ঢাকা কাঁপানোর প্রস্তুতি মহানগর বিএনপির

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০২:১৫:৫৩ দুপুর



19 Dec, 2013 ‘সারা দেশ উত্তাল, ঢাকা কেন নিষ্প্রভ’- বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাব আসছে খুব শিগগির। এবার ঢাকা ‘উত্তাল’ করতে প্রস্তুত হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। এজন্য রাজধানীর আন্দোলনে আস্থা ফেরাতে মহানগরীর দায়িত্বে থাকা নেতারা সক্রিয় হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জোটের একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন ও তফসিল স্থগিত করার দাবিতে চলমান আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানোর দায়িত্ব নিচ্ছে দলের ঢাকা মহানগর শাখা। এজন্য দিকনির্দেশনা ঠিক করতে ঢাকা মহানগর বিএনপির (উত্তর) এক নেতার বাসায় বৈঠকও করেছেন তারা।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে কয়েক দফা হরতাল এবং চার দফায় অবরোধ কর্মসূচির পর এবার দেশ অচলের লক্ষ্যে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি আসছে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে। এই অসহযোগ আন্দোলনে এবার মুখ্য ভূমিকা রাখতে চায় মহানগর বিএনপি।

সারা দেশের আন্দোলন তুমুলভাবে জমলেও ঢাকায় আন্দোলন কেন নিষ্প্রভ এ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় কমিটিসহ মহানগর নেতাদের রাজপথে নেমে আসার নির্দেশ দেন। এর পরও কার্যত কোনো ফলাফল দেখাতে পারেনি মহানগরীর শীর্ষ নেতারা।

এ নিয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগও আনেন দলের কোনো কোনো নেতা। গত ৪ ডিসেম্বর সাদেক হোসেন খোকাকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে আটকের পর আন্দোলন জোরদার করার বিষয়ে আবারও সংকটের মুখে পড়ে দলের মহানগর শাখাটি। তবে সেই সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তারা।

দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী শনিবার থেকে আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী নির্বাচনের ১৫ দিন বাকি থাকতেই মাঠে নামছে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন কর্মসূচির প্রথম দিকে ঢাকাজুড়ে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করে ‘বার্তা’ জানান দিতে চাইছে আন্দোলনের ‘কান্ডারি’ হিসেবে পরিচিত দলের মহানগর শাখাটি। তবে মূল ভূমিকা দেখা যাবে মূলত ২৮ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর থেকে। এ সময় রাজধানীর প্রতিটি ইউনিটও থাকবে মাঠে।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগরের দায়িত্বশীল একজন নেতা জানিয়েছেন, ‘ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার পরিকল্পনায়ও আন্দোলনের এমন রূপরেখা ছিল। একই সঙ্গে সরকার সমঝোতার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত একটি সমাধানে পৌঁছাবে, এমন আশাও ছিল তাদের। এ জন্য আগেই আন্দোলন করে গ্রেফতার হতে শীর্ষ নেতৃত্বের নিষেধ ছিল। তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী নির্যাতন চালানোয় এত দিন মাঠে নামেননি নেতা-কর্মীরা। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, তাই ঢাকায় আন্দোলনের বিষয়টি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন মহানগরীর দায়িত্বে থাকা ওই নেতা।

তিনি জানান, ‘আন্দোলনে গতি কেমন হবে এবং কার্যদিবস অনুযায়ী কীভাবে রাজপথ কাঁপানো হবে, এর রোডম্যাপ ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে গেছে। এ বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য আরো এক দফা বৈঠক শেষে চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানা তিনি

উৎসঃ রাইজিংবিডি

বিষয়: বিবিধ

১১৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File