নির্বাচনী প্রচারণায় গণমাধ্যমকে ব্যবহার করবে আ.লীগ
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:৪৪:২৮ বিকাল
10 Dec, 2013 আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমকে প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
এ কারণে আওয়ামী লীগ পুরনো প্রচারণাকে পেছনে ফেলে নতুন কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির গণমাধ্যম। এব্যাপারে দলটি সব প্রস্তুতি শেষ করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই এই আধুনিক প্রযুক্তি দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করবে বলে দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার হবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের মতই এবারও দলটি প্রচার ও প্রচারণায় গণমাধ্যমকে কাজে লাগাতে চায়। এ জন্য তারা দেশি-বিদেশি ইলেক্টনিক, প্রিন্ট, অনলাইন মিডিয়ায় পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এ কাজ শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শেখ রেহানার পুত্র রেদওয়ান সিদ্দিকী ববি।
অনলাইন ভিত্তিক ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ, ইমেইলসহ সব সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন টেক্সট, ছবি প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে বলেও জানা গেছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায়, রেদওয়ান সিদ্দিক ববির সার্বিক পরিচালনায় এবং অনলাইন প্রযুক্তিতে বেশ কিছু কর্মী নিয়ে খুব দ্রুতই শুরু করা হবে আওয়ামী লীগেরে এই নির্বাচনী সাইবার প্রচারণা। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করা ছেলেমেয়েরাও এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্রে আরো দাবি করেছে, ইতোমধ্যেই কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাথে বৈঠক হয়েছে। ২টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে একাত্তর ও সময় এ ইতোমধ্যেই বিজ্ঞাপন সম্প্রচার শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাকিগুলোতেও শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রতিটি প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানা গেছে। আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারের কাজ শুরু হবে।
তবে শুধু দেশিই নয় থাকছে বিদেশি গণমাধ্যমও। রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনের সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করা হবে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইন্টারনেট কেন্দ্রীক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার প্রচারণা চালানো হবে। এতে মহাজোট সরকারের ৫ বছরের সফলতা ও একই সঙ্গে বিগত সরকারের অগ্রগতিসমূহ তুলে ধরা হবে।’
এছাড়াও দেশের সব ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায়সহ সব ধরণের গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাবো। অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল, নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে যাতে জনগণ সহজেই বিচার করতে পারে তারা কাকে নির্বাচিত করবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে যে দল যত বেশি প্রচারণা চালাবে মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড বিষয়ে জানবে। তাই এখনকার সময়ে গণমাধ্যম ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও জানান তিনি।
কবে নাগাদ এই প্রচারণা শুরু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর কাজ প্রায় শেষ। হয়ত এই মাসের মাঝামাঝি থেকেই পুরোদমে শুরু হবে।’
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, ‘বিরোধী দল যেভাবে দেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই গণমাধ্যমকে কাজে লাগাতে হবে। আর তাই আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় দশম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াগুলোতে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শিগগিরই এই প্রচারণা শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নামে সরকারের উন্নয়নে ফিরিস্তি তুলে ধরে রাজধানীতে বিলবোর্ড তৈরি করে প্রচারণা চালিয়েছিল। ওই প্রচারণা নিয়ে বিরোধী দল কথা বললে ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন লেখালেখি হলে তা তুলে ফেলা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে দেশের জনগণের কথা না ভেবে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে বলে কথা উঠে
উৎসঃ বাংলামেইল২৪
প্রতিক্রিয়া : জয়ের মত একজন বিশেষজ্ঞ কি ১৮ দলে আছে
বিষয়: বিবিধ
৯৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন