হত্যা মামলার আসামির বাড়িতে দাওয়াত খেলেন বিচারক!
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১২ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:০৯:০৪ সকাল
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রাজা চাপিতলা গ্রামের চাঞ্চল্যকর মনির হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোখছেদুর রহমান ওরফে আবির ও আরেক আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে বাবুলের বাড়িতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া দাওয়াত খেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া বর্তমানে লালমনিরহাটের সহকারী জজ। গত শুক্রবার ঈদের দিন বেলা তিনটায় তিনি ওই আসামিদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সহকারী জজ মুর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া গতকাল রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জেঠির বাবার বাড়ি ওই গ্রামে হওয়ায় দাওয়াত খেতে গিয়েছি। ওই গ্রামের সড়কের মধ্যে মনির হত্যা মামলার আসামিদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাঁরা আমাকে চা খাইয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া তো অপরাধ নয়। বর্তমানে আমি লালমনিরহাট জেলায় রয়েছি। সেখানে থেকে মামলা প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই।’
মামলার বাদী রেজাউল করিম ভূঁইয়া জানান, ২০১১ সালের ১২ জুন মনির হোসেন নিখোঁজ হন। পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার চারিপাড়া এলাকা থেকে বিষের বোতলসহ মনিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নবীনগর থানার পুলিশ প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা করে।
একই বছরের ১০ নভেম্বর মনিরের ভাই রেজাউল করিম ভূঁইয়া বাদী হয়ে মোখছেদুর রহমান আবিরসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার আসামিরা ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত থেকে জামিন পান। বর্তমানে মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
রেজাউল করিম অভিযোগ করেন, বিচারক মুর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া মোটরসাইকেলে করে মনির হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে যান। আসামিদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে বিচারকের কথা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
৮ নম্বর চাপিতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, আসামিদের মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য ফর্মুলা দিতেই ওই বিচারক আসামিদের বাড়িতে গিয়েছেন।
উৎসঃ প্রথম আলো
বিষয়: বিবিধ
১০৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন