এত দিনের আশা হয়ত পূরণ হতে চলেছে
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:১৬:১৭ সকাল
আমাদের শৈশব-কৈশরে দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের কথা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম ।
দুই পরাশক্তির সমরাস্ত্রের কথা শুনে মনে হত এদের মধ্যে যদি যুদ্ধ বেঁধে যেত তাহলে কে সেরা সেটা বোঝা যেত ।
বিশ্বকাপ ফুটবলে যেমন সবাই কামনা/কল্পনা করে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল , আয়োজকরা ফিক্সচারও করে সেরকম - তেমনি আমেরিকা বনাম রাশিয়ার সরাসরি যুদ্ধও একটা দূর্লভ ও কাঙ্খিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দুইপক্ষের সমর্থকদের কাছে ।
তবে উনারা স্নায়ুযুদ্ধ করে ফ্যানদের বার বার হতাশ করে গেছেন ।
সিরিয়াকে নিয়ে এবার মনে হয় সেই মাহেন্দ্রক্ষণটি আসছে এই দুইদেশের ফ্যানদের জন্য ।
৩০ সেকেন্ড দূরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ !
সিরিয়াকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে বিশ্বময়। এমনকি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই লেগে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ডেইলি মিররের একটি প্রতিবেদনে উচ্চারিত হয়েছে এমনই সতর্কবানী। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সিরিয়ায় আইসিসের লক্ষ্যবস্তুতে ২৪টি হামলা চালানোর দাবি করেছে। একইদিনে রাশিয়া দাবি করেছে, ৫৫টি হামলার। স্থলেও সমানতালে যুদ্ধ চলছে। বাশার আল আসাদের সৈনিকরা শুধু আইসিসের বিরুদ্ধেই লড়ছে না, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতৃক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আসাদ বিরোধীদের লক্ষ্য করেও অভিযান পরিচালনা করছে।
সিরিয়ার আকাশ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। সমর নায়কেরা আশঙ্কা করছেন যেসব দেশ সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে সেসব দেশের যুদ্ধ বিমান, ড্রোনের মধ্যে যে কোন সময় সংঘর্ষ হতে পারে। এতে নতুন করে তৈরি হতে পারে বৈশ্বিক সংকটের। এরইমধ্যে মার্কিন যুদ্ধবিমানকে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু পরিত্যাগ করতে হয়েছে। রাশিয়ার যুদ্ধ বিমান এড়াতে হয়েছে কয়েকবার। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড কাতার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় ইউএস এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রাশিয়ার এসইউ-৩৪ এর কতটা কাছাকাছি। সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলার নেতৃত্বে থাকা লে. জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ২০ মাইলের মতো দূরত্বে থাকছে। এ বিমানগুলোর যে গতি তাতে ৩০ সেকেন্ড এদিক-সেদিক হলেই যে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2015/10/13/306108
যদি ওরা নিজেরা নিজেরা এক জায়গায় যুদ্ধ শুরু করে তাহলে দর্শক হিসেবে সেটা উপভোগ করার জন্য গ্যালারীতে বসবো ।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৪ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটু পেছনে খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন যে, দুই কোরিয়া কত বারই না যুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে, কিন্তু ফলাফল শূন্য। তেমনই দেখুন ইউক্রেণ ও রাশিয়া কিছুদিন পূর্বে যে অবস্থা বিরাজ করছিল, তার ফলাফল ও শূন্য। কারই ওরা সবাই ইসলাম বিরোধীতে ঐক্যজোট।
অথচ ইরাক ও আফগান উত্তেজনা ছাড়াই ধ্বংশ করে দিল। বিশ্লেষণে বুঝাই যায়, পুরা দুনিয়ার কাফেররা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। ওদের অভ্যন্তরীন উত্তেজনা সাময়িক লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না।
কওমে ইব্রাহিমের উপর ক্রেইন ভাংগা দেখান নাই, মিনায় হাজীদের দাপাদাপির কথা আর কি কমু???
মুসলমানদের আশা আছে আল্লাহর কাছ থেকে পরকালে পুরষ্কার পাবার । কাফের ও বিধর্মীদের সেটা নেই ।
Btw, আপনার প্রোপিকটা অচাম...!
আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়ের কাজ মুসলিম নিধন করা..।
শুধু একটা ফাইন টিউনিংয়ের দরকার।
এদেরকে পাঠিয়ে দিলে আপনার পীর সাহেবকে ম্যানেজ করতে পারবেন ?
তবে এরাও কিন্তু মুসলমানদের জন্য ভাল নয় । হতে পারে মন্দের ভাল । কারণ এক পরাশক্তি বিশিষ্ট বিশ্বে আমেরিকা ইচ্ছেমত শত্রু বাছাই করেছে , বানিয়েছে এবং লুট করছে ।
রাশিয়া ও তার জোটের উথ্থান যদি আসলেই হয়ে থাকে তাহলে একটা ব্যালান্স আসবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন