সরকার পতনে রাজপথে নামছে ছাত্রদল
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ০২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:৫৯:২১ বিকাল
02 Dec, 2013 ঢাকা: দেশের চলমান রাজনীতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দৃশ্যমান কোন কর্মসূচি না দেখা গেলেও এবার নতুন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামছে সংগঠনটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) দখলে নেওয়ার মাধ্যমে অভিনব পদ্ধতিতে সরকার পতনের কর্মসূচি নিয়ে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে আসবে বলে দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, ঢাবিকে ছাত্রলীগমুক্ত করে ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য এরইমধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় পর্যায় থেকে নির্দেশ এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদলের একটি গোপন বৈঠকও হয়েছে। এতে আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল প্রবেশ করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । একই সাথে ছাত্রলীগের সব ধরনের অগণতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসমুক্ত করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করার পাশাপাশি নির্বাচনী তফসিল বাতিল ও অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোল গড়ে তোলা হবে বলেও বৈঠক থেকে জানানো হয়।
সারাদেশে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সহিংসতার পর মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির ভয়ে ছাত্রদলের বেশিরভাগ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার সেলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এরইমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে সূত্রে জানা যায়।
কর্মসূচির বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল ঢাকাটাইমসকে বলেন, আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের এই কর্মসূচি শুরু হবে। মূলত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের লক্ষ্যে আমাদের এই কর্মসূচি। তবে আমরা চাই না আমাদের এই কর্মসূচিতে কোন সাধারণ ছাত্র- ছাত্রী সহিংসতার শিকার হোক।
ছাত্রদল গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীই গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে। একই সাথে গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা আত্মাগোপনে রয়েছেন। তবে তারা কর্মসূচির মধ্যেই আছেন।
যোগাযোগ করা হলে আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল ঢাকাটাইমসকে বলেন, অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও বিপুলসংখ্যক লোক হতাহতের ঘটনায় এরইমধ্যে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রদলের এক সিনিয়র নেতা ঢাকাটাইমসকে জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাদের ক্ষমতার দাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা কোনো সাংগঠনিক কাজ করতে পারেনি। তাদের চুপ করে বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। কিন্তু সরকার পতন ও নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রদল এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামছে। তাই পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে আছেন।
সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আন্দোলনের জন্য মাঠে নামতে বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদল মাঠে নামার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এক অথবা দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকার পতনে ছাত্রদল রাজপথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন ছাত্রদলের অধিকাংশ নেতাকর্মী। অবরোধ কর্মসূচিকে সফল করার জন্য কোন মিছিল কিংবা বিবৃতিও দেওয়া হয়নি সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
উৎসঃ (ঢাকাটাইমস/ ২ ডিসেম্বর/ কেএস/জেডএ.
প্রতিক্রিয়া : জনগনের তরফ থেকে ছাত্রদলের জন্য আগাম শুভেচ্ছা ও উপহার
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন