হতভাগার হজ ( শেষ পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ০৫ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:৪১:৪৩ বিকাল

হারাম শরীফে আযানের ৫-৭ মিনিট পর জামায়াত শুরু হয় । তবে ফরজ তওয়াফের সময় আযানের এক মিনিটের মধ্যে জামায়াত দাঁড়িয়ে যেত । হাজিদের ফরয তওয়াফের সুবিধার জন্য সুন্নত পরে পড়ার পরিস্থিতি করা হত ।

ফরজ তওয়াফের পর আরও ১২ দিনের মত মক্কাতে ছিলাম । হজে আসার আগেই নিয়ত করেছিলাম যে , আল্লাহ চায় তো হজের এই সফরে একবার অর্থ সহ ক্বুরআন খতম দেব । আল'হামদুলিল্লাহ ! আল্লাহ আমাকে সেই সৌভাগ্য দিয়েছেন । আমার সাথের দুইজনও সেটা করেছিলেন ( বাংলা সহ না ) ।

হারাম শরীফের ভেতর বিভিন্ন জায়গায় ক্বুরআন শরীফের সেলফ আছে । হাজারে হাজারে ক্বুরআন শরীফ সেখানে । পড়ার জন্য সুবিধাজনকটি বেছে নিবেন ।

হাজি হিসেবে ইন্দোনেশিয়ান ও মালয়েশিয়ানরা খুবই ভদ্র , কথাবার্তা বলে কম (ইংরেজী বলতে খুব একটা পারে না) , হারাম শরীফের ভেতর ক্বুরআন পড়ায় মশগুল থাকে ।

মধ্যপ্রাচ্যের (আরবদের) মধ্যে একটা প্রাউডি ভাব দেখা যায় । ভারতীয়দের দেখলেই চেনা যায় কারণ তাদের দেখে মনে হয় খুব গরীব ( তাদের দেশে সংখ্যা লঘু বলে হয়ত) ।

তার চেয়ে বরং পাকিস্তানীদের দেখে মনে হয়েছে বেশ দিল খোলা এবং বন্ধু বৎসল।

আসা যাওয়ার পথে হাজিদের ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিস কুড়ানোর জন্য যাদের রাখা হয়েছিল তাদের দেখে মন খারাপ হয়ে যেত - কারণ এরা বাংলাদেশী । কাজ করার চেয়ে তারা হাজিদের থেকে বখশিশ পাবার প্রতি বেশী মনযোগী মনে হয়েছে।

মক্কার প্রায় সব দোকানেই বাংলাদেশীদের দেখেছি । তারাও আমাদের বুঝতো । তবে পরিচয় দিতে কেমন যেন লুকিয়ে থাকতো । এমনভাবে কথা বলতো যেন মনে হয় তারা ইন্ডিয়ান।

আসা যাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে মক্কা টাওয়ারের নিচের দোকান গুলোতে ঢুঁ মারতাম । তবে তেমন কিছুই কিনতাম না । সবার কাছে শুনেছি যে মক্কা থেকে মদিনায় জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম।

আস্তে আস্তে ঘনিয়ে আসতে লাগলো মক্কা থেকে বিদায় নেবার পালা । ঐ দিন বিদায়ী তওয়াফ করি সাথে জনদেরকে নিয়ে ।

মক্কা যে পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত সেটা এখানে আসার আগে জানতাম না , আমাদের হোটেল থেকে হারাম শরীফে যাবার পথটি বেশ ঢালু ছিল ১০০ মিটারের মত । আর একটা বিষয় দেখলাম যে এখানকার কোন পাহাড়েই একটা গাছও নেই যা আমাদের দেশের সব পাহাড়েই আছে । এটা আল্লাহর সৃষ্টিরই বৈচিত্রতা।

কাবা শরীফের দিকে তাকিয়ে থাকলেই ২০ টা নেকি পাওয়া যায় । তওয়াফের জন্য ৪০ আর নামাজের জন্য ৬০ টা নেকি ।

মক্কাতে যখন আসি তখন ক্বাবা শরীফ দেখে খুব একটা ফিলিংস না আসলেও যখন চলে আসার সময় হল তখন খারাপ লাগতো । মানুষ কোন জায়গায় গিয়ে সপ্তাহ খানেক থাকলে চলে আসার সময় খারাপ লাগে , মন কাঁদে । আর এটা তো আল্লাহর ঘর !

মদিনার পথে .....

সকাল ১০ টায় বাস আসার কথা থাকলেও সেটা এসে ছাড়ে দুপুর ১২ টায় মদিনার উদ্দেশ্যে ।

মক্কা থেকে মদিনা প্রায় ৪৫০ কি.মি. । আমাদের বাস চলছিল মরুভূমির মাঝে রাস্তা দিয়ে । মনেই হয় না যে মরুভূমি এটা । ৭৫ কি.মি. বেগে চালাচ্ছিলেন ড্রাইভার । কিন্তু আশে পাশের ছোট ছোট গাড়িগুলো এত স্পীডে যাচ্ছিল যে মনে হচ্ছিল আমাদের বাস খুব স্লো চলছে।

পথি মধ্যে বাসের সামনের ডানপাশের চাকা পাংচার হয়ে গেল । আল্লাহর রহমতে তেমন কিছুই হয় নি । ভাগ্যও সহায় ছিল যে ড্রাইভার বাসটিকে একটা দোকানের সামনে এনে রাখলো এবং গাড়ি মেরামতের একটা গাড়িকে কল দিল । এসব গাড়ি আশে পাশেই টহলে থাকে । খুব ভাল লেগেছিল ব্যাপারটা ।

সেখানে আমরা 'আসরের নামাজ পড়ে নিলাম । ১ ঘন্টার মত সময় নিয়েছিল ঠিক করতে । কোন বিরক্ত হই নি কারণ গাড়িকে এমনিতে থামতেই হত খাবারের জন্য এবং নামাজের জন্য ।

রাত ১০ টার দিকে পৌছলাম আমাদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে । এটা বিখ্যাত ঢাকা হোটেলের পেছনে ছিল । ঢাকা হোটেলের সামনে এবং মদিনার হারাম শরীফের দিকে যেতে মাঝখানে একটা বিরাট ফাঁকা ময়দান আছে , সেখানে ফুটপাতে বেশ ভাল বিক্রি হয় । এটাই ছিল মেইন কেনাকাটার স্থান আমাদের( সত্য বলতে)। হারাম শরীফে আসতে যেতে এখানে থেমে জিনিস পত্র দেখেনি এরকম লোক পাওয়া দুষ্কর। প্রচুর কবুতর আসতে এখানে ।

মদিনা গমন হজের কোন অংশ না হলেও এটা প্যাকেজে রাখা হয় এই সেন্সে যে '' সৌদিতে আসলাম , আমার নবীজীর কবর জিয়ারত করলাম না - এটা কি ঠিক?''

মদিনার আবহওয়া মক্কার তুলনায় বেশ ঠান্ডা মনে হয়েছে । তবে এখানে পা বেশ ফাটে । ভ্যাসলিন কাজে দেবে এক্ষেত্রে।

মক্কাতে যেমন রুমে এসে খাবার দিয়ে যেত মদিনাতে ঠিক তার উল্টো । টোকেন দিয়ে যেত এজেন্সীর লোকেরা '' সকালের নাস্তা '' '' দুপুরের খাবার '' '' রাতের খাবার'' । এটা দেখিয়ে তাদের নির্ধারিত হোটেলে গিয়ে খেয়ে আসতে হত । কখনও কখনও খাবার গিয়ে নিয়ে আসতাম রুমে ।

এখানেও নিয়মিত হারাম শরীফে যেতাম নামাজ পড়তে। মক্কাতে যে দূরত্বে রাখা হয়েছিল এখানে সেই একই রকম দূরত্বে রাখা হয়েছিল।

হারাম শরীফের বারান্দার ছাতাগুলো খোলা ও বন্ধ দেখা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার মনে হয়েছিল শুরুতে । এগুলো সূর্য ওঠার আগে আগে খুলতো এবং মাগরিবের কিছু আগে বন্ধ হয়ে যেত ।

হারাম শরীফের বারান্দায় টয়লেটের জন্য যে ঘর গুলো আছে সেখানে প্রায় ৩ তলা নিচ পর্যন্ত টয়লেট , শেষের তলায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা । হাজার খানেকের উপরে টয়লেট ছিল । সিড়ি এবং এসকেলেটর ছিল এখানে । মক্কাতে টয়লেট নিয়ে যে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল মুরুব্বিদের নিয়ে এখানে সেটার তুলনামূলক সুব্যবস্থা দেখে ভালই লেগেছিল ।

নামাজ পড়তে কখনও কখনও হারাম শরীফের ছাঁদে চলে যেতাম অদ্ভুত সুন্দর লেগেছিল ছাদটা । বিশেষ করে মাগরিবের পর এশার আগে পরিবেশটা খুব মনোরম লাগে ।

মদিনাতে হজরে আসওয়াদে চুমু খাবার মত একটা টাফ কম্পিটিশন আছে , সেটা হল রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ পড়া । হারাম শরীফের ভেতর কার্পেটগুলো লাল রংয়ের হলেও এই স্থানটার [রাসূল (সাঃ) এর কবরের কাছে ] কার্পেটের রং সবুজ রংয়ের । এখানে কমপক্ষে দুই রাকাত নামাজ পড়ার রীতি আছে ।

এটার জন্য কম্পিটিশন হজরে আসওয়াদে চুমু খাবার কম্পিশনের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম বলে মনে হয়েছে আমার কাছে । ২ বার নামাজ পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল ।তবে ''আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত এই সময়টা নামাজ পড়া এমনিতেই নিষেধ।

রাসূল (সাঃ) এর কবর জিয়ারত করা হয়েছিল ২/৩ বার । কবরগুলোকে বাম পাশে রেখে পার হতে হয় , প্রথমে নবীজীর কবর । তারপরে আবু বকর(রাঃ) ও উমর বিন খাত্তাব (রাঃ) এর কবর । সালাম দিয়ে পার হতে হয় । বের হয়ে দোয়া করতে হয় তবে সেটা কিবলা বরাবর।

পুরুষেরা সহজেই এটা করতে পারে , তবে মহিলাদের ডেকে নেওয়া হয় ।

এর পাশেই জান্নাতুল বাকী । এখানে পুরুষেরা যেতে পারে । আমাদের দেশের মত এখানে কোন নাম ফলক নেই । মাঝে মাঝে বড় ঘেরা দেওয়া থাকে কিছু কিছু করবে এবং সেখানে সিভিল ড্রেসে পুলিশ বসা থাকে । সবাই মনে করে যে এটা মনে হয় কোন নবীর কবর , তবে উত্তর পাওয়া যায় না ।

মদীনাতে থাকার সময় আমাদেরকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে

উহুদ পর্বত : এটা আসলে আমাদের হোটেলে পিছনেই ছিল , প্রথমে বুঝতে পারি নি । এখানে রাসূল(সাঃ) সংঘটিত যুদ্ধে তার দন্ত মোবারক(১টা) হারিয়েছিলেন এবং আমীর হামযা (রাঃ) শহীড হয়েছিলেন । উনার কবর এখানেই । পাশেই ছিল জাবালে রোমা ।

মাসজিদ এ কিবলাতাইন : এটা সেই মাসজিদ যেখানে রাসূল (সাঃ) নামাজ পড়ার সময় কিবলা পরিবর্তনের কথা বলে আয়াত নাজিল হয়েছিল । এর আগে মুসলমানদের কিবলা ছিল বায়তুল মুকাদ্দাস । এই মাসজিদে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ি সবাই।

মাসজিদ এ কুবা : এটা সেই মাসজিদ যা রাসূল(সাঃ) মদিনায় হিজরত করার পর প্রথম নির্মান করেছিলেন । এখানে ২ রাকাত নামাজ পড়লে একটা ওমরাহ এর সওয়াব পাওয়া যায় ।

খন্দকের মাঠ : এটা খুব একটা ভালভাবে দেখা হয় নি ।

এ ছাড়া আমরা গিয়েছিলাম সেখানকার একটা ফ্যাক্টরীতে যেখান থেকে প্রচুর খেজুর কিনেছিলাম।

মক্কায় মার্কেটিং না করায় মদিনায় ঝাঁপিয়ে পড়ি মার্কেটিংয়ের জন্য । হারাম শরীফের সাথে যে সব ৮/৯ তলা বিশিষ্ট খয়েরী রংয়ের হোটেল কাম মার্কেট ছিল সেগুলো দেখতে খুব ভাল লাগতো । প্রতিটা মার্কেটের নিচের তলায় স্বর্নের দোকানে ভরপুর ছিল । কোন মহিলা সেখান এ গেলে দিশা ঠিক রাখতে পারবে বলে মনে হয় না । প্রচুর স্বর্নের দোকান সেখানে।

সৌদিতে এসেছি , আবার মদিনাতেও এসেছি - স্বর্ণ না কিনলে কি হয় ? কিনতে হয়েছেও । ১৫২-১৭৫ রিয়াল ছিল/গ্রাম ।

আমাদেরকে প্রথমে যে হোটেলে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে সরিয়ে শেষের এক দিন আরেকটা হোটেলে রেখেছিল । খুব চিৎকার চেঁচামেচি হয়েছিল এজন্য । তবে ২য় হোটেলে ওঠার আগেই লাগেজগুলো কার্গোর কাছে হ্যান্ডওভার করা হয়েছিল বলে ফ্রি ফ্রি লাগছিল । ৮০ কেজি এর বেশী নেওয়ার নিয়ম ছিল না । প্রতি কেজি ওভার ওয়েটে ৬৫ রিয়াল জরিমানা ছিল । কার্গোতে দেবার আগে লাগেজগুলো খুব শক্তভাবে বাঁধতে হবে ।

২য় হোটেলে একরাত কাটানোর পরই রাত ৩-৩.৫ টায় গাড়ি আসে । রওয়ানা দেই জেদ্দার উদ্দেশ্যে , ফেরার সময় এসেছিল বলে । ফ্লাইট ছিল ঐ দিন রাত সাড়ে আট টায় ।

জেদ্দায় পৌছতে পৌছতে দুপর ১/২ টা । গোসল করে নামাজ পড়ে কিছুটা ফ্রেশ হয়ে নিই । অপেক্ষা করতে থাকি কখন ডাকবে বোর্ডিং পাস নেবার জন্য । আসরের পরপরই চেকইন করে ঢুকে পড়ি ।

এক ঘন্টা লেট এ রাত সাড়ে নয় টায় প্লেন ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয় । সকাল সাড়ে ৫ টায় ঢাকায় নামি ।

শেষ হয় আমাদের হজযাত্রা। মহান আল্লাহকে অশেষ কৃতজ্ঞতা আমাদেরকে এই পবিত্র ভূমি দেখিয়ে আনার জন্য এবং ফরয কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য ।

ফিরে আসার পর মন টানে । ডিশ এ মক্কা শরীফের চ্যানলে দেখলে নস্টালজিক হয়ে পড়ি ।আবারো যেতে ইচ্ছে করে । এখন যারা হজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দেখে মনে হয় - আমি নিচ্ছি না কেন !

ইচ্ছে আছে ইন শা আল্লাহ আবারও যাবার (বদলি হজের জন্য) ।

বিষয়: বিবিধ

১৪৬৭ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

333899
০৫ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৭
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : অনেক ভাল লাগলো জাযাকাল্লাহ খইর
০৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:২৮
276059
হতভাগা লিখেছেন : আল'হামদুলিল্লাহ
333900
০৫ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৪
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। একবার যাওয়ার পর বার বার যেতে মন চায় এ পবিত্র ভূমিতে। আল্লাহ আপনার আশা পূর্ণ করুন।
০৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:২৯
276060
হতভাগা লিখেছেন : দোয়া করবেন
333908
০৫ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
নাবিক লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগলো।
০৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:২৯
276061
হতভাগা লিখেছেন : জাজাক আল্লাহু খাইরান
333934
০৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:১৯
আবু জারীর লিখেছেন : ২০০১ এ হজ করেছি আলহাদুলিল্লাহ। মদিনার ঐ মাঠের পাশ দিয়ে সোজা যাওয়ার পরিবর্তে বাম দিকে চলে গিয়েছিলাম। অনেকক্ষণ হাটার পরে মনে হয়েছিল ভুল পথে এসেছি। ফলে ইউ টার্ন করে চৌরাস্তার মোড়ে এসে সঠিক পথ খুজে পেয়েছিলাম। ঘটনাটা প্রথম দিন রাতের বেলায় ঘটেছিল। দিন হলে হয়ত এমনটা হতনা।
আল্লা আপনার মনের মকসুদ পুরা করুন। আবার আপনাকে হজে যাওয়ার সুযোগ করে দিন। সাথে কারে ছিলেন, তাদের কথা উল্লেখ করলে ভালো হত।
ধন্যবাদ।
০৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:৩০
276062
হতভাগা লিখেছেন : সাথে ছিলেন : আম্মা , স্ত্রী ও শাশুড়ি ।
333987
০৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০২:১৩
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আপনার লিখা টা পড়ে খুবি উৎসাহিত হয়রছি । ইনশা আললাহ তাড়াতাড়ি যাব । আমার ভাইয়া একবার মামনিকে নিয়ে একবার ভাবিকে নিয়ে হজ্ব করেছেন তখন আমি পড়া শুনার কারনে যেতে পারি নাই ।
০৬ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:২৯
276152
হতভাগা লিখেছেন : আপনার জন্য এখনও মনে হয় হজ ফরয হয় নি
333994
০৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৪:০১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :
মদিনার আবহওয়া মক্কার তুলনায় বেশ ঠান্ডা মনে হয়েছে । তবে এখানে পা বেশ ফাটে । ভ্যাসলিন কাজে দেবে এক্ষেত্রে।


পা ফেটে যাবার মত ঠান্ডা? আপনি যখন হজ্জে গিয়েছিলেন তখন ইংরেজী কোন মাস ছিলো?

রিয়াদে আমার এক চাচা থাকে ওনি আমাকে ওখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন!

ইনশা আল্লাহ যাব দেখব। এখন শুধুই কল্পনা।

ধন্যবাদ, এটাও প্রিয়তে যুক্ত হ।। ধন্যবাদ।
০৬ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
276159
হতভাগা লিখেছেন : অক্টোবর মাসের ১৯ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ছিলাম । পায়ের তালুর চামড়া উঠে যেত।
334072
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:১৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : খুবই ঝরঝরে বর্ণনা। ভালো লাগল। আমার ইচ্ছা পুটির মাকে নিয়ে হজ্জ করব।
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:৫৭
276199
হতভাগা লিখেছেন : আমার কাছে ছোট ছোট প্যারা করে লেখা সহজ পাঠ্য বলে মনে হয়
334086
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৪০
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ভাই, আপনি লিখেছেন: (কাবাঘড়ে) নামাজের জন্য ৬০ টা নেকি।
তবে হাদীস বলছে অন্যকিছু যা আপনার জন্য মঙ্গলকর ও খুশির সংবাদ।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ‏"‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) বলেন, আমার এই মসজিদে (মসজিদে নববীতে) এক (রাকআত) সালাত মসজিদে হারাম ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে এক হাজার (রাকাঁআত) সালাতের চেয়েও উত্তম ।
(সহীহ আল মুসলিম, কিতাবুল হাজ্জ অধ্যায়, হা/৩২০৯)

