এ কথার মানে কি ? কেন তারা এরকম হয়ে গেল ?
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৪৪:২৭ দুপুর
এই কথাগুলোর মানে কি ?
প্রস্তাবের পক্ষে না হলে তাহলে তো বিপক্ষে হবার কথা ! প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থা না নেওয়ার ভোটে ২০-৩ ভোটে জয়ী হওয়া মানে কি বোঝায় ?
সাউথ আফ্রিকা - শ্রী লংকা - পাকিস্তান তো সরাসরিই না বলে দিয়েছে এই প্রস্তাবকে ।
এই প্রস্তাবের ফলে তাদের কোন সমস্যা হবার কথা না যেমনটা বাংলাদেশের জন্য হতে পারে ।
যে প্রস্তাব পাশ হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ক্রিকেটের মেইনস্ট্রীম হতে বের হয়ে আসবে সেই প্রস্তাবের ব্যাপারে বাংলাদেশ কেন সাউথ আফ্রিকানদের মত সরাসরি বলতে পারে না ?
বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রজ্ঞা কি ঐ সব দেশের চেয়ে অনেক উচ্চ মার্গের ?
কেন তারা এরকম হয়ে গেল ?
১. আকরাম খান : বাংলাদেশের ক্রিকেটে আকরাম খানের অবদান অনস্বীকার্য । আইসিসি কোয়ালিফাইংয়ে নেদারল্যান্ডসে্র বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তার সেই অপরাজিত 67 রানের ইনিংসের উপরই বাংলাদেশের ক্রিকেটের মূলভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে । তার হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপে এসেছিল ।
সময় পেরিয়ে এখন তিনি বিসিবির উচ্চপদে আসীন ।
২. নাইমুর রহমান দূর্জয় : উনি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক । তবে উনার এখন বড় পরিচয় উনি একজন মাননীয় সংসদ সদস্য ।
৩. খালেদ মাহমুদ সুজন :
বাংলাদেশের পাকিস্তান বধের নায়ক ইনি । সাকিবের আগে বাংলাদেশের একজন জেনুইন অলরাউন্ডার ।
এরা তিন জনই ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ।
খেলা থেকে অবসর নিয়ে তারা এখন ক্রিকেট বোর্ডের সাথে জড়িত ।
খেলোয়াড়রা যখন বোর্ডের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে তখন সেটা খেলা এবং খেলোয়াড় যারা এখন খেলছে তাদের জন্য পজিটিভ হবার কথা । কারণ খেলোয়াড় হিসেবে তাদেরই তো ভালভাবে জানার কথা কি করলে খেলা ও তার খেলোয়াড়দের মঙ্গল হবে ।
২৩ তারিখের বিসিবির সভায় ২৩ জনের মধ্যে যে ২০ জন জমিদারদের প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান না নেবার জন্য ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন এই ৩ জন !!!!!
খেলোয়াড় হয়েও খেলাটার মৃত্যুর প্রস্তাবে তারা কিভাবে মত দেন ? তারা কি একবারও সাকিব , তামিমদের কথা চিন্তা করলেন না ?
দেশের মানুষ যে এই একটা খেলাকেই ঘিরে তাদের দৈনন্দিন দুঃখ কষ্ট ভুলে যেতে চায় তার কথা কি একটুও চিন্তা করলেন না ?
টাকা আয় কি এতটা মুখ্য যে খেলাটাকেই বিসর্জন দিতে হবে ?
খেলোয়াড়রা ভাল খেলতেছে আর দর্শকরাও আসতেছে - এটার ফলেই তো উনারা টাকা বানাতে পারছেন ।
এখন খেলাই যদি না থাকে তাহলে খেলোয়াড়রাও থাকবে না আর দর্শকরাও আসবে না । তখন কি করে উনারা টাকা কামাবেন ?
নিজের ভাল তো পাগলও বোঝে ।
বন্ধুর জন্য কি নিজের পরনের কাপড়ও খুলে দিতে হবে না কি ?
এক সময়ের হিরো কি কালের বিবর্তনে ভিলেন হয়ে যায়
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাবধান কেউ রবি অথবা এয়ারটেল ব্যবহার করবেন না।
রবি এবং এয়ারটেলকে না বলুন। রবি এবং এয়ারটেল যারা ব্যবহার করে তাদেরকে বলে দিন আপনি তাদের সাথে কথা বলবেন না। এই বিষয়ে নো কম্প্রোমাইজ।
ওরা আমাদের ক্রিকেটে হানা দিয়েছে। এবার আমরা ওদের অর্থনীতিতে হানা দিব।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি ভারতের আগ্রাসন আজ থেকে নয়, অনেক আগ থেকে।
মাইক্রোম্যাক্স মোবাইল আউট! ওয়াল্টন ইন! ভারতীয় পেঁয়াজ আউট! বাংলাদেশী পেঁয়াজ ইন!
এই বিনোদনের ব্যবসায়ই তো তাদের একমাত্র অব্যর্থ অস্ত্র যা দিয়ে তারা আমাদের অন্দর মহলকে বশীভূত করে রেখেছে ।
এটা যদি সত্যি সত্যিই আমরা ছাড়তে পারি তাহলে আসলেই ভারত আমাদের কাছে হেরে যাবে ।
কিন্তু সব কিছুর ব্যাপারে বললেও সিরিয়ালের ব্যাপারে যে কেন আপনি বললেন না তা ভাল করেই জানি ।
আপনি চান না আপনার ঘরে আপনার বউ , মা , বোন , মেয়ে এরা আপনাকে অশান্তিতে ফেলুক । আপনার সাজানো সংসারে আগুন লাগিয়ে দিক ।
নিজেদের পাঁজরের বাঁকা হাড় দিয়ে তৈরি বলেই নারী জাতের উপর পুরুষদের বিশেষ দূর্বলতা থাকেই । তাদের চাওয়া পূরণের জন্য পুরুষরা তাদের জীবনও পর্যন্ত দিয়ে দেয় ।
নারীদের প্রতি পুরুষদের এই দূর্বলতাকেই কাজে লাগিয়েছে ভারত তাদের বিনোদন গোষ্ঠির মাধ্যমে ।
ভারতের আগ্রাসনের বিপরীতে বাংলাদেশের ছেলেরাই বেশী আগ্রাসী । মহিলারা এক্ষেত্রে বিসিবির মত আচরণ করবে - এটাই স্বাভাবিক ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন