তু কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে অল্প ারনা আছে,আর যেটুকু জানি বলতে পারি স্পষ্ট। সূর্য ওঠার সময় ও অস্তমিত হওয়ার মুহুর্তে নামাজ পড়া নিষেধ। ২৩ মিনিটের বিষয়টি কোনো হাদীসে আসেনি।সূর্য উপাসকগণ সে সময়ে ইবাদত করে বা করত। তবে বেশীরভাগ আদেশ নিষেধের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আল্লাহ উম্মুক্ত করেননি। এটা মেনে চলার মধ্যেই কল্যান রয়েছে বলে বিশ্বাস করতে হবে। সব বিষয়ে আমাদের কাছে পুরো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
২. ফজরের নামাজের ২ রাকাত সুন্নত যদি ফরযের আগে না পড়া সম্ভব হয় তাহলে সেটা কেন সূর্য ওঠার ২৩ মিনিট পর পড়তে হয় ?
উ: আমি হাদীস থেকে যেটা জেনেছি বা দেখেছি তা হল, উক্ত ২ রাকাত সুন্নতকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা পড়লে ব্যপক সওয়াব। তবে ফরজ নামাজগুলোর বাইরে যেসব সুন্নত নামাজ রয়েছে তা না পড়লে পাপ হবেনা বলে হাদীসের উপর পি.এইচ.ডি করা আলেমগনের কাছে শুনেছি। একটি হাদীসে দেখেছি এসব সুন্নত ও নফল নামাজসমূহ হাশরের মাঠে ফরজ নামাজের পূরন হিসেবে ব্যবহৃত হবে বা আল্লাহ গ্রহন করবেন মিসিং ফরজের স্থলে।
৩. আসরের ফরজ নামাজের পর মাগরিব পর্যন্ত কেন নামাজ পড়া নিষিদ্ধ ?
উ: আমার জানামতে এ ব্যাপারে হাদীসে কোনো ব্যাখা দেওয়া হয়নি। তবে নিষেধাজ্ঞাটি সহি। আল্লাহ জানাননি এ জ্ঞান।
৪. মাগরিবের আযান দেওয়া এবং ইকামতের এই মধ্যবর্তী সময়ে নফল নামাজ পড়ার কি কোন বিরাট ফজিলত আছে ?
উ: রসূল(সাঃ)যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন তখন ২ রাকাত নামাজ(দুখুলুল মাসজিদ)না পড়ে কখনও বসতেন না। কিন্তু যদি এমন হয় যে আমি মসজিদে গেলাম আর ফরজ নামাজের জামাত শুরু হল,তখন জামাতে শরিক হতে হবে। রসূল(সাঃ)বলেন-ফরজ শুরু হলে আর কোনো সালাত নেই। মানে অন্য সালাত না পড়ে ফরজে সামিল হতে হবে। আর মিসিং সুন্নত পরে আদায় করলেও চলবে। একবার রসূল(সাঃ)অতিরিক্ত ২ রাকাত নামাজ পড়াতে এক সাহাবী জানতে চাইলেন এটা কি। তিনি(সাঃ)বললেন-যোহরের ফরজের পর ২ রাকাত নামাজ পড়তে বাকী ছিলো ,সেটা এ সময়ে এসে পড়লাম।
৫. বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় কেন ডান হাতের তর্জনী উঁচু করে রাখতে হয় ?
উ: এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মত দ্বৈততা রয়েছে এবং উভয় পাশে সুহি হাদীস রয়েছে। বেশীরভাগ হাদীসে তর্জনী ক্রমাগত নড়তে থাকার বিষয়ে রয়েছে। তবে তা কতটা দ্রতি হবে সে ব্যাপারে বলা হয়নি। আবার তর্জনী উপরে খাড়া করে তোলার কথাও এসেছে। আর এটা কি কারনে তা আমাদের জানানো হয়নি। তবে এক হাদীসে দেখেছি উক্ত তর্জনী নাড়ানোটা শয়তানের কাছে অত্যন্ত ভয়াবহ শাস্তি স্বরূপ।
৬. অতীতে না আদায় করা নামাযের কি কোন কাযা আছে ? না থাকলে এর থেকে ক্ষমা পাবার উপায় কি ?
উ: এ বিষয়ে প্রথম সারীর বিজ্ঞ আলেমদের থেকে জেনেছি যে এ বিষয়ে তওবা করতে হবে এবং নামাজ শুরু করতে হবে,কিন্তু পূর্বের না পড়া ফরজ নামাজের কাযা আদায় করতে হবেনা। .....তবে পিতা,মাতার কাযা ফরজ রোজা সন্তানরা আদায় করে দিবে,এ মর্মে নির্দেশ এসেছে হাদীসে।
৭. মাসিকের সময় স্ত্রীর কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । এর মানে কি একই বিছানায় শয়ন না করা ?
: এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা স্পষ্ট। সে সময় তারা একই বিছানায় শয়ন করবে। সে সময় কেবল স্ত্রীর উক্ত স্থানের সংস্পর্শ ছাড়া অন্য সকল স্থান স্পর্শ, আলিঙ্গন করতে পারবে। এ বিষয়ে অনেক সংখ্যক হাদীস রয়েছে।
. সন্তান কার (একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে) ? বাবার না মায়ের ?
উ: এ বিষয়ে হাদীসে যেমনটা দেখেছি সে অনুযায়ী সন্তান পিতার। কিন্তু এখানে আলোচনার দুয়ার খোলা রাখা হয়েছে। আর এ বিষয়ে অনেক মাসয়ালা রয়েছে। শিশু দুগ্ধপোশ্য হওয়ার সময় তালাক হলে কত দিন পর্যন্ত সে সন্তানের,স্ত্রীর ভরন পোষণ দিতে হবে সেটা বিজ্ঞ আলেমদের থেকে জেনে নিতে হবে। এখানে ফিকি মাসয়ালা রয়েছে।
তালাক হয়ে গেলে দুধের শিশুকে স্তন্যদান করার সময় মা যদি তার স্বামীর কাছে পারিশ্রমিক দাবী করে তাহলে সেটা সন্তানের পিতাকে দিতে হবে বা পিতা অন্য কোন মহিলাকে নিযুক্ত করতে পারে তার সন্তানকে দুধ পান করানোর জন্য (যদি সন্তানের মা বেশী পারিশ্রমিক দাবী করে)।
এ থেকে কি এটা মনে হয় না যে সন্তান হল পিতার , কারণ পিতাকেই সন্তানের জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে ।
কাউকে লালন পালন করার জন্য কেউ যদি আরেকজনের কাছ থেকে পারিশ্রমিক নেয় তাহলে কি এটা বোঝা যায় না যে , যে পারিশ্রমিক দিচ্ছে সেই পালিতের অভিভাবক , যে পালন করছে টাকার বিনিময়ে সে নয় ?
উ: এ বিষয়ে তারা আলোচনা করবে। বিজ্ঞ আদালতের শ্মরনাপন্নও হতে পারে। আলিমদের কাছে যাবে। যৌক্তিক হবে উভয়ে।
৯. যাকাত কি নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর ফরয ? আমার যাকাতের জন্য নিসাব পরিমান অর্থ থাকার পরেও সেটা কি আমার পক্ষে অন্য কেউ দিয়ে দিলে চলবে ?
স্ত্রীর যাকাত কি স্বামীকেই দিয়ে দিতে হবে ?
উ: যাকাত নির্দিষ্ট ব্যক্তি উপর ফরজ। সেটা নিসাব পরিমান হলেই ফরজ। আর স্বামী তার স্ত্রীর যাকাত দিবেন না। বরং স্ত্রী যাকাতের উপযুক্ত হলে নিজেরটা প্রদান করবেন। তার গচ্ছিত স্বর্ণ,রৌপ্য এর অলঙ্কার সাড়ে ৭ তোলা অথবা সাড়ে ৫২ তোলা বা বেশী হলে এটার সে সময়ের বিক্রীত বাজার দর হিসাব করে ২.৫% যাকাত প্রদান করবেন।
১০. স্বামী কি তার সামর্থ্যের মধ্যে স্ত্রীকে চালাবে নাকি স্ত্রীর চাহিদা অনুযায়ী চালাবে ?
উ: অবশ্যই সামর্থের বাইরে কেউ চালাতে পারেনা। স্ত্রী অতিরিক্ত দাবী করলে তা অন্যায় হবে।
যা বললাম তা অামার সুন্নাহ ভিত্তিক ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বললাম। অনেকে বিজ্ঞ আলেম আছেন এখানে। আমার ভুল হয়ে থাকলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
ভালো কিছু জানলাম,
০ এটা নাকি শয়তানকে লোহার চাকুব দিয়ে আঘাত করার মত একটা তরিকা ।
৮.
০ মনুষ্য আইনে বলে যে, ছেলে সন্তান ৭ বছর এবং মেয়ে সন্তান ১৪ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত মায়ের হেফাজতে থাকবে - তবে সন্তানের ভরনপোষনের টাকা বাবাকেই দিতে হবে ।
সন্তানকে টাকা দেওয়া হবে সন্তানের মায়ের কাছে যার সাথে তার তালাক হয়ে গেছে এবং সন্তানের সাথে দেখা করতে গেলে সাবেক স্ত্রীর বর্তমান স্বামীর মুখোমুখি হতে হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয় ।
এটা একজন পুরুষের জন্য গ্লানীকর যে , একই কাজের জন্য তার সাবেক স্ত্রীকে কোন গ্লানিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না এবং সন্তানের উসিলাতেই এটা হয় , যে সন্তান কি না আদতেই তার নয়।
ডিভোর্স হয়ে গেল , সন্তানদেরও নিয়ে গেল তার সাবেক-স্ত্রী , সেই সন্তানদের ভরনপোষনের টাকাও তাকেই দিতে হবে স্ত্রীর কাছে গিয়ে স্ত্রীর চাহিদা মোতাবেক- অথচ সন্তান তারই । আর এত বছর মায়ের সাথে থাকার পর সন্তান কি আর বাবার কাছে ফিরে গিয়ে কমফোর্ট ফিল করবে ? ফলে অপেক্ষা করেও সে তার সন্তানকে পাবার সম্ভাবনা ৫০/৫০। কি আফসোসের কথা !
**************
মাশা আল্লাহ ! ভাল বলেছেন । আল্লাহ আপনার ভাল করুন । আল্লাহই সর্বজ্ঞানী ।
যেহেতু মাগরিবের আযানের পরপরই জামাত শুরু হয় তাই হয়ত তাড়াহুড়া করে কেউ কেউ উক্ত ২ রাকাত নামাজ পড়ে থাকবে।...
সন্তান ছোট থাকা অবস্থায় তালাক হলে সেটা অনেক জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সবথেকে খারাপ পরিনতি বহন করে শিশুটি। শিশু তার পিতা মাতাকে একসাথে দেখতে চায়। নইলে তার মনের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। পাশ্চাত্যে শিশু,কিশোরদের নেশা আসক্ত ও ক্রেজী হয়ে ওঠার অন্যতম প্রধান কারন। আর উক্ত অবস্থায় সন্তানের জন্যে স্বামী স্ত্রীর দেখা হয়ে যায়। তবে তখন যেহেতু উনি আর স্বামী নন তাই পর্দা করতে হবে। তবে ব্যয় বহন করতে হবে। সেই সন্তান তারই সন্তান যদিও মায়ের কাছে থাকে। উক্ত সন্তান পিতার সম্পদের উত্তরাধীকারও পাবে। বাপ শিশু সন্তানকে কাছে পেতে চাইলেও পালন করা তার জন্যে কষ্টকর। তাই সে মায়ের সাথেই থাকে আর খরচ প্রাপ্ত হয়।
সন্তানের জন্য পিতা নিজের মা/বোন/ফুফুকে এনগেজড করতে পারে কি ? বা কোন গভর্নেসকে ?
আর সন্তানের মা যদি লালন পালনের দায়িত্ব নেয় তবে তাকে খরচ প্রদান করতে হবে। এ বিষয়টি আপোষের বিষয়। তবে পরিস্থিতি জটিল হলে আদালতে যেতে পারে।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আমি "আলিম" বা "মুফতী" নই, কখনো কোন মাদ্রাসায় পড়িনি! তবে ইসলামী ফিকাহ আমার খুব প্রিয় একটা বিষয়- জানার কৌতূহল থেকেই প্রচেষ্টা!!
তাই, দৃষ্টি এড়িয়ে না গেলে আমি ফিকহ বিষয়ক যেকোন পোস্টে নজর রাখি!
যখন দেখি অন্যরা কথা বলছেন, আমি চূপ থাকি!
যদি আমার জানার সাথে না মিলে, তখন আলোচনায় আসি!
এখানেও অনেকে কথা বলেছেন, বলবেন
আমি সুযোগমত সবগুলো পড়বো ইনশাআল্লাহ!
তারপর যদি কোথাও কিছু বলার থাকে বলবো ইনশাআল্লাহ!
@আফরা- আপনার অভিযোগে আমার নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে! গত কয়েকমাসে আমি অনেক পোস্ট পড়তে পারিনি, অনেক অনুরোধ রক্ষিত হয়নি!!
জাযাকুমুল্লাহ..
তাই ধর্মের ব্যপারটি অনেকেই ব্লগে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন।
আল্লাহ মাফ করুক।
তবে নামাজের কাযা নাই কিনতু অসুসথ লোকের নাকি নামাজের কাফফারা দিতে হয় ,? কেউ যদি জেনে থাকেন , একটু জানালে ভালো হতো
৭. যতটুকু শুনেছিলাম ,শুধু সহবাস করা নিষেদ ,
হাদিসে এসেছে ,রাসুল (স সেই সময় আয়েশা (রা চুমো ও খেয়েছিলেন ।
৮. যতদুর জানি , হাসরের মাঠে ,পিতার নাম নিয়ে
সন্তান কে ডাকা হবে ,তবে তো পিতার ই হবার কথা ,
কিনতু যেহেতু সন্তানের জন্য মাকে বেশি কষট করতে হয় ,সেহেতু বলা হয়েছে ,মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জাননাত ,
(আললাহ ভুল হলে মাফ করো
)
আমার এক আত্মীয় (নানা -লেবেলের) উনি আইসিইউতে সজাগ হয়ে গিয়েছিলেন যখন তখন ইশারায় নামাজ পড়েছিলেন বলে শুনেছি।
৭. জ্বি এটা আমিও বুঝেছিলাম , আনো্যেরা এটাকে কিভাবে নিয়েছে বা আলেমদের কি ব্যাখ্যা এতে সেটাই জানতে চেয়েছি।
মাসিকের সময় অন্য কিছুও করলে পিরিয়ডের ব্লিডিং বেশী হয়
প্রাচীন,মধ্যযুগে ইউরোপে হায়েজ অবস্থার নারীকে চরম অপবিত্র মনে করা হত। এসময়ে তাদেরকে গরু,ঘোড়ার খোয়াড়ে অবমাননাকর অবস্থায় রাখার নিয়ম ছিলো।এরা সে সময় অস্পৃশ্য থাকত। তাদেরকে অকল্যানের প্রতিক মনে করা হত।নানান কু সংষ্কার চালু ছিলো এসময়ের নারীদের নিয়ে। ভারতবর্ষেও জঘন্য অবস্থা ছিলো। ইসলাম এসে সেসবকে কবর দিয়ে নারীকে মর্যাদা দান করে। আর তাকে উক্ত অসুস্থতার সময়ে ইবাদত থেকেও অবসর দেয়। স্বামীর সাথে অবস্থান করিয়ে সম্মান দান করে। অন্যরা নারীকেই অপবিত্র বলেছে,আর ইসলাম উক্ত হায়েজকেই কেবল অপবিত্র ও অসুস্থ্যতা বলেছে,নারীকে নয়....
এখন এই নামাজ বা রোজার কি হবে ???
বিতর্কের জন্য নয়- জানার কৌতূহল থেকে প্রশ্নটি করছি!
নামাজ তো আল্লাহর হক! সেই তিনিই নামাজের জন্য নিষিদ্ধ সময়ের বিধান দিয়েছেন!
(১)মসজিদে ঢুকলে বসার পূর্বে দু'রাকায়াত পড়ার নির্দেশনা এবং (২)নামাজের নিষিদ্ধ সময়- এ দু'য়ের সমন্বয় করলে নিষিদ্ধ সময়ে দুখুলুল মসজিদের নামাজও নিষিদ্ধ হওয়ার কথা!
সুতরাং "আল্লাহতায়ালার হক"-এর চেয়ে "মসজিদের হক" অগ্রাধিকার পাওয়ার দালিলিক ভিত্তি এবং যুক্তি কী!
যদি একথা বলা হয় যে, রসূলুল্লাহﷺর কথাটি নিষিদ্ধ সময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়!!
তাছাড়া মসজিদের হকটি ওয়াজিব নয়, কিন্তু নিষিদ্ধ সময়ের ব্যাপারটি ওয়াজিব!! তাই ওয়াজিব-ই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত নয়কি?
রসূলুল্লাহﷺর কথা বুঝতে ভিন্নতা তো সাহাবায়ে কিরাম রাঃর মাঝেই দেখা গেছে! তাই "মসজিদের হক" ও "নিষিদ্ধ সময়" নিয়েও তেমনটা হচ্ছে বলে আমা মনে হয়!!
যা ওয়াজিব নয় তার সওয়াব নিতে গিয়ে ওয়াজিব উপেক্ষা করা সঙ্গত মনে হয়না!!
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!!
মাসজিদে প্রবেশ করে যে নামাজ পড়তে হয় সেটা কি এমন যে তা ৫ টি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের মতই ?
দিনে কয়বার দুখুলুল মাসজিদ পড়ার কথা বলা আছে ? প্রতিবার মাসজিদে প্রবেশ করার সময়ই এটা পড়তে হবে ?
গুরুত্বপু্র্ণ দ্বীনী আলোচনার পোস্ট!
ধন্যবাদ ও জাযাকুমুল্লাহু খাইর!
মুহতারাম দ্য স্লেভ ভাইয়ার জবাবমুলক সুন্দর মন্তব্যে উত্তর এসে গেছে!
আমাদেরও জানা হল!
সবাই কে আবারও ধন্যবাদ!!
ধন্যবাদ।
আমার ও কিছু বিষয় জানার ছিল
২.২৩ মিনিটের কোন হাদিস আমার জানা নেই তাই ওসব না ভেবেব এটা ভাবতে হবে কি করে সূর্য উঠার আগে ফজর শেষ করা যায়
৩. আসরের ফরজ নামাজের পর মাগরিব পর্যন্ত নফল নামায পরার কথা শুনেছি এই সময়তুকু কুরআন পড়া অতি উত্তম যদি অন্য নামায পড়তে না চান কুরআন পড়ুন ।
৪. মাগরিবের আযান দেওয়া এবং ইকামতের এই মধ্যবর্তী সময়ে বাদেও নফল নামাজের ফজিলত অনেক
৫. আঙ্গুলি উচু করা মানে হল আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এটাকে বুঝায়
৬. ক্বাযা বলে কোন কথা নাই নামায ওয়াক্ত মতো পড়তে নির্দেশ দেওয়া আছে আপনি চাইলে মাফ চাইতে পারেন আল্লাহর কাছে আমার মনে হয় ওয়াক্ত মতো নামায পড়লে ক্বাযার প্রসঙ্গ আসে না
৭. স্বামী স্ত্রী উভয়ে একি বিছানায় থাকতে পারে সহবাস বাদ দিয়ে ।
৮. তালাক হলে ১৮ বছর পর্যন্ত বাচ্ছার দেখাশনার খরচপত্র বহন করতে হয় ের বেশী কিছু জানিনা
৯. যাকাত আপনার আয়ের ২.৫% দিতে হবে সেটা ডিপেন্ড করে বাড়ি , গাড়ি , গহনা টাকা পয়সার উপড়ে স্ত্রীর যাকাত কি স্বামী দিতে চাইলে দেবে তবে মনে হয় স্বামীকেই দিতে হয়
১০. স্বামী কি তার সামর্থ্যের মধ্যে স্ত্রীকে চালাবে , স্ত্রীকে ও তার স্বামীর সাধ্যমতো চলেতে হবে ।
আমার জানার মধ্যে উত্তর দেবার চেষ্টা করলাম মাত্র ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন