‘গণজাগরণ মঞ্চের বিজয়’

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৪:৫৮:২৭ বিকাল

যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের ‘বিজয়’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।



Dec 12 2013

বৃহস্পতিবার দুপুরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আসামিপক্ষের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এ রায় গণজাগরণ মঞ্চের বিজয়। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের শুরু করা আন্দোলনের বিজয়।”

দণ্ডিত সব যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি বলেন, “একাত্তরে পাকিস্তানের সহযোগিতকারী জামায়াত-শিবিরকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, তাদের সকল শক্তি নির্মূল করতে হবে।”



পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘যেসব শক্তি’ মুক্তিযুদ্ধের ‍বিরুদ্ধে সোচ্চার তাদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানিয়ে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “এগুলো করতে পারলেই আমাদের বিজয় পরিপূর্ণ হবে।”

অবিলম্বে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়ে জাসদ নেত্রী শিরীন আক্তার বলেন, “জাতি এই ফাঁসির রায়ের বাস্তবায়ন দেখতে চায়।”



রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, “এটাই প্রত্যাশিত ছিল। মাঝখানে সরকারের কিছু মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অতি উৎসাহের কারণে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনতার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।”

“আমাদের প্রত্যাশা, আরো যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আছে তাদের রায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেন কোনো জটিলতা না হয়।”

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। আমরা আশা করছি, আটক অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীরও অতি দ্রুত সর্বোচ্চ সাজা হবে।”

‘রিভিউ’ আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা ও মূল আবেদনের ওপর দুই দিন শুনানির পর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয়।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হলে শাহবাগে প্রতিবাদী তরুণদের অবস্থান এক সময় লাখো মানুষের সমাবেশে রূপ নেয়, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘বাংলা বসন্ত’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

ছাত্র-জনতার ওই আন্দোলনের মুখে আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের পাশাপাশি প্রসিকিউশনকে আপিলের সুযোগ দেয়া হয়, যার প্রেক্ষাপটে সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের রায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হয়।

এর আড়াই মাসের মাথায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দণ্ড কার্যকরে সব প্রস্তুতির পর শেষ মুহূর্তে আসামিপক্ষের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর সংক্ষুব্ধ হয়ে ওই রাত ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে আবার অবস্থান নেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সংগঠকরা।

কয়েক দফায় ওই এলাকায় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলেও শাহবাগ মোড়েই লাগাতার অবস্থান চালিয়ে আসেন জাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন তারা।

সূত্র : বিডি নিউজ ২৪

বিষয়: বিবিধ

৯৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File