এক হাজার রাকাত সালাতের চেয়েও অনেক বেশি সাওয়াব যার কোয়ান্টিটি বলা হয়নি। আল্লাহ যত ইচ্ছা চান দিতে পারেন। তবে এক হাজার রাকাতের কম নয় এটা গ্যারান্টি।

আল্লাহ আপনার হজ্জকে কবুল করুন আমীন।
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:৫০
276235
হতভাগা লিখেছেন : মক্কার ক্ষেত্রে সেটা নাকি এক লাখ রাকাতের সমান !

রোজার সময় ফরযের নেকি হয়ে যায় ৭০ গুন ।

কেউ যদি শবে ক্বদরের সময় মক্কাতে সালাত আদায় করে তাহলে তার সওয়াবের হিসাব আসে

প্রতি রাকাত x ৭০ (রোজার সময় বলে) x ১ লক্ষ (ক্বাবা শরীফে নামাজ পড়ার ফজিলত)x ১০০০ মাস বা ৮৩ বছর (ক্বদরের রাতের মহিমা)!!!!

মানে একজন মানুষ দুনিয়াতে ৭০ লক্ষ বার আসবে এবং প্রতিবার সে ৮৩ বছর বাঁচবে ... এরকম ছোয়াব !!!!

শুনেছি , রমজান মাসের শেষের ১০ দিন নাকি প্রচন্ড ভীড় থাকে ।
০৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৯
276244
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আপনার ক্যালকুলেশন টি জটিল। তবে এরকম ক্যালকুলেশন করে "তাবলিগ জামাত" আপনার ক্যালকুলেশনটি হিসেবে ঠিক তবে ওদেরটিতে গলত আছে।
০৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:১২
276487
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বুখারী এবং মুসলিমের উক্ত হাদীসে রয়েছে যে-অন্য ইবাদতের সওয়াব আল্লাহ ৭০ থেকে ৭০০ গুন বর্ধিত করেন কিন্তু রোজা আমার জন্যে,আমি নিজে এর প্রতিদান দেই।...এমনিতেই যে কোনো ইবাদতের জন্যে আল্লাহহ ১০গুন সওয়াব দেন। ....আর তিনি কতটা সওয়াব দিবেন সেটা উল্লেখ করেননি। মূলত সেটা চিন্তার বাইরে। তবে হতভাগা ভাই কল্যানের পথে...
334696
০৯ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:১৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
বরাবরের মত শেষ পর্বও ভালো লেগেছে। জাযাকাল্লাহ খাইর
আল্লাহ তায়ালা তাওফীক দিলে কাজে আসবে। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
১০
335813
১৪ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ভাই আপনার লিখাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমিও আপনার সাথে মক্কায় ও সোনার মদিনায় অবস্থান করতেছি, আল্লাহ আপনার হজ্বকে কবুল করুক, ইনশাআল্লাহ আমার আম্মুকে নিয়ে হজ্ব করার পরিকল্পনা আছে, দোয়া করবেন আমার জন্য। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১
335891
১৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ০২:১২
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,একটানা প্রতিটি পর্ব পড়ে শেষ করলাম ।মাসাল্লাহ!এক কথায় সাবলীল ভাষায় এত সুন্দর করে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা তিক্ততা বর্ণনা করেছেন যা নতুন করে হজ্জে যাবার নিয়ত করেছেন তাঁরের অসম্ভব কাজে দিবে । আমারও ইচ্ছা আছে ইনশাল্লাহ । আল্লাহ পাক আপনাকে নেক হায়াত দান করুন সত্যে ও সুন্দের পক্ষে আপনাকে কবুল করুন । আমিন । অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File