অশান্তির মূল কারণ শেখ হাসিনা, জনগণকে রাজপথে নামার আহ্বান

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:১৯:৩০ সন্ধ্যা



06 Dec, 2013 সারা দেশের মানুষকে শান্তির জন্য রাজপথে নেমে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি জনাব আ স ম আবদুর রব, বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

এই তিন নেতা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা বিরোধীদলের সহিংস কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জেএসডি, বিকল্পধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শান্তির ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘দেশের বর্তমান অশান্তির মূল কারণ ব্যাক্তি হিসেবে শেখ হাসিনা, দল হিসবে আওয়ামী লীগ, প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন। আমরা অপসরকার চাই না। সারা দেশে সহিংসতা প্রমাণ করে বর্তমান সরকারের কোন ক্ষমতা নেই। সত্যিকারের সরকার থাকলে এ অবস্থা হতো না।’

সারাদেশের মানুষকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘দেশ আজ অবরুদ্ধ। ঢাকা থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না, আবার ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না মানুষ।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এর সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘আজ আমরা শান্তির জন্য রাজপথে এসেছি। ঘরে বসে থাকলে শান্তি আসবে না। সবাইকে শান্তির দাবিতে রাজপথে নেমে আসতে হবে।’

বিরোধী দলকে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অশান্তির কারণ বর্তমান সরকার। হাসিনা পদত্যাগ করলেই দেশে শান্তি আসবে। বিরোধী দলেরও কোন অধিকার নেই দেশের মানুষকে অবরুদ্ধ করার।’

দুই নেত্রীর উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনারা আপাতত বিশ্রাম নিন। আমাদের দেশের জন্য কাজ করারা সুযোগ দিন। আপনারা যখন ছিলেন না তখনো দেশ ছিল, আপনারা না থাকলেও দেশ থাকবে।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের দোহাই, স্বাধীনতার দোহাই, শহীদদের রক্তের দোহাই, ১৬ কোটি মানুষের দোহাই দেশটাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেন না। আপনি মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করবেন না।’

রব আরও বলেন, ‘বিরোধী দলের অবরোধ এবং হরতালের সময় নিরীহ মানুষের দুর্ভোগ এবং জালাও-পোড়াও এর রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু সরকার শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিরোধী দলের রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতারও নিন্দনীয়।’

মানববন্ধনে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, ‘বর্তমান সরকার ষড়যন্ত্র করে বর্তমানে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ করতেই এতো সমস্যার সৃষ্টি। প্রধানমন্ত্রী পদত্যগের মধ্যেই দেশে শান্তি নেমে আসবে।

জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন বন্ধ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিলে মুহুর্তের মধ্যেই সন্ত্রাস, নাশকতা, জ্বালাও, পোড়াও সবই বন্ধ হয়ে যাবে। এর পরও বিশেষ উদ্দেশ্যে কেউ এসব করতে চাইলে জনগণ তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করবে।’

মানববন্ধনে আরো উপস্থিতি ছিলেন, হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মো. সিরাজ মিয়া, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, ইকবাল সিদ্দিকী, কাজী শহীদ প্রমুখ।

উৎসঃ বাংলামেইল২৪

প্রতিক্রিয়া : ছোট মুখে বড় কথা ! এগুলোর একটারও পাছার চামড়া রাখবে না হাসিনা ।

বিষয়: বিবিধ

৯০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File