জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে সরকার: ইনু
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৪:৫৪:০৪ বিকাল
26 Dec, 2013 তথ্যমন্ত্রী হাসনুল হক ইনু বলেছেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কথা গভীরভাবে ভাবছে সরকার। আর বিরোধী দলের নির্বাচন আটকানোর যেকোনো প্রচেষ্টা আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “হেফাজতে ইসলামের ‘ঢাকা চল’ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি ধার করে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।”
তিনি বলেন, “বিরোধী দলের ‘নাশকতা, সন্ত্রাস অন্তর্ঘাত’ প্রশাসনিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে।
তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের অভিযাত্রার বদলে এই কর্মসূচিকে ধ্বংসযাত্রার কর্মসূচি হিসাবে চিহ্নিত করছি। এরমধ্য দিয়ে তিনি (খালেদা) নির্বাচনের বিরুদ্ধে, নির্বাচন বানচান করতে আরেকটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।ধ্বংসযাত্রার কোনো কর্মসূচি বাংলাদেশে কোনো প্রশাসনই হতে দিতে পারে না।”
ইনু বলেন, “নির্বাচন আটকাতে, নির্বাচন বানচালে, চলমান নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে এই কর্মসূচি দিয়েছেন খালেদা। আমি আশা করছি এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া আলোচনার পথে আসবেন।”
তিনি আরো বলেন, “খালেদা জিয়া সারা দেশে গণতন্ত্র রক্ষার কমিটি বানানোর আহ্বানের মধ্যদিয়ে যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাসী, অগ্নিসংযোগকারী, জামায়াতি গুন্ডাদের রক্ষার অপচষ্টোয় লিপ্ত রয়েছেন।”
ইনু বলেন, “বিএনপি চেয়ারপার্সনের বক্তব্যে নতুন কোনো রাজনৈতিক কোনো প্রস্তাব নেই। তিনি রাজনৈতিক সমঝোতার কোনো প্রস্তাবও দেনননি।”
তিনি বলেন, “নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ব্যাপারে যে দাবি জানিয়ে আসছেন সেই সরকারের রূপরেখা নিয়েও কোনো আলোচনা উত্থাপন করেননি। উনি আগের অবস্থানেই আছেন। ইনিয়ে-বিনিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করেছেন। এটা উনার লজ্জাজনক অবস্থান।”
মন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়ার নির্বাচনের তফসিল বাতিলের আহ্বানকে অযৌক্তিক, অসাংবিধকানিক ও অগণতান্ত্রিক। নির্বাচন নিয়ে আলোচনার অনেক সময় ছিল। নির্বাচন নিয়ে ফায়সালায় অনেক সময় উনি পেয়েছেন। উনি কোনো প্রস্তাব উত্থাপন না করায় এবং ধারাবাহিকভাবে সংলাপ থেকে দূরে থাকায় কোনো সমাধান আসেনি।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নয় উল্লেখ করে ইনু বলেন, “এটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সম্মন্নত রাখা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যহত রাখার নির্বাচন।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরেও সমাঝোতার পথ আছে। ধ্বংসাত্মক পথ খেকে সরে আমি তাকে রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানাই।”
খালেদা জিয়া শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অঙ্গীকার করেছেন এমন বক্তব্যের জবাবে ইনু বলেন, “উনার প্রস্তুতি কী হচ্ছে তা দেখব।”
২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে ইনু বলেন, “২৯ ডিসেম্বর অনেক দেরি আছে। তিনি কীরকম ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এটা দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
তিনি বলেন, “যেকোনো সন্ত্রাসের দায়িত্ব নিতে হবে খালেদা জিয়াকে। ওনার জোটের নেতৃত্বে এসব ঘটনা ঘটছে। তিনি যতক্ষণ না পর্যনন্ত এগুলো বন্ধ করতে পারবেন ততক্ষণ সরকারের বাহিনীকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেই হবে
উৎসঃ নতুন বার্তা ডটকম
বিষয়: বিবিধ
১৮০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন