হাসিনার শত্রুর প্রয়োজন নেই
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:১৬:৪৫ রাত
এই ধরনের মন্ত্রী, উপদেষ্টা থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আসলেই কোন শত্রুর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী, তার সরকার এবং তার দলকে বিব্রত এবং ধ্বংস করার জন্য এরাই যথেষ্ট। সম্প্রতি দু’টি ঘটনায় এটা প্রমান হয় যে শেখ হাসিনা যাদের নিয়োগ দিয়েছেন অথবা যেসব কর্মকর্তারা তার চারপাশে রয়েছে তারা সরকার পরিচালনায় অক্ষম। চাতুর্যের সঙ্গে যা করা সম্ভব, তা তারা করেন দাম্ভিকতার সঙ্গে। যা যুক্তির দ্বারা করা সম্ভব তা তারা করেন শক্তির দ্বারা। যা আইনি পথে করা সম্ভব তা তারা করেন বেআইনিভাবে।
প্রথমে বলা যায় বিলবোর্ডের ব্যাপারটি। প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং তার দলে কি একজন লোকও ছিলেন না যিনি বিষয়টির পদ্ধতিগত অবৈধতার বিষয় তুলে ধরতে পারতেন? অধিকারের রিপোর্ট সামলানো এবং এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি অদক্ষতার একটি উদাহরণ। এর সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে তা সরকার এবং বাংলাদেশকে সারা দুনিয়ার কাছে বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখী করেছে। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ একটি বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং বাংলাদেশ যার প্রাপ্য নয়। এটা আমাদের ওপর আনা শেখ হাসিনা সরকারের উচিত হয়নি। ডেইলি স্টার ৫ই মে হেফাজতের সমাবেশ এবং রাতের ঘটনা কাভার করেছে। ওই ঘটনায় মৃত্যুর ব্যাপারে রিপোর্টের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক ছিলাম। ওই সময় এবং এখন পর্যন্ত অধিকার বর্ণিত নিহতের ৬১ সংখ্যার ব্যাপারে আমরা একমত নই। আমরা মনে করি সরকারের অধিকার রয়েছে অধিকার বর্ণিত সংখ্যার নিহতদের নাম এবং ঠিকানা জানার। তথ্য মন্ত্রণালয় ১০ই জুলাই তা জানতে চেয়ে অধিকারকে চিঠি দিয়েছিলো। এক সপ্তাহ পর অধিকার যখন সরকারকে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল এ নিয়ে আদালতে যাওয়া। আমাদের মতে এটি একটি ভালো মামলা হতো এবং খুব সম্ভবত আদালত অধিকারতে তথ্য দেয়ার নির্দেশ দিতো।
অদক্ষতা এবং দাম্ভিকতা আবার ফিরে আসে যখন এক মাস অপেক্ষা করার পর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাত সাড়ে ৯টায় স্ত্রী এবং সন্তানসহ বাড়ি ফেরার পথে আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করে। সরকারের সামনে এ নিয়ে যেসব বিকল্প ছিল তার মধ্যে রয়েছে-
১. প্রশ্ন জিজ্ঞাস করার জন্য দিনের বেলায় তাকে আনা যেতো।
২. তাকে নোটিস দেয়া যেত যে, আইন রয়েছে এনজিও সরকারকে তথ্য দিতে বাধ্য।
৩. প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া যেতো।
৪. মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা যেতো।
৫. সরকার বিশ্বস্ত কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে পারতো যে সংস্থা অধিকারের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করতে পারতো। এবং সরকারের দাবিমত তাদের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করতে পারতো। আদিলুরকে শুধু গ্রেপ্তারই করা হয়নি, এমনকি তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে। সৌভাগ্যবশত হাইকোর্ট তা বাতিল করেছে। আমরা সবাই জানি রিমান্ডে কি হয়?
উৎসঃ মানবজমিন ( শুক্রবারের ডেউলি স্টার থেকে অনূদিত, সংক্ষেপিত )
বিষয়: বিবিধ
১০৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন