জরিপে পিছিয়ে পড়ায় বিএনপির নির্বাচন বর্জন : জয়

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৮:৫১:১৪ সকাল



04 Dec, 2013 . জনমত জরিপে পিছিয়ে পড়ায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার ১২টা ৩২ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জন করার পেছনে প্রকৃত কারণ হচ্ছে, জনমত জরিপে তারা জনসমর্থন হারিয়েছে ও সেই সঙ্গে হারিয়েছে নির্বাচনে জয়লাভের সক্ষমতা।

অক্টোবর মাসে আমরা ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে জনমত জরিপ পরিচালনা করাই এবং এ জরিপ দু’টি পর্যায়ে প্রকাশিত হয়। সরাসরি জরিপে আমরা ৪৮·৩% জনসমর্থন নিয়ে বিএনপির ৩০·৩% জনসমর্থনের চেয়ে এগিয়ে আছি।

জনমত জরিপের প্রথাগত চর্চা হিসেবে জনমিতিক পরিশোধনের পর দেখা যায়, আওয়ামী লীগের জনসমর্থন ৩৯·৬%, বিএনপির জনসমর্থন ৩৪·২%।

জয় বলেন, আগস্ট পর্যন্ত উভয় পক্ষই জনমত জরিপে খুব কাছাকাছি ছিল। বিএনপির অপপ্রচারের কারণে ও আমাদের গণসংযোগের অভাবে এ সময়ে তারা আমাদের প্রায় ধরে ফেলেছিল। তারা কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছিল। আমরা আমাদের প্রচারণা শুরু করার পর তাদের মিথ্যা অপপ্রচারের উত্তর দিই ও আমাদের সরকারের অভূতপূর্ব অর্জনগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরি।

এরপর অক্টোবর মাসের মধ্যেই আমরা তাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে যেতে থাকি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, গত মাসে চালানো আরেকটি জরিপের ফলাফল আমার হাতে এসেছে। এটি আরো ক্ষুদ্র নমুনা নিয়ে চালানো জরিপ, যা মাত্র এক হাজার মানুষের ওপর করা।

চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের জনসমর্থন ৩৫·৫%, বিএনপির ২৮·৮%।

তাদের জনপ্রিয়তায় নাটকীয়ভাবে ধস নেমেছে, কারণ তারা গত দুই মাস সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি দুই বছর আগেই অনুমান করেছিলাম যে, বিএনপি জয়লাভের নিশ্চয়তা না পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। জনমত জরিপে নিজেদের জনপ্রিয়তা কমার আভাস পেয়েই তারা অক্টোবরে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় তারা তাদের সব নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রস্তুতি বন্ধ করে দেয়। বাকি সবই ছিল তাদের ভাওতাবাজি। নির্বাচনে আসার কোনো উদ্দেশ্যই তাদের নেই।

সুশীলদের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা বলেন আমার মায়ের পদত্যাগ করা উচিত, তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন, কেন? তিনি অন্যায় কিছু করেন নি। আমাদের সরকারের মেয়াদে সংঘটিত ছয় হাজার নির্বাচনের একটিতেও তিনি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেননি।

খালেদা জিয়া যেভাবে নিজের মেয়াদে ১ কোটি ৪০ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকায় কারসাজি করেছিলেন, সেরকম কিছু করার চেষ্টাও তিনি করেননি। বিশাল ছাড় দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে সব দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। আমার মা কেন তাহলে পদত্যাগ করতে যাবেন?

সবচেয়ে বড় কথা, খালেদা জিয়া এবং বিএনপি সারা দেশে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়েছে।

কোথাও কোনো বিক্ষুব্ধ মানুষ দেখা যায়নি, কেবল বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা বাসে আর ট্যাক্সিতে জীবন্ত মানুষের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, রেললাইন উপড়ে যাত্রীবোঝাই ট্রেন লাইনচ্যুত করেছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি আর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেছে। এমনকি তারা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়গুলোতেও হামলা করে এক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।

যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা অন্য কোনো দেশে এমনটি ঘটত, তাহলে তাকে কী বলা হতো? একে বলা হতো সন্ত্রাসবাদ।

উৎসঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিষয়: বিবিধ

৯৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File