আমার হাতে নির্বাচনে অনিয়ম হবে না
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৪২:১৮ রাত
প্রধানমন্ত্রী 20 Nov, 2013 প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই না এদেশে আর কখনও অসাংবিধানিক পন্থায় কেই ক্ষমতা দখল করুক। বুধবার জাতীয় সংসদে সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন হয়েছে। কালই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই। আমরা চেয়েছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা যেন থাকে। আমি বলেছিলাম আসুন আপনি কোন মন্ত্রণালয় চান।
নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। কমিশন যথেষ্ট শক্তিশালী। ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আছে। ধন্যবাদ জানাই জাতীয় পার্টিকে। তারা আমাদের ডাকে সারা দিয়েছে। বিরোধীদল আসলে সত্যি আনন্দিত হতাম। তাদের মনে সন্দেহ থাকতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাজীবন জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। আমাদের হাতে নির্বাচনে কোনো রকম অনিয়ম হবে না। দুর্ভাগ্য বিরোধীদলের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছি না।
আমরা সরকার গঠনের পর বিভিন্ন নির্বাচন হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৫২৮টি নির্বাচান হয়েছে এই সময়ে। একটি নির্বাচন নিয়েও বিরোধীদল কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি।
তিনি বলেন, এতগুলো গণমাধ্যম আছে তারাও প্রশ্ন তুলতে পারেনি। কোনো নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। কারণ সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। বিরোধীদল তো অনেকগুলো সিটি নির্বাচন, উপ নির্বাচনে জিতেছে। দু:খ হয় সিটি নির্বাচনে জয়ী মেয়রকে সাথে নিয়ে তিনি বক্তব্য দেন এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদেরতো তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। ২০০৭-৮ সালের অত্যাচার নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি কেন করতে চান তিনি। আবার যদি তিনি তত্ত্বাবধায়ক আনতে চান তাহলে আবার কি নির্বাচন হবে? হবে না। মানুষ তার সব অধিকার আবার হারাবে।
তিনি বলেন, আমি আহ্বান করবো নির্বাচনে অংশ নিন। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে। আমি যতক্ষণ আছি, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা, এই নিয়ত আমার নাই। আমি এসব ঘৃণা করি। বিরোধীদলীয় নেতাকে আমি ফোন করেছিলাম। ওনি ফোন ধরতেই দেরি করলেন। ওনার সহকারী বলেন, তৈরি হতেই ওনার রাত নয়টা বাজে। আমি নিজে লাল টেলিফোনে ফোন করেছিলাম। ফোন বেজেছে, কিন্তু ওনি ধরলেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর সন্ধ্যায় আবার ফোন করলাম। তারপর আমি যেসব কথা শুনলাম, অন্য কেউ হলে হয়তো ফোন ভেঙে ফেলতো। আল্লাহ্ আমাকে ধৈর্ দিয়েছেন। আরও যেন দেন যেন আমি আরও তিক্ত কথা শুনতে পারি। আমি বলেছি, যে কোনো সময় আলোচনার আমন্ত্রণ আছে।
তিনি বলেন, ওনি হরতাল প্রত্যাহার করলেন না, ২০ জন মানুষ মারা গেলো। বার্ন ইউনিটে এখনও পুড়ে যাওয়া অনেক মানুষ আছে। এইভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারা কোনো আন্দোলন না। দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই, তাদের অযৌক্তিক দাবিতে জনগণ সাড়া দেয়নি। জনসগণের সাড়া না পেয়েই চোরাগোপ্তা হামলা, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছি নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে। কমিশন তারিখ ঘোষণা হবে। নির্বাচন হবে। কেউ সে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। আশা করি আগামী নির্বাচনের পর গণতন্ত্রের ভিত আরও মজবুত হবে। বিরোধীদলীয় নেতা
তিনি বলেন, ৪১৮ দিন সংসদ চলেছে ওনি ছিলেন ১০দিন। এর মধ্যে ওনি ছয় দিনে ৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট বক্তৃতা দিয়েছেন। উপস্থিত না থাকলেও বক্তৃতার সময় অনেক বেশি। আজও খুশি হতাম যদি বিরোধীদলীয় নেতা উপস্থিত থাকতেন।
তিনি বলেন, শেষ অধিবেশনে ৩৭টি বিশ পাস করেছি। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা যেন অব্যাহত থাকে। সে জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করেছি। তথ্য অধিকার আইন, অর্থপাচার আইন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, নিরাপদ খাদ্য আইনসহ ২৭১টি আইন পাস করেছি। গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা কার্কর করতে বিভিন্ন কমিশন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাজেট অনেকগুণ বাড়িয়েছিল ৮৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দুই লক্ষ্য ২২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। উন্নয়ন কর্মসূচি আমরা ৯২-৯৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। কেবিনেটের সিদ্ধান্তের ৯৪ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছি। কিছু বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছি। সরকার গঠনের ৫২ দিনের মধ্যে বিডিআর হত্যা, বিদ্রোহের বিচার করেছি। এতে দ্রুত এতো বড় মামলা চালানো মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে নাই। ১৮ হাজার ৫২০ জন আসামি ছিল বিদ্রোহী। ১৮৫৫০ জনের বিচার হয়েছে। হত্যা মামলায় ৮৫০জন আসামি ছিল।
উৎসঃ ঢাকাটাইমস২৪
বিষয়: বিবিধ
১২৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন