আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে বলে মনে করে বিএনপি

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৪০:২৯ সকাল



13 Jan, 2014 ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচনকে দেশ-বিদেশে প্রহসন ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারায় আন্দোলন সফলতার চূড়ান্ত পথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করে বিএনপি।

দলের শীর্ষ নেতারা জানান, বিএনপি মনে করে তাদের চলমান আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি বরং আগামী দিনে সফলতায় পৌঁছানোর দ্বারপ্রান্তে। প্রয়োজন এখন শুধু আন্দোলনে জনগনের সম্পৃক্ততা ধরে রাখা।

তারা বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধে রাজধানী ঢাকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা গুটি কয়েক যানবাহন স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে দেখা গেলেও সারা দেশের চিত্রটা ছিলো অস্বাভাবিক। ঢাকা ছিলো সমগ্র দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন।

জানা যায়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আন্দোলন কিছুটা ভাটা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে সারাদেশে আন্দোলনে জামায়াত- বিএনপির উপস্থিতিও ছিলো যথেষ্ট।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধকে কেন্দ্র করে দেশিয় এবং আর্ন্তজাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। তাই সকল দলের অংশগ্রহণে আলোচনার মাধ্যমে আরেকটি নির্বাচন অবিলম্বে না দিলে, সরকার পতনের আন্দোলনে গোটা দেশ অচল করার বিএনপির পরিকল্পণা রয়েছে বলে জানা যায়।

দলের নেতারা মনে করেন, বিএনপির চেয়ারপারসন এখনো তার দলের মূল দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং ১/১১ সরকারের সময় যেমন অনড় ছিলেন আজ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও তার সিদ্ধান্ত থেকে বিন্দু পরিমাণ সরে আসেননি। বরং দেশ ও বিদেশে জনগণের কাছে বিএনপির মূল দাবিকে আজ যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করে ১৮ দলীয় জোট।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান শীর্ষ নিউজকে বলেন,‘একতরফা ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলে বাধ্য করতে আন্দোলন চলবে। তবে আন্দোলনে নতুন করে আরও কিছু পরিকল্পণা গ্রহণ করা হচ্ছে।

আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো, আন্তর্জাতিক লবিং জোরদার এবং আন্দোলনকে চাঙ্গা করার ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। আমি মনে করি গণআন্দোলনের মুখে সরকার বিএনপির দাবি মানতে বাধ্য হবে ।

দলীয় সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও সরকার পতনের দাবিতে চলমান কর্মসূচিতে বেশি বিরতি দেয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করে বেগম জিয়া। আর এই মুহূর্তে বেশি বিরতি দেয়াটাও অযৌক্তিক।

এদিকে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু আর্ন্তজাতিক মিডিয়া ও দেশিয় গণমাধ্যম, বিশিষ্টজন যারা তাদের সমর্থনে সরকার ঠিকে থাকবে বলে মনে করে ছিলেন। তারাও আজ ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচনের জন্য সমঝোতায় আসতে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন। এটি বিএনপির আন্দোলনের সফলার অংশ হিসেবে মনে করছে দলটি।

বিএনপি নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অংশ না নেয়ায় সিদ্ধাতে বিএনপি ভুল করেছে বলে যারা মনে করেন। তাদের ধারনাই আজ ভুল বলে প্রমাণিত। কেননা নির্বাচন কমিশন ৮ থেকে ৯% ভোটের হারকে যেভাবে প্রায় ৪০% উন্নীত করে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে দিয়েই প্রমাণ হয়েছে বাস্তবে বিএনপি’র সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ঠিক।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বিএনপির মতো বড় দল যে কোনো প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করতে সচেষ্ট। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’ তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কথা বলে। ইতিহাসের দিকে তাকালেই দেখা যায়, অত্যাচারিত সরকারের পতন হবেই

উৎসঃ শীর্ষ নিউজ

বিষয়: বিবিধ

১১৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